• লা লিগা
  • " />

     

    যে তারারা থাকতে পারতেন- শেষ পর্ব

    যে তারারা থাকতে পারতেন- শেষ পর্ব    

    আরো পড়ুনঃ
    যে তারারা থাকতে পারতেন- পর্ব ৪
    যে তারারা থাকতে পারতেন- পর্ব ৩
    যে তারারা থাকতে পারতেন- পর্ব ২
    যে তারারা থাকতে পারতেন- পর্ব ১


     

    ২০১৩-১৪ মৌসুমের দ্বিতীয় এল ক্লাসিকোর কথা। ম্যাচের আগে স্বাভাবিকভাবেই বার্সেলোনা, মাদ্রিদে তুমুল উত্তেজনা। ওদিকে স্পেনেরই আরেক শহরে ম্যাচ নিয়ে স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশিই রোমাঞ্চের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। আন্দালুসিয়ার সেভিল শহরের সবচেয়ে বড় ক্লাব সেভিয়ার সমর্থকদের কথা বলা হচ্ছে। এই ক্লাসিকোটি নিয়ে সেভিয়ার সমর্থকেরা যেকোনো বিষয়ে বাঙ্গালীদের দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে যাওয়ার মত ভাগ হয়ে গিয়েছিল। একদিকে দিয়েগো লোপেজ, সার্জিও রামোস আর অন্যদিকে দানি আলভেজ, ইভান রাকিটিচ। নিজেদের পুরনো খেলোয়াড়দের প্রতি টান থেকেই মূলত এই সমর্থনের বিভাজন। অথচ, এই আলভেজ, রাকিটিচ, রামোসরা থেকে গেলে সেভিয়াও যে বার্সা-মাদ্রিদ-অ্যাতলেতিকোর সাথে লা লিগার শিরোপার জন্য পাল্লা দিয়ে লড়তো, তা অবিশ্বাস করার চেয়ে বিশ্বাসী লোকের সংখ্যাই বেশি হবে তা হলফ করেই বলা যায়।

     

    ভুল সময়ে জন্মানো ফুটবলারদের একটা তালিকা বানালে দিয়েগো লোপেজের নাম একেবারেই শুরুর দিকে থাকবে। দীর্ঘদেহী এই গোলরক্ষকের সামর্থ্য নিয়ে কখনোই প্রশ্ন ছিল না, কিন্তু হায়! তার প্রতিদ্বন্দী ছিলেন ইকার ক্যাসিয়াস নামের এক ভদ্রলোক। এজন্যই রিয়ালের একাডেমীর দলগুলোতে খেলে মূল দলে আসলেও সর্বসাকুল্যে মাত্র দুটি ম্যাচ খেলতে পেরেছিলেন লোপেজ। ভিলারিয়াল অবশ্য প্রতিভা চিনতে ভুল করেনি। মাত্র ৬ মিলিয়নের বিনিময়ে তাকে দলে ভেড়ায় ‘ইয়েলো সাবমেরিন’রা। এই পাঁচ বছর লোপেজকে দলে ভেড়ানোর অসংখ্য ব্যর্থ চেষ্টার পর অবশেষে ২০১২ সালে তাকে সেভিলে আনতে সক্ষম হন সেভিয়ার স্পোর্টিং ডিরেক্টর র‍্যামন মঞ্চি। কিন্তু রিয়ালও যে ক্যাসিয়াস থাকায় লোপেজের কথা একেবারেই ভুলে গিয়েছিল, তা কিন্তু নয়। ভিলারিয়াল, সেভিয়া-দুই ক্লাবের সাথে চুক্তিতেই ‘বাই-ব্যাক’ ক্লজ জুড়ে দিয়েছিল ‘লস ব্লাঙ্কোস’রা। ১২-১৩ মৌসুমে ক্যাসিয়াসের আঙ্গুল ভেঙ্গে যাওয়ায় আর বেঞ্চে অভিজ্ঞ কেউ না থাকায় জরুরী ভিত্তিতে সেভিয়া থেকে ফেরত আনা হয় লোপেজকে। সার্জিও রিকোর ধারাবাহিকতায় এখন লোপেজের অভাব অতটা বোঝা না গেলেও লোপেজ যাওয়ার পরের দুই বছর গোলরক্ষক নিয়ে বেশ ঝামেলার সম্মুখীন হতে হয়েছিল সেভিয়াকে।

     

