• সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ
  • " />

     

    দুর্দান্ত কামব্যাকে ২০ বছর পর মালদ্বীপকে হারিয়ে বাংলাদেশের মধুর প্রতিশোধ

    দুর্দান্ত কামব্যাকে ২০ বছর পর মালদ্বীপকে হারিয়ে বাংলাদেশের মধুর প্রতিশোধ    

    সর্বশেষ বাংলাদেশ কোনো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে কামব্যাক করেছে কবে? সর্বশেষ বাংলাদেশ কোন মালদ্বীপকে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের কোনো ম্যাচে হারিয়েছে? দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে আপনাকে ২০ বছর পেছনে যেতে হবে। ২০০৩ সালে সাফের পর বাংলাদেশ আর কোনো ম্যাচে মালদ্বীপকে হারাতে পারেনি। সর্বশেষ সাফে এই মালদ্বীপের কাছেই ২-০ গোলে হেরে বাংলাদেশের বিদায়ঘণ্টা বেজে গিয়েছিল। সেই বাংলাদেশ এবার মালদ্বীপকে হালাও ৩-১ গোলে। রাকিব, তারিক কাজী ও মোরসালিনের গোলে বাংলাদেশ পেয়েছে অনেক স্বস্তির জয়। 

    ম্যাচের শুরু থেকে বাংলাদেশ দাপটের সাথেই খেলতে থাকে। কিন্তু ১৭ মিনিতে হামজার বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক শটে এগিয়ে যায় মালদ্বীপ। বাংলাদেশ এরপর গোল শোধ করার চেষ্টা করতে থাকে। অবশেষে সেটি আসে ৪২ মিনিট। থ্রো ইন থেকে তপুর হেডের পর দারুণ এক হেড করে দলকে এগিয়ে দেন রাকিব। প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-১ গোলে। 

    দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই বিশ্বনাথ আরেকটা সুযোগ পেয়ে যান, কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি। ৬০ মিনিটে বদলি হিসেবে নামেন নি, ইব্রাহীম, মোরসালিন। বাংলাদেশের খেলার ধার তাতে আরও বেড়ে যায়। বার বার কর্নার পেয়েও লাজে লাগাতে পারছিল না। শেষ পর্যন্ত ৬৭ মিনিটে সেই কর্নার কিক থেকেই আসে গোল। বক্সের মধ্যে জটলা থেকে বার কয়েক চেষ্টার পর তারিক কাজীর হেড জড়িয়ে যায় জালে। 

    এরপর মালদ্বীপ সেরকম চেষ্টাও করতে পারছিল না। বরং শেষের দিকে বিশ্বনাথের পাস থেকে দারুণ এক কাটব্যাকের পর মোরসালিন বাঁ পায়ের মাপা প্লেসিং শটে কাছের পোস্টে বল জড়িয়ে দেন জালে। পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত ছিলেন বাংলাদেশের ডিফেন্ডাররা। বিশ্বনাথ, ইসা, তারিক, তপু ছিলেন উজ্জ্বল। শেষ দিকে তারিকের চোট পেয়ে উঠে যাওয়াটা একটু দুশ্চিন্তা হতে পারে। 

    তবে আপাতত বাংলাদেশের স্বস্তি ৩ পয়েন্ট। প্রথম  ম্যাচে লেবাননের কাছে হারের পর এই জয়ে টিকে রইল ভালোমতোই। শেষ ম্যাচে ভুটানের সাথে জয় নিশ্চিত করে দিতে পারে সাফের সেমিফাইনাল। বাংলাদেশ সেটাই পাখির চোখ করবে।