• ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    শেষ বলের চারে জয় আবাহনীর

    শেষ বলের চারে জয় আবাহনীর    

    শেষ ওভার থেকে প্রয়োজন ১১ রান। প্রথম দু’ বল থেকে এলো এক, তৃতীয় বলে উইকেট। আবাহনীকে জিততে হলে ৩ বল থেকে নিতে হবে আরও ১০, হাতে ৩ উইকেট। ফরহাদ রেজার চতুর্থ বলটা থেকে দু’ রান নিয়ে স্ট্রাইক ধরে রাখলেন উইকেটে তখন আবাহনীর হয়ে উইকেটে থাকা একমাত্র স্বীকৃত ব্যাটসম্যান মোসাদ্দেক হোসেন। ২ বল থেকে ৮ রান। কার্টেল ওভারের ম্যাচটা আবাহনীর হাতছাড়া হল বলে। ঢাকা লিগে ফিরেই সাকিবের ব্যাটে হাসি, মোসাদ্দেকের ‘ক্যামিও’; সব বুঝি জলে গেলো...

     

    তেমনটাই হলে অবশ্য শুরুতে অতো নাটকের প্রয়োজন হতো না। কিন্তু হল, হতে বাধ্য করলেন মোসাদ্দেক। পঞ্চম বলে ছয় মেরে শেষ বল থেকে চার, প্রাইম দোলেশ্বরের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর ম্যাচটা আবাহনী জিতে নিলো ৩ উইকেটে। জলে গেলো বরং নাসির হোসেনের ‘কামব্যাক’ অর্ধশতকটাই।

     

    বৃষ্টির কারণে পঞ্চাশ ওভারের ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে দাঁড়িয়েছিল আটাশে। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে তাতেই ৭ উইকেট খরচায় ১৯১ রান তোলে প্রাইম দোলেশ্বর। ৫৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলা দলের হাল ধরেন নাসির হোসেন। সানজামুল ইসলামকে সঙ্গী করে গড়েন দিনের সবচেয়ে বড় ৮২ রানের জুটি। সানজামুল ৪০ করে ফেরার পর নাসির ফেরেন ৭২ করে, ৫৬ বলে ৪ চার, ২ ছয়ে।

     

    জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই দু’ ওপেনার তামিম ইকবাল আর লিটন দাসকে হারিয়ে খানিক বিপাকে পড়ে আবাহনীও। ত্রাতার ভূমিকায় সদ্যই আইপিএল খেলে দেশে ফেরা সাকিব আল হাসান। নাজমুল শান্তর সাথে তাঁর ৭৪ রানের জুটিতে লড়াইয়ে ফেরে আবাহনী। শান্ত ৩৯ রানে আউট হন। সাকিব স্ট্যাম্পড হয়ে ফেরেন অর্ধশতক থেকে পাঁচ রান দূরে দাঁড়িয়ে। বাকিটা মোসাদ্দেক হোসেনের গল্প। জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ার আগে ৩৫ বল থেকে করেছেন ৫৭ রান, ৭ চার আর ২ ছয়ে। এর আগে বল হাতে ৪ ওভার থেকে ১২ রানে ১