• ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    অবশেষে সেঞ্চুরি পেলেন মুশফিক

    অবশেষে সেঞ্চুরি পেলেন মুশফিক    

    গত নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। এরপর মুশফিকুর রহিমের কাছে তিন অঙ্কটা ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছিল। ব্যাটে সেভাবে রান আসছিল না, এশিয়া কাপের পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন। অবশেষে ঘরোয়া লিগে তিন অঙ্কের দেখা পেলেন বাংলাদেশ দলের টেস্ট অধিনায়ক। মুশফিকের সেঞ্চুরিতেই আজ ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাবের সঙ্গে পথ খুঁজে পেয়েছে মোহামেডান।

    ফর্মে ফেরার আভাস প্রথম ম্যাচেই দিয়েছিলেন, ব্রাদার্সের সঙ্গে করেছিলেন ৭২ রান। দ্বিতীয় ম্যাচে সেখানেই থামলেন না, রান নিয়ে গেলেন তিন অঙ্কে। অথচ মোহামেডান শুরুতে বিপদেই পড়ে গিয়েছিল। ৬২ রানের মধ্যেই ফিরে যান প্রথম চার ব্যাটসম্যান সৈকত আলী, উপুল থারাঙ্গা, হাবিবুর রহমান ও নাঈম ইসলাম। এর পর ফয়সাল হোসেন ডিকেন্সকে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ান মুশফিক। ২৬ রান করে ফয়সাল ফিরে গেলেও থামেননি মুশফিক। আরিফুলকে নিয়ে মোহামেডানকে টেনে তুলেছেন। শেষ পর্যন্ত মোহামেডানের ১৮৮ রানে যখন আউট হলেন, মুশফিকের একারই রান তখন ১০৪। আরিফুল অবশ্য ৪২ রানে অপরাজিত থেকে শেষ পর্যন্ত ছিলেন। শেষদিকে নাজমুল হোসেন মিলন খেলেছেন ১১ বলে ১৯ রানের ছটো ক্যামিও। মোহামেডান করতে পেরেছে ২৪৭।

    মুশফিকের ১০৪ রানে চারের ছেয়ে ছয়ই বেশি ছিল। চার মেরেছেন চারটি, আর ছয় মেরেছেন পাঁচটি। মোট রানের ৪৬-ই এসেছে বাউন্ডারি থেকে। সবচেয়ে বেশি তোপ গেছে মুমিনুলের ওপর, বাঁহাতি স্পিনারের ২ ওভার থেকেই নিয়েছেন ২১ রান। ২৯ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ভিক্টোরিয়ার সফলতম বোলার সোহরাওয়ার্দী শুভ।

    কিন্তু মুশফিকের এমন একটা ইনিংসও দলকে জেতাতে পারেনি। ৮ বল বাকি থাকতেই মোহামেডানের ২৪৭ রান টপকে গেছে ভিক্টোরিয়া। ৩৯ বলে অপরাজিত ৫১ রান করে নাদিফ চৌধুরী এনে দিয়েছেন স্মরণীয় একটা জয়। ম্যাচসেরার পুরস্কারটাও মুশফিকের কাছে নিশ্চয় সান্ত্বনা হতে পারেনি।