তামিম-নাসিরের আফসোসের দিন
সেঞ্চুরি পেতে পারতেন দুজনেই। কিন্তু একটুর জন্য সেটি উদযাপন করতে পারলেন না তামিম-নাসির। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে দুজনেই আজ নড়বড়ে নব্বইয়ের শিকার!
এর মধ্যে নাসিরের আফসোসটা একটু বেশি। প্রাইম দোলেশ্বরের হয়ে মাত্র তিন রানের জন্য সেঞ্চুরিটা পাননি। কলাবাগানের বিপক্ষে শেষ ওভারেই তিন অঙ্কে পৌছে যেতে পারতেন। ৫০তম ওভারের শেষ দুই বলে আর তিন রান নিলেই চলত। কিন্তু দেওয়ান সাব্বিরের বলে মারতে গিয়ে আউট হয়ে গেলেন।
৪৮ ওভার শেষে যখন নাসিরের রান ৮৬, সেঞ্চুরিটা অধরা থেকে যাবে বলেই মনে হচ্ছিল। কিন্তু মাশরাফি বিন মুর্তজার ওই ওভার থেকে একাই নিলেন ৮ রান। সাব্বিরের পরের ওভারেও স্ট্রাইক পেয়েছিলেন। কিন্তু দ্বিতীয় বলে মাত্র ১ রান নিতে পারলেন। চতুর্থ বলে আবার স্ট্রাইক পেলেন, এবার নিলেন দুই রান। কিন্তু শেষ দুই বল আর কাজে লাগাতে পারলেন না।
ফতুল্লার নিষ্প্রাণ উইকেটে শুরু থেকেই বেশ স্বচ্ছন্দে খেলছিলেন নাসির। দোলেশ্বরের ১২৭ রানে ৩ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর নেমেছিলেন। ৯৭ রানের ইনিংসে ১১টি চার ও একটি ছক্কা—৫০ রানই এসেছে বাউন্ডারি থেকে। তার আগে শুরুতে ৭৩ রানের ইনিংস খেলে করে ভালো একটা শুরু এনে দিয়েছিলেন ইমতিয়াজ হোসেন। দোলেশ্বর ৫০ ওভারে করতে পেরেছে ২৮৭।
দোলেশ্বরের মতো মিরপুরে আবাহনীও করেছে ওই ২৮৭-ই। এর মধ্যে তামিমের অবদান ৯০। গত কিছুদিন ধরেই রান আসছে ব্যাটে, মিরপুরের রানপ্রসবা উইকেটে তামিমের কাছ থেকে বড় কিছুই প্রত্যাশিত ছিল। শেখ জামালের বিপক্ষে অনায়াসেই তিন অঙ্কে পৌঁছে যাবেন বলে মনে হচ্ছিল। কিন্তু ৩১তম ওভারে গিয়ে আউট হয়ে যান। নাসিরের সঙ্গে একটা জায়গায় মিল আছে, দুজনেই মেরেছেন ১১টি চার। ৯১ বলের ইনিংসে তামিমের অবশ্য কোনো ছয় নেই।
তামিমের ইনিংসের পরও আবাহনীর রান হয়তো এত বেশি যেত না। ২৮৭ রান পর্যন্ত নিয়ে গেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মোসাদ্দেক হোসেন। নাজমুল করেছেন ৫০ বলে ৫২, আর মোসাদ্দেক খেলেছেন ২৯ বলে ৪৬ রানের ঝোড়ো একটা ইনিংস।