• আইপিএল ২০২৩
  • " />

     

    হার্দিক পান্ডিয়ার দলবদল : যেভাবে হয় আইপিএলের কেনাবেচা

    হার্দিক পান্ডিয়ার দলবদল : যেভাবে হয় আইপিএলের কেনাবেচা    

    হার্দিক পান্ডিয়ার মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সে ফেরা নিয়ে কয়েক দফা নাটকই যেন হয়ে গেল গত কয়েক দিনে। কখনো শোনা গেছে গুজরাট তাকে ধরে রেখেছে, আবার কখনো শোনা গেছে মুম্বাই তাকে ফেরাচ্ছে। অবশেষে নিলামের আগেই দুই মৌসুম পর তাকে ফেরাল মুম্বাই। পান্ডিয়াকে ফেরাতে মুম্বাই হেঁটেছে আইপিএলের প্লেয়ার ট্রেড পদ্ধতিতে। কী এই প্লেয়ার ট্রেড? আইপিএলে কীভাবে কাজ করে ক্রিকেটারদের দলবদলের এই পদ্ধতি?

     

    প্লেয়ার ট্রেড কী? 

    এক কথায় বললে, কোনো একজন ক্রিকেটার নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে আইপিএলের এক ফ্র্যাঞ্চাইজি থেকে অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজিতে গেলেই তাকে প্লেয়ার ট্রেড বলা হয়। আইপিএলে দলবদল করা হয় প্লেয়ার উইন্ডোতে। এর জন্য আছে দুটি নিয়ম। অল ক্যাশ ডিল ও প্লেয়ার সোয়াপিং।

    ট্রেডিং উইন্ডো কী?

     

    আইপিএলের প্লেয়ার ট্রেডিং বা দলবদলের উইন্ডো খোলা হয় কোনো আসর শেষ হওয়ার এক মাস পর। যেটা চালু থাকে পরের আসরের নিলামের এক সপ্তাহ আগ পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে যেকোনো ক্রিকেটারকে দলে নিতে পারে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। বর্তমান ট্রেডিং উইন্ডো কার্যকর থাকবে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত । কারণ এই বছরের ১৯ ডিসেম্বর হবে আইপিএলের নিলাম।

    আইপিএলে প্রথম কখন হয়েছিল প্লেয়ার ট্রেড?

    আইপিএলে সর্বপ্রথম প্লেয়ার ট্রেড হয়েছিল ২০০৯ সালে। আশিস নেহরার সাথে অদলবদল করে শিখর ধাওয়ানকে তৎকালীন দিল্লি ডেয়ার ডেভিলস থেকে দলে টেনেছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।

    কীভাবে হয় প্লেয়ার ট্রেডিং?

     

    আগেই জেনেছেন প্লেয়ার ট্রেড হয় দুইভাবে। একে বলা হয় ওয়ান ওয়ে ট্রেড ও টু ওয়ে ট্রেড। অল ক্যাশ ডিলকে বলা হয় ওয়ান ওয়ে ট্রেডিং। ধরে নিই কলকাতা নাইট রাইডার্সের কোনো একজন ক্রিকেটারকে দলে নেয়ার জন্য আগ্রহী দিল্লি ক্যাপিটালস সেক্ষেত্রে দলবদলের জন্য দিল্লিকে পরিশোধ করতে হবে আগের আসরে নিলামে সেই ক্রিকেটারকে যত টাকা দিয়ে কলকাতা কিনেছিল, ঠিক তত পরিমাণ টাকা। ডিরেক্ট সাইনিং করা কোনো ক্রিকেটারের ক্ষেত্রেও সমপরিমাণ অর্থই পরিশোধ করতে হয় আগ্রহী ফ্র্যাঞ্চাইজিকে।  

    টু ওয়ে সাইনিং মূলত প্লেয়ার সোয়াপিংকেই বোঝায়। সমঝোতার ভিত্তিতে দুটি ফ্র্যাঞ্চাইজি একজন করে ক্রিকেটার অদল বদল করতে পারে নিজেদের মধ্যে। এক্ষেত্রে আর্থিক কোনো লেনদেন হয় না। গত আইপিএলে টু ওয়ে ট্রেডিং হয়েছিল কলকাতা ও দিল্লীর মধ্যে। দিল্লি থেকে শার্দুল গিয়েছিলেন কলকাতায় আমান খানের সাথে অদল বদল করে।

     

    ওয়ান ওয়ে ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে ক্রিকেটারদের চুক্তির সমপরিমাণ অর্থের পাশাপাশি একটা ট্রান্সফার ফিও দিতে হয়, যেটা নির্ধারিত হয় ট্রেডিংয়ে অংশ নেয়া দুই ফ্র্যাঞ্চাইজির আলোচনার মাধ্যমে। এই ট্রান্সফার ফি কত হবে, তার কোনো বাধা ধরা নিয়ম নেই। চুক্তি পত্রে উল্লেখ থাকলে এই ট্রান্সফার ফির ৫০ শতাংশ পান ট্রেডেড ক্রিকেটার।

    আইপিএলের নিলামে প্লেয়ার ট্রেডের প্রভাব কেমন?

    এবার নির্ধারিত ১০০ কোটি রূপি নিয়ে নিলামে যাবে প্রতিটি দল। যেখানে ট্রান্সফার ফির সরাসরি কোনো প্রভাব নেই। তবে মুম্বাইয়ের নিলামের বাজেট থেকে কেবল ১৫ কোটি রূপি কমবে। ওদিকে গুজরাটের স্যালারি ক্যাপ থেকে হার্দিক সরে যাওয়ায়, নিলামের বাজেট বাড়বে ১৫ কোটি। 

    ট্রেডিংয়ে ক্রিকেটারদের ভূমিকা কী?

    ক্রিকেটারদের অনুমতি বা আগ্রহ ছাড়া প্লেয়ার ট্রেডিং হয় না। যদিও দিনশেষে আসল সিদ্ধান্ত থাকে ফ্র্যাঞ্চাইজির হাতেই। এবার হার্দিক পান্ডিয়ার সাথে গুজরাট কর্তৃপক্ষও আগ্রহী ছিল বলেই মুম্বাইয়ের সাথে এই প্লেয়ার ট্রেডিং সম্ভব হয়েছে।