কোহলির কাছেই হারল অস্ট্রেলিয়া
ভুলটা টসে জেতার পরে আসলে করে ফেলেছিলেন স্টিভেন স্মিথ। ভারতকে পরে ব্যাটতে পাঠানোর অর্থ বিরাট কোহলিকে রান তাড়া করতে দেওয়া- সেটা কি অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক ভুলে গিয়েছিলেন? পরে ব্যাট করে কোহলির গড় ৯০ এর কাছাকাছি, সেটা কি স্মিথ জানতেন না? শেষ পর্যন্ত সেই কোহলির কাছেই হারল অস্ট্রেলিয়া। ৫১ বলে ৮০ রান করে কোহলি আরও একবার জানান দিলেন, এই সময়ের ক্রিকেটে বাকি সবাইকে ছাপিয়ে তিনি এখন অনেক উঁচুতে। এক সময় প্রায় হাতের মুঠো থেকে বেরিয়ে যাওয়া ম্যাচটা তো কোহলির জন্যই ৬ উইকেটে জিততে পেরেছে ভারত।
অথচ একটা সময় মনে হচ্ছিল, মোহালির স্লো উইকেটে অস্ট্রেলিয়া হয়তো ম্যাচটা বের করে নেবে। ৩ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার দরকার ৩৯ রান, পেন্ডুলামটা একটু হলেও অস্ট্রেলিয়ার দিকে হেলে। ফকনারের ওভারের প্রথম তিন বলে কোহলি নিলেন ১৪ রান, মোহলির স্টেডিয়াম তখন উল্লাসে ফেটে পড়ছে। ওই ওভারে এলো ১৯ রান, ভারতের সমীকরণ দাঁড়াল ২ ওভারে ২০।
কোল্টার নাইলের পরের ওভারেই কোহলি নিশ্চিত করে ফেললেন, ভারত সেমিফাইনালে উঠছে। পর পর তিন বলে তিনটা চার মারলেন, শেষ বলে আবার চার। শেষ ওভারে দরকার চার রান, ম্যাচ তখন ভারতের হাতের মুঠোয়। তুলির শেষ টান দিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি, ফকনারকে চার মেরে ভারতকে এনে দিলেন অবিস্মরণীয় এক জয়।
অথচ ৯৪ রানে যখন যুবরাজ আউট হয়ে গিয়েছিলেন, অস্ট্রেলিয়ার তখনও ৬ ওভারে দরকার ৬৬ রান। বল ব্যাটে খুব একটা আসছে না, এমন উইকেটে এই রান অনেক বেশিই। কিন্তু কোহলির ব্যাটে সেটা হয়ে গেল জলবৎ তলরং।
তবে অস্ট্রেলিয়া যখন ব্যাট করতে নেমেছিল, রানটা ১৬০ এর চেয়েও বেশি হবে মনে হচ্ছিল। প্রথম চার ওভারেই উসমান খাজা ও অ্যারন ফিঞ্চ ৫০ রান তুলে ফেলেছিলেন। কিন্তু এর পরেই হঠাৎ খেই হারিয়ে বসে অস্ট্রেলিয়া, পরের চার ওভারে মাত্র ওভারপ্রতি পাঁচ করে রান এলো। শেষ পর্যন্ত রানটা ১৫০ হবে বলেও মনে হচ্ছিল না। তবে শেষ দুই বলে ১০ রান নিয়ে সেটিকে ১৬০ রানে নিয়ে যান পিটার নেভিল। কিন্তু কে জানত, কোহলি সেটিকেই সামান্য করে ফেলবেন।