সবার আগে পছন্দ মাহমুদউল্লাহ
গত কিছু দিনে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিংয়ের বড় ভরসা হয়ে উঠেছেন। এশিয়া কাপের পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও সেই প্রমাণ দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। ঘরোয়া ক্রিকেটেও সুযোগ পেয়েই তাঁকে সবার আগে বেছে নিল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে প্লেয়ার্স বাই চয়েস পদ্ধতিতে লটারিতে সবার আগে ডাকার সুযোগ পেয়ে বাংলাদেশ দলের এই ব্যাটসম্যানকে বেছে নিয়েছে জামাল।
এই পদ্ধতিতে আইকন খেলোয়াড় ছিলেন ছয়জন- মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, তামিম ইকবাল ও সাব্বির রহমান। আর এ প্লাস ক্যাটাগরিতে ছিলেন আরও ছয়জন- নাসির হোসেন, ইমরুল কায়েস, মোহাম্মদ মিঠুন, মুমিনুল হক, সৌম্য সরকার মুস্তাফিজুর রহমান।
শেখ জামালের পর ডাকার সুযোগ পেয়েছিল প্রাইম ব্যাঙ্ক ক্রিকেট ক্লাব। তারা বেছে নিয়েছে সাব্বিরকে। এরপর ডাকার সুযোগ পেয়ে প্রাইম দোলেশ্বর বেছে নিয়েছে নাসির হোসেনকে। চারে আবাহনী ক্রীড়া চক্র বেছে নিয়েছে তামিমকে। আর আবাহনীর ঠিক পরেই ডাকার সুযোগ পেয়ে মোহামেডানের পছন্দ মুশফিক।
এরপর ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাবও কোনো আইকন খেলোয়াড়কে ডাকেনি। তাদের পছন্দ দলের বাইরে থাকা ব্যাটসমান মুমিনুল হক। লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ বেছে নিয়েছে সৌম্য সরকারকে, আর গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ডেকেছে জাতীয় দলের বাইরে থাকা ব্যাটসম্যান এনামুল হককে। আর ১১ নম্বরে ডাকার সুযোগ পেয়ে শেষ পর্যন্ত মাশরাফি বিন মুর্তজাকে বেছে নিয়েছে কলবাগান ক্রীড়াচক্র। আর ব্রাদার্স ইউনিয়ন নিয়েছে ইমরুল কায়েসকে।
সাকিব ও মুস্তাফিজ অবশ্য তখন পর্যন্ত দল পাননি। সেটা অনুমিতই ছিল, কারণ আইপিএল খেলতে দুজনেই এখন দেশের বাইরে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য সাকিবকে বেছে নিয়েছে আবাহনী, মুস্তাফিজের ঠিকানা হয়েছে মোহামেডান। যদিও শেষ পর্যন্ত এই দু'জন খেলতে পারবেন কি না সেটা নিয়ে আছে সংশয়। পরে মিঠুনকে দ্বিতীয় দফায় ডেকেছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ।