• ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    রানে ফিরলেন 'পজিটিভ' সাব্বির

    রানে ফিরলেন 'পজিটিভ' সাব্বির    

    বাংলাদেশ ক্রিকেটে সময়ের অন্যতম সেরা ‘হিটার’ ব্যাটসম্যান মনে করা হয় থাকে তাঁকে। তবে গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টেন থেকেই ব্যাটে রানটা সেভাবে আসছিল না। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের প্রথম দু’ ম্যাচেও সাব্বির রহমানকে ঠিক তাঁর চেনা রুপে পাওয়া যায় নি। তবে তৃতীয় ম্যাচেই দারুণ এক অর্ধশতক তুলে নিয়ে দলের জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন। ম্যাচসেরা শুভাগত হোমের সাথে তাঁর ১০৬ রানের জুটির সুবাদে ২৮০ রানের বড় স্কোর গড়ে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। আর এর পিছনে উইকেটে ‘ইতিবাচক’ থাকতে পারাটাকেই কারণ বলে মনে করছেন সাব্বির।

     

    টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪৮.৪ ওভারে সবক'টি উইকেট হারিয়ে ২৮০ রান করে প্রাইম ব্যাংক। দলের পক্ষে অধিনায়ক শুভাগত হোম ৬০ ও সাব্বির রহমান ৫৩ রান করেন। অসুস্থতা নিয়েও মাঠে নেমে কলাবাগানের পক্ষে ৪ উইকেট নেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪৫.৪ ওভারে ২৩৩ রানের অলআউট হয়ে যায় কলাবাগান। ব্যাট হাতে ৬০ রানের পর বল হাতেও ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন শুভাগত হোম।

     

    স্কোরবোর্ডে ২৮০ রান যথেষ্ট ছিল বলেই মনে করেন সাব্বির। তবে ৪৭ রানের জয়ে বোলারদেরকেও কৃতিত্ব দিতে ভুলছেন না তিনি, “উইকেট ভালো ছিল, রানটাও কম ছিল না। ২৮০ রান তাড়া করাটা আসলে অতো সহজ না। জয়ে ভাগ্যের একটা ব্যাপার তো থাকেই, তারপরও বলবো আমরা ভালো জায়গায় বল করেছি বলেই জয় সহজ হয়েছে।”

     

    মেহেদী মারুফ ও নুরুল হাসান সোহানের উদ্বোধনী জুটিতে শুভ সূচনা করলেও চার ওভারের মধ্যে তিন হারিয়ে খানিকটা বিপাকেই পড়ে যায় প্রাইম ব্যাংক। ৩ উইকেটে ৬৯ রান থেকে সাব্বির-শুভাগতর জুটি সংগ্রহ নিয়ে যায় ৪ উইকেটে ১৭৫ রানে। চাপ না নেয়ার কারণেই এমন সাফল্য বলে মনে করছেন সাব্বির, “আমার নিজের এবং শুভাগতর প্রতি আমার একটাই বার্তা ছিল যে, ইতিবাচক থাকতে হবে। ইতিবাচক থাকলে যে কোনো বোলারকেই চার্জ করা যায়। আমাদের পরিকল্পনাটা এমন ছিল যে খারাপ বল পেলে মারবো, ভালো বলে দুয়েক রান করে নিবো। সবচেয়ে বড় কথা ছিল, উইকেট পড়ুক আর যাই হোক আমরা ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে খেলবো।”

     

    বোলিংয়ে ভালো জায়গায় বল করাটাকেই বেশী গুরুত্ব দিচ্ছেন সাব্বির, “আমাদের দলে রুবেলের মতো একজন জাতীয় দলের পেসার ছিল। এছাড়া আমরা পাঁচজন স্পিনারও ব্যবহার করেছি। উইকেটের সাথে স্পিনাররা বেশ ভালোভাবেই মানিয়ে নিয়েছিল। আর ২৮০ রান তাড়া করতে ওভারপ্রতি সাড়ে পাঁচ করে রান দরকার, ব্যাপারটা সহজ না অবশ্যই। তবে সবচেয়ে বড় বিষয় আমরা ভালো জায়গায় বল করেছি এবং সাফল্যও পেয়েছি।”