• আইসিসি টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০১৬
  • " />

     

    ম্যাচের আগে ঘুমিয়েই কাটিয়েছেন সিমন্স!

    ম্যাচের আগে ঘুমিয়েই কাটিয়েছেন সিমন্স!    

    গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচটা যেদিন খেললো ওয়েস্ট ইন্ডিজ, সেদিনও তিনি সুদূর ত্রিনিদাদে, নিজের বাড়িতে শুয়েবসে সময় কাটাচ্ছেন। পিঠের চোট নিয়ে টুর্নামেন্টের শুরুতেই দল থেকে ছিটকে পড়েছিলেন। সেই লেন্ডল সিমন্সই আবার মহা গুরুত্বপূর্ণ সেমিফাইনাল ম্যাচের আগে দলে, আরেকজনের চোটের ‘কল্যাণে’! ১৪ হাজার কিলো পথ, দুটো ফ্লাইটে ২৬ ঘন্টার লম্বা ভ্রমণ শেষে দলের সাথে যোগ দিলেন ম্যাচের মাত্র একদিন আগে। বাকিটা বর্ণনায় ক্লিশে হয়ে যাওয়া বাক্যটাই ব্যবহার করতে হচ্ছে, ‘এলেন, দেখলেন, জয় করলেন!”

     

     

    আকাশপথে এতোটা সময় কাটিয়ে একদিনের ব্যবধানে মুম্বাইয়ের ময়দানে চাপের মুখে ব্যাট হাতে অমন ঝড়! ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সংগত কারণেই ছুটে গেলো প্রশ্নটা, ম্যাচের আগে পর্যাপ্ত বিশ্রামের সুযোগ পেয়েছিলেন তো? জবাবে সিমন্স ঘড়ি ধরেই তাঁর ঘুমের হিসেবটা দিয়ে দিলেন, “দুটো ফ্লাইটেই ঘুমিয়েছি। এখানে এসে রাতে আবার ঘুমিয়েছি। পরদিন সকালে অনুশীলন ছিল, সেটা সেরে বিকেল ৩টা থেকে রাত ১০টা অব্দি ঘুমিয়েছি। (ম্যাচের দিন) দুপুর বারোটায় আবার ঘুমিয়েছি, চারটায় উঠেছি। বুঝতেই পারছেন, বিশ্রামে কোনো ঘাটতি ছিল না!”

     

    ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে সিমন্স খেলেন মুম্বাইয়ের দলটির হয়ে। সেই মুম্বাইয়ের মাঠ ওয়াংখেরেতেই কাল স্তব্ধ করে দিলেন গোটা ভারতকে। অকপটে স্বীকারও করে নিলেন একরকম ‘ঘরের মাঠ’-এই কাল খেলেছেন তিনি, “আইপিএল খেলতে শুক্রবার এখানে আসতেই হতো। বোর্ড চেয়ারম্যানের কাছ থেকে এই ম্যাচ খেলার প্রস্তাব পেয়ে আর তাই দেরী করি নি। একইসাথে আইপিএলের প্রস্তুতিটাও হয়ে গেলো। আর এটা তো আমার ঘরের মাঠের মতোই, এখানকার কন্ডিশনটা আমি জানি, ভালোমতো পড়তেও পারি।”