• ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    ওই এক বল মনে রাখছেন না তামিম

    ওই এক বল মনে রাখছেন না তামিম    

    এক বল থেকে প্রয়োজন পাঁচ রান। বল হাতে দেশের পেস আক্রমণে এই মুহূর্তের অন্যতম সেরা অস্ত্র তাসকিন আহমেদ, ব্যাট হাতে মাত্রই উইকেটে আসা মুক্তার আলী। ঘরোয়া ক্রিকেটে মুক্তারের ছক্কা হাকানোর রেকর্ডটা জানা না থাকলে এই দ্বৈরথে প্রায় শতভাগ দর্শকেরই বাজি থাকবে তাসকিনের পক্ষে। কিন্তু? জাতীয় দলের তরুণ পেসারের খুনে গতির বলটা বাতাসে ভাসিয়েই সীমানার বাইরে আছড়ে ফেললেন মুক্তার আলী।

     

    শেষ বলের ছক্কায় জয় এনে দেয়ার পর মুক্তার আলীকে নিয়ে সতীর্থদের উচ্ছ্বাস। ছবিঃ বিসিবি।

     

    বড় স্কোর গড়েও তাই শেষ পর্যন্ত শেষরক্ষা হয় নি আবাহনী লিমিটেডের। দশ রানের জন্য শতকটা পান নি তামিম ইকবাল, কিন্তু দল জিতলে সে কষ্ট ভুলে যেতেই পারতেন। তা আর পারলেন কই! শেষ বলের ছক্কায় রোমাঞ্চকর ম্যাচটা জিতে নিয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের দারুণ উত্তেজনাপূর্ণ একটি দিনে পরাজিতদের দলেই নাম লেখালেও আবাহনীর অধিনায়ক বলছেন তাঁর দলের পারফরম্যান্স নিয়ে তিনি গর্বিত। শেষ বলে ছয় খেয়ে ম্যাচ হেরে বসা তাসকিনকেও স্বান্তনা দিতে ভুলছেন না।

     

    প্রতিপক্ষকে কৃতিত্ব দিলেও ম্যাচ হারের দায়টা নিজেদের কাঁধেই নিচ্ছেন তামিম, “নিশ্চিত ছিলাম যে ম্যাচটা কঠিন হবে, কারণ উইকেট খুবই ভালো ছিল। মিঠু ভাই (শেখ জামালের হয়ে শতরান করা মাহবুবুল করিম) এবং তাঁর দলকে কৃতিত্ব দিতেই হয়। ওঁরা খুবই চমৎকার ক্রিকেট খেলেছে। আর আমাদের তো দায় আছেই। যে সুযোগগুলো পেয়েছিলাম সেগুলো কাজে লাগাতে পারি নি।”

     

    শেখ জামালের ইনিংসের একটা বড় সময় পর্যন্ত ম্যাচটা একপেশেভাবে শেষ হবে বলেই মনে হচ্ছিল। জয়ের জন্য ধানমন্ডি ক্লাব যখন ৭০ রান দূরে, হাতে ছিল ৭৪ বল আর ৮টি উইকেট। সেখান থেকেই আবাহনীর নাজমূল হোসেন শান্ত, আবুল হোসেন, তাসকিন আহমেদরা ম্যাচ বাঁচিয়ে রাখেন শেষ বল পর্যন্ত। শেষ ওভারে প্রয়োজনীয় ৭ রান তুলতে গিয়ে তাসকিনের প্রথম দুই বলে ফিরে যান শেখ জামালের দুই ব্যাটসম্যান। পরের তিন বল থেকে আসে দুই রান। শেষ বলে প্রয়োজনীয় পাঁচ রান মুক্তার আলী তুলে নেন তাসকিনকে ছয় মেরে।

     

    অনেক আগেই হেরে যেতে বসা এক ম্যাচে এভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারায় দলকে নিয়ে গর্বিত তামিম, “যেভাবে আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছিলাম সেটা একেবারেই অবিশ্বাস্য ছিল। তাসকিন তো দুর্দান্ত ছিল। হয়তো শেষ বলটায় ছয় হয়ে গেছে। কিন্তু ওর শেষ বারো বলের এগারোটাই নিখুঁত ছিল। যেভাবে ম্যাচে আমরা ম্যাচে ফিরে এসেছি সে জন্য আমি আমার দল নিয়ে খুবই গর্বিত। সবচেয়ে বড় কথা একটা পর্যায়ে এমন মনে হচ্ছিল যে শেখ জামাল তিন-চার ওভার আগেই জিতে যাবে। কিন্তু আমাদের ছেলেরা সেটা হতে দেয় নি। সবমিলিয়ে দারুণ একটা ম্যাচ হল।”

     

    দিনের আরেক ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল তরুণদের নিয়ে গড়া গল ক্রিকেট কোচিং স্কুল। প্রাইম ব্যাংকের ২৫৭ রানের জবাবে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৫২ রান তোলে ক্রিকেট কোচিং স্কুল। শেষ পাঁচ বলে রাজিন সালেহদের প্রয়োজন ছিল ৯ রান, তবে রুবেল হোসেন একটি উইকেট নিয়ে রান দেন মাত্র তিনটি। হেরে গেলেও দলটির পক্ষে শতক পেয়েছেন দুই ব্যাটসম্যান, সাইফ হাসান ও সালমান হোসেন।