• আইসিসি টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০১৬
  • " />

     

    টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলের সংখ্যা বাড়াতে আগ্রহী আইসিসি

    টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলের সংখ্যা বাড়াতে আগ্রহী আইসিসি    

    ক্রিকেট বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের সুযোগ পাওয়া দলের সংখ্যা ক্রমেই কমছে। একদিকে ক্রিকেটের বিশ্বায়নের কথা বলা আইসিসির এই সংকোচনশীলতা নীতিকে অনেকেই দ্বিমুখী বলে সমালোচনাও করছেন। কিন্তু বিশ্বকাপের মতো আসরে ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতা’ ধরে রাখার কথা বলে নিজেদের চিন্তাভাবনার পক্ষেই যুক্তি দিয়ে চলেছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। সে ধারাবাহিকতায়ই আগামী একদিনের বিশ্বকাপ দশ দলের অংশগ্রহণে করার পিছনে পুরনো যুক্তিই তুলে ধরলেও আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসন জানাচ্ছেন টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের বিশ্বকাপে দলসংখ্যা বাড়ানোর বিষয়টি ভেবে দেখছেন তাঁরা।

     

    টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসরে দুই পর্বের প্রথমটিতে দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে সুপার টেনে খেলার যোগ্যতা অর্জনের লড়াইয়ে নামে বাংলাদেশ, জিম্বাবুয়েসহ আটটি দল। দুই গ্রুপের দুই শীর্ষ দল দ্বিতীয় পর্বে যোগ দেয় র‍্যাংকিংয়ের প্রথম আট দলের সাথে। দল বাড়ানোর চিন্তাভাবনার কথা জানানোর আগে বর্তমান ফরম্যাটের পক্ষেও যুক্তি দিলেন মি. রিচার্ডসন, “এটা যে কাজ করছে না তা নয়। আমরা চেয়েছিলাম দুই পর্বেই যেন অংশগ্রহণকারী দলগুলোর মধ্যে সমান সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। সেটা খুব ভালোভাবেই হয়েছে বলে আমি মনে করি।”

     

    তবে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর স্বার্থেই দলের সংখ্যা বাড়াতে আগ্রহী আইসিসি, “অতিরিক্ত একটা বা দুটো টিমকে আমরা প্রথম পর্বে সুযোগ করে দিতে পারি। এতে একদিকে টুর্নামেন্টের কলেবর যেমন বাড়বে তেমনি অংশগ্রহণকারী দলগুলোও লাভবান হবে। চার দলের গ্রুপে দুটো ম্যাচ হেরে গেলে আপনার আর কোনো আশাই থাকে না। কিন্তু পাঁচ দলের গ্রুপে আপনার সম্ভাবনা বেশী সময়ের জন্য টিকে থাকবে।”

     

    একইভাবে আইসিসির সহযোগী দেশগুলোকে বড় দলগুলোর সাথে খেলার সুযোগ করে দিতে দ্বিতীয় পর্বেও দলের সংখ্যা বাড়ানোর পক্ষপাতী রিচার্ডসন, “সেক্ষেত্রে সুপার টেনের পরিবর্তে আমরা সুপার টুয়েলভ রাখতে পারি। এভাবে দ্বিতীয় পর্বেও ম্যাচের সংখ্যা বাড়ানো যাবে। একইসাথে সেটা সহযোগী দেশগুলোর দ্বিতীয় পর্বে খেলার সুযোগ বাড়াবে।”

     

    তবে বানিজ্যিক দিক বিবেচনা করে একদিনের বিশ্বকাপ দশ দলের করার পক্ষেই থাকছেন আইসিসির প্রধান নির্বাহী, “প্রথম কারণ হল একদিনের ক্রিকেট চালুর উদ্দেশ্যই ছিল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ খেলা উপহার দেয়া। আর সত্যি কথা বলতে দ্বিতীয় কারণটা বানিজ্যিক। (এই ফরম্যাটে গ্রুপ পর্বে অংশগ্রহণকারী দশ দলের প্রত্যেকে একে অপরের সাথে খেলার সুযোগ পাবে।) একটা টুর্নামেন্টে যদি ভারতের মতো একটা দলের ন্যূনতম নয়টা ম্যাচ নিশ্চিত করা যায় তাহলে সেটা অবশ্যই বানিজ্যিক লাভের পরিমাণও বাড়িয়ে দেবে। আর ওই লাভের অংকটা তো ব্যয় হবে সহযোগী সদস্যসহ আইসিসির সব সদস্য দেশের ক্রিকেট কল্যাণেই।”