• ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    মাহমুদুল্লাহ-মার্শালের একদিন

    মাহমুদুল্লাহ-মার্শালের একদিন    

     

    গত বছরের চব্বিশে মে। বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে চারদিনের ম্যাচ চলছে। নর্থ জোনের বিপক্ষে ৬২ রানে চার উইকেট হারিয়ে ফেলা সেন্ট্রাল জোনের হয়ে ১৪৮ রানের বড় জুটি গড়ে দলকে বিপদমুক্ত করেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও মার্শাল আইয়ুব। এক বছর বাদে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে রঙিন পোশাকের ক্রিকেটে সেই দিনটাই যেন ফিরে এলো আরও রঙিন হয়ে। মাহমুদুল্লাহ-মার্শালের জোড়া শতকে ক্রিকেট কোচিং স্কুলের বিপক্ষে ৯০ রানের বড় জয় পেয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব।

     

     

    একদিনের ক্রিকেটে সর্বশেষ শতকটা পেয়েছিলেন গত বছরের বিশ্বকাপে। দেশে ফিরে বাকি বছরটা খুব ভালো যায় নি; দশ ইনিংসে দুটো অর্ধশতক, পাঁচটিতে রান দু’ অংকই ছোঁয় নি। চলতি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের প্রথম চার ম্যাচেও ব্যাটের হাসিটা চওড়া হয় নি। অবশেষে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে বড় ইনিংসের দেখা পেলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। আর লম্বা সংস্করণের ক্রিকেটে নিয়মিতই রান পেয়ে আসা মার্শাল আইয়ুব এবার সপ্রতিভ হলেন একদিনের ক্রিকেটেও, পেয়েছেন ‘লিস্ট এ’ ক্রিকেটে অভিষেক শতক।

     

     

    টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৩৪ রানে দুই উইকেট খুইয়ে বসে শেখ জামাল। ক্রিকেট কোচিং স্কুলের বাঁহাতি স্পিনার সালেহ আহমেদ শাওন গাজী পরপর দু’ ওভারে ফেরান দুই ওপেনারকে। এরপরই উইকেটে এসে ২০৩ রানের জুটি গড়েন মাহমুদুল্লাহ ও মার্শাল। মাহমুদুল্লাহ ১৩৯ বলে ১৩০ রান করেন ৮ চার, ৫ ছয়ে। আর ১১৫ বলে ১২ চারে ১০৩ করেন গত বছরের জাতীয় লিগে ঢাকা মেট্রোর হয়ে টানা দুই দিনে দুই শতক করা মার্শাল। এই জুটি পুঁজি করে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ২৯০ রান করে শেখ জামাল।

     

     

    জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪৮.৩ ওভারে ২০০ রানেই অল-আউট হয়ে যায় ক্রিকেট কোচিং স্কুল। শেখ জামালের পক্ষে শফিউল ইসলাম, মুক্তার আলী ও জীবন মেন্ডিস ২টি করে উইকেট নেন।

     

     

    দিনের অপর দুই ম্যাচে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ৬ উইকেটে কলাবাগান ক্রীড়াচক্রকে ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ডি/এল মেথডে ৪ উইকেটে কলাবাগান ক্রিকেট একাডেমীকে পরাজিত করে।