• সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ
  • " />

     

    র‍্যাংকিংয়ে প্রায় একশ ধাপ এগিয়ে থাকা লেবাননের কাছে হেরেও বাংলাদেশের আফসোস

    র‍্যাংকিংয়ে প্রায় একশ ধাপ এগিয়ে থাকা লেবাননের কাছে হেরেও বাংলাদেশের আফসোস    

    র‍্যাংকিংয়ে দুই দেশের ব্যবধান প্রায় ১০০র কাছাকাছি। ২-০ স্কোরলাইন বলছে লেবানন ম্যাচটা জিতেছে সেই ব্যবধানটা বুঝিয়ে দিয়ে। কিন্তু বাংলাদেশ আফসোস করতেই পারে, সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে ম্যাচের ফল অন্যরকম হতেই পারত। দ্বিতীয়ার্ধে একটা সময় ভালো খেলেও ম্যাচটা হারতে হয়েছে। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের শুরুটা হলো তাই হার দিয়েই। 

    লেবানন শক্তিতে বাংলাদেশ থেকে অনেক এগিয়ে। বাংলাদেশের জন্য এক পয়েন্ট ছিল বড় কিছু। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশের খেলাটা বুঝতে দিচ্ছিল না দুই দলের পার্থক্য। গোল খাওয়ার আগেও দারুণ কিছু অ্যাটাক করেছিল বাংলাদেশ, মধ্যমাঠে ছিল ভালো পাসিং। সোহেল রানা-হৃদয়রা মধ্যমাঠে ছিলেন উজ্জ্বল। ডিফেন্সে ইসা-তারিক-তপুরা খেলছিলেন ভালো। কিন্তু সুযোগ মিসের খেসারত দিতে হয় শেষ পর্যন্ত।

    ১১ মিনিটে বাঁ প্রান্তে ফ্রিক পায় বাংলাদেশ। কিন্তু জামাল ভুইঁয়ার কিক থেকে কেউ মাথা ছোঁয়তে পারেনি। ১৬ মিনিটে বক্সের ঠিক মাথা থেকে দারুইশের শট একটুর জন্য চলে যায় পোশট ঘেঁষে। ২১ মিনিটে ডান দিকে ফয়সাল আহমেদ ফাহিম দারুণ একটা ক্রস করেছিলেন। কিন্তু লাফিয়ে বলে হাত ছুঁইয়ে লেবাননের কিপার সেটা বিপদমুক্ত করেন। ২২ মিনিটে জামালের দূর থেকে শট বড় বিপদের কারণ হয়নি। লেবানন এরপর একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে। ৩৫ মিনিটে জিকোর সেভে বিপদমুক্ত করেছেন বাংলাদেশকে।

    ম্যাচের ৪৩ মিনিটে প্রথমার্ধে সেরা সুযোগটা পেয়ে যায় বাংলাদেশ। ডান দিক থেকে ফয়সাল দারুণভাবে ঢুকে পড়েছিলেন বক্সে। ক্রস করতে পারতেন, কিন্তু নিয়ার পোস্টে শট করার সিদ্ধান্ত নিলেন। কিন্তু লেবানন কিপার সেটা ঠেকিয়ে দেওয়ায় গোল হয়নি।প্রথমার্ধের শেষ দিকে বক্সের ভেতর ঢুকে পড়েছিলেন এল হাজ। কিন্তু বক্সের ভেতর তার পাসে কেউ পা ছোঁয়াতে পারেননি।

    ৬০ মিনিটে ম্যাচের সেরা সুযোগ পেয়ে যায় বাংলাদেশ। গোলকিপারকে ওয়ান অন ওয়ান পেয়ে গিয়েছিলেন ফাহিম। কিন্তু সরাসরি মেরে দেন গোলকিপারের গায়ে। বাংলাদেশকে এই সুযোগ নষ্টের শাস্তি দিয়ে শেষ পর্যন্ত ৭৬ মিনিটে এগিয়ে যায় লেবানন। তারিক কাজী বল ঠিকঠাক ক্লিয়ার করতে পারেননি। সেই সুযোগে হাসান মাতুক গোল করে স্তব্ধ করে দেন বাংলাদেশ। শেষ মুহূর্তে গোলের জন্য মরিয়া বাংলাদেশ উল্টো আরেকটি গোল খেয়ে বসে।