    মাত্র ১৯ বছর বয়সে ০২-০৩ মৌসুমের গ্রীষ্মকালীন দলবদলে ব্রাজিলের ক্লাব বাহিয়া থেকে ধারে সেভিয়ায় আসেন দানি আলভেজ। এসেই ফিফা ইয়ুথ চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে যান। ব্রাজিল টুর্নামেন্টটি জেতে এবং আলভেজ হন তৃতীয় সেরা খেলোয়াড়। এরপরপরই ধারের চুক্তিটি স্থায়ী চুক্তিতে পরিণত হয়। এরপরের টানা চার বছর সেভিয়ার রাইটব্যাকের ছিলেন আলভেজ। ২০০৬ সালে জেতেন ইউয়েফা কাপ(বর্তমানের ইউরোপা লিগ)। ২০০৭ এর দলবদলে প্রকাশ্যে ঘোষণা দেন সেভিয়া ছেড়ে বড় কোনো দলে যাওয়ার। চেলসির থেকে বেশকিছু অফার আসলেও সেভিয়া প্রেসিডেন্ট দেল নিদোর জন্য চুক্তিটা ভেস্তে যায়। এই নিয়ে আলভেজ ও দেল নিদোর মাঝে কথা ঝড় চলতে থাকে এবং এর এক বছর পরেই বার্সেলোনায় পাড়ি জমান আলভেজ। বিদায়বেলায় প্রেস কনফারেন্সে তার শিশুসুলভ কান্না আজো সেভিয়া সমর্থকদের মনে শূলের মত বিঁধে। আলভেজের মতই সেভিয়া সমর্থকদের চোখের মণি ছিলেন আলবার্তো মরেনো। সেভিয়ার ইয়ুথ দলগুলোতে খেলে এসে ২০১২ সালে সেভিয়ার মূল দলে অভিষিক্ত হন মরেনো। ঐ মৌসুমে মূলত বেঞ্চওয়ার্মার থাকলেও পরের মৌসুমে টিমশিটে তার নামটা প্রথম দিকেই থাকতো। সেবার সেভিয়ার ইউরোপা লিগ জয়ে তার উপস্থিতি ছিল অপরিহার্য। মরেনোর এরকম ধারাবাহিক ও চোখধাঁধানো পারফরম্যান্স নজরে কাড়ে লিভারপুলের। ১৪-১৫ মৌসুমে ১৮ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে তাকে দলে ভেড়ায় ‘অল রেড’রা। সেভিয়ার রাইট ও লেফটব্যাক পজিশনে আজো এই দুইজনের অভাব স্পষ্ট।

     

    আলভেজের মত সেভিয়াই ছিল আর্জেন্টাইন ফেদেরিকো ফাজিও’র প্রথম ইউরোপিয়ান ক্লাব। ০৭-০৮ মৌসুমে অভিষেকের পর থেকে পরের দুই মৌসুম সেভিয়ার ডিফেন্সের অতন্দ্র প্রহরীর দায়িত্ব পালন করেছেন ফাজিও। শুধু গোল বাঁচিয়ে না। দলের প্রয়োজনে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ গোলও করেছেন তিনি। ১০-১১  মৌসুমে ইঞ্জুরির দরুণ বেশি খেলতে না পারলেও ১১-১২ থেকে ১৩-১৪ মৌসুম পর্যন্ত টানা খেলে গেছেন তিনি। দলের হয়ে জিতেছেন কোপা দেল রে ও ইউরোপা লিগ। পচেত্তিনোর অধীনে নতুন যুগের সূচনায় বেশকিছু খেলোয়াড় কিনেছিল স্পার্স। ফাজিও ছিলেন অন্যতম। কিন্তু এক মৌসুম পরেই তাকে ধারে সেভিয়াতেই পাঠিয়ে দেয় স্পার্স। মাত্র ১৭ বছর বয়সেই সেভিয়ার বি টীমের ক্যাপ্টেন হওয়া সার্জিও রামোসের মূল দলে অভিষেক হয় মাত্র এক বছর পরেই, ০৪-০৫ মৌসুমে। ঐ মৌসুমে মোট ৪১বার সেভিয়ার হয়ে নেমেছিলেন রামোস। খুব সম্ভবত তার সবচেয়ে নজরকাড়া পারফরম্যান্স ছিল হোমে রিয়াল মাদ্রিদের সাথে ২-২ ড্রয়ের ম্যাচটি, যেখানে ফ্রিকিক থেকে দর্শনীয় এক গোল করেছিলেন তিনি। কিন্তু এর পরের মৌসুমেই এই রিয়াল মাদ্রিদেই যোগ দেন রামোস। মাত্র ১৯ বছর চয়সী একজনের জন্য ২৭ মিলিয়ন ইউরো খরচ করা যে খুব ভুল হয়নি, তা রামোসের মাদ্রিদ ক্যারিয়ার ও অর্জনের দিকে তাকালেই বোঝা যায়।

     

    মরেনোর মত মাত্র এক মৌসুম খেললেও এখনো সেভিয়া সমর্থকদের অন্যতম বড় দীর্ঘঃশ্বাস হলেন ফ্রেঞ্চ তারকা জেফ্রি কন্ডগবিয়া ও সেইদু কেইটা। ২০১২ সালে ফ্রেঞ্চ ক্লাব লেন্স থেকে মাত্র ৩ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে কন্ডগবিয়াকে কিনে নেয় সেভিয়া।  ১২-১৩ মৌসুমে ইভান রাকিটিচের সাথে সেভিয়ার মধ্যমাঠের সেনানীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি। প্রথম মৌসুমেই এতটা দায়িত্ব ও দক্ষতার সাথে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স দিতে থাকায় অল্পদিনের মধ্যেই সেভিয়া সমর্থকদের মাঝে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন কন্ডগবিয়া। রাশিয়ান পেট্রোডলারে পুষ্ট মোনাকোর খেলোয়াড় কেনার মিছিলে শামিল হন কন্ডগবিয়াও। ২০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে এক মৌসুম পরেই নিজ দেশের লিগে ফেরত যান জেফ্রি কন্ডগবিয়া। মার্শেই, লরিয়েন্ত, লেন্স-বলতে গেলে পুরো ফ্রান্স চষে বেড়িয়ে ০৭-০৮ মৌসুমে সেভিয়ায় যোগ দেন কেইটা। ঐ মৌসুমে সেভিয়ার পঞ্চম হওয়ার পেছনে তার অবদান ছিল অনস্বীকার্য। একই মৌসুমে সেভিয়ার হয়ে রিয়াল মাদ্রিদকে ৬-৩ অ্যাগ্রিগেটে হারিয়ে স্প্যানিশ সুপারকাপ জেতেন কেইটা। আবার লা লিগাতেও রিয়ালের বিপক্ষে ২-০ গোলের জয়ে দূরপাল্লার এক আচমকা শটে বল জালে জড়ান তিনি। এরপর বার্সা থেকে অফার আসলে তাকে বিক্রি করতে বাধ্য হয় সেভিয়া।

     

    সেভিয়ার সাম্প্রতিককালের বিক্রি করা খেলোয়াড়দের মধ্যে খুব সম্ভবত সবচেয়ে প্রতিভাবান ছিলেন ইভান রাকিটিচ। ২০১১ সালে শালকে থেকে মাত্র ২.৫ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে তাকে দলে ভেড়ায় সেভিয়া। প্রথম মৌসুমে ভাল সূচনা করলেও ইঞ্জুরির কারণে মাত্র দশটি ম্যাচ খেলতে সক্ষম হন রাকিটিচ। ১১-১২ মৌসুমে সম্পূর্ণ ফিট রাকিটিচ তার জাত চেনানো শুরু করেন। পরের দুই মৌসুম মিলিয়ে ১২ গোল ও ১৬ অ্যাসিস্ট করলেও সেভিয়ার হয়ে রাকিটিচের সেরা মৌসুম ছিল ১৩-১৪ মৌসুমটি, যেবার সেভিয়া ইউরোপা লিগ জিতেছিল। এই মৌসুমে বার্সা, রিয়াল, অ্যাতলেতিকোর বিপক্ষে স্মরণীয় কিছু পারফরম্যান্স ছিল তার। একমাত্র ক্যাপ্টেন হিসেবে ইউরোপা লিগ জয় এবং ম্যান অফ দ্যা ফাইনাল হওয়ার গৌরব অর্জন করেন রাকিটিচ। এই মৌসুমে লা লিগার ও ইউরোপা লিগের টীম অফ দ্যা সীজনেও জায়গা করে নেন তিনি। মৌসুম শেষ করেন ১৫ গোল ও ১৭ অ্যাসিস্ট নিয়ে। এরপরই বার্সা-রিয়ালের মধ্যে তাকে সই করানো নিয়ে প্রতিযোগীতা শুরু হয়। অতঃপর মাত্র ১৮ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে বার্সার সাথে চুক্তিবদ্ধ হন রাকিটিচ।

     

    ২০০৩ থেকে ২০১৩-টানা দশ বছর সেভিয়ার হয়ে খেলে গেছেন হেসুস নাভাস। প্রথম দুই বছর বি টীমের হয়ে খেললেও ২০০৫ সালে নাভাসকে স্থায়ীভাবে মূল দলে উন্নীত করে সেভিয়া। এরপর থেকে ২০১০ পর্যন্ত সেভিয়ার ডানপ্রান্ত সামলেছেন নাভাস। ২০০৬ সালের ইউয়েফা কাপ জয়ের মৌসুমে অন্যতম সেরা খেলোয়াড় ছিলেন । এই ৫ মৌসুমের কোনোটিতেই ৪০ এর নিচে ম্যাচ খেলেননি । কিন্তু ২০১০ সাল থেকে ইঞ্জুরি তার নিত্যসঙ্গী হয়ে পড়ে। এরপরে খেলায় ফিরলেও আগের ধার খুঁজে পেতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে নাভাসকে। অতঃপর ২১০৩ সালে দীর্ঘ এক দশক পর ইংল্যান্ডে ম্যানসিটির হয়ে চুক্তি সই করেন নাভাসের সাথে সেভিয়ার অ্যাটাকে অসাধারণ এক বোঝাপড়া গড়ে তুলেছিলেন আলভারো নেগ্রেদো। ০৯-১০ মৌসুমে ধারাবাহিক হলেও এরপরের মৌসুমে ফর্মহীনতার কারণে সাইডলাইনেই কাটাতে হয়েছিল মৌসুমের সিংহভাগ। কিন্তু ১১-১২ মৌসুম থেকেই আবার স্বরূপে ফেরেন নেগ্রেদো। ঐ মৌসুমে সর্বমোট ২৭বার জাল খুঁজে পান স্প্যানিশ এই ফরওয়ার্ড। ১২-১৩ মৌসুমে লিগে ১৭ গোল দিয়ে জিতে নেন ‘জারা’ ট্রফি। এরপরই দীর্ঘদিনের বন্ধু হেসুস নাভাসের সাথে তার পূনর্মিলনী ঘটে ম্যানসিটিতে। নাভাস-নেগ্রেদো জুটির জন্য সিটিকে গুণতে হয় ৪৫ মিলিয়ন ইউরো।

     

    ২০১৩ মৌসুমে নাভাস-নেগ্রেদো চলে যাওয়ার ফলে স্ট্রাইকার কেনা অপরিহার্য হয়ে পড়ে সেভিয়ার। তৎকালীন স্পোর্টিং ডিরেক্টর র‍্যামন মঞ্চির সন্ধানী চোখ খুঁজে পায় বেলজিয়ান লিগ মাতানো অপরিচিত এক স্ট্রাইকারকে। আর দেরী না করে ৭ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে বেলজিয়াম থেকে স্পেনে নিয়ে আসা হয় কার্লোস বাক্কাকে। সেভিয়া থাকাকালীন দুই মৌসুমে ৮২ ম্যাচে গোল করেছিলেন ৪৪টি। এর মধ্যে ১৪-১৫ মৌসুমের ইউরোপা লিগ ফাইনালে গোল করেছিলেন দুটি। ১৩-১৪ মৌসুমের ইউরোপা লিগ জয়েও তার অবদান ছিল অসাধারণ। এই মৌসুমে ডি মারিয়া, মেসি ও নেইমারের মত তারকাকে পেছনে লা লিগার সেরা লাতিন আমেরিকার খেলোয়াড় উপাধিতে ভূষিত হন বাক্কা। এরপর এসি মিলানের দেওয়া ৩০ মিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা অসম্ভব হয়ে পড়ে সেভিয়ার পক্ষে। ফলে দুই মৌসুম পরে আবারো দল পরিবর্তন করে মিলানে চলে যান কার্লোস বাক্কা।

     

    এই এগারো জন ছাড়াও আরো কিছু তারকাকে আর্থিক অস্বচ্ছলতার দরুণ বিক্রি করতে হয়েছিল সেভিয়ার, যেমনঃ আদিল রামি, ফ্রেডি কানুটে, লুইস ফ্যাবিয়ানো, পিওতর ট্রকোওস্কি, পালপ, আদ্রিয়ানো প্রমুখ। এর মধ্যে লুইস ফ্যাবিয়ানো ও ফ্রেডি কানুটের ট্রান্সফারের কারণে সেভিয়ার সমর্থক ও বোর্ডের মাঝে রীতিমত দাঙ্গা লেগে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল।

     

    চতুর্থ স্থানে মৌসুম শেষ করা, অতঃপর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ গ্রুপপর্ব থেকে বাদ পড়ে ইউরোপা লিগ জয়, পরের মৌসুমে আবারো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপপর্ব থেকে বাদ পড়া- বিগত তিন মৌসুম ধরেই সেভিয়া যেন এই বৃত্তেই ঘুরপাক খাচ্ছে।

     

     


    সেভিয়া, যা হতে পারতো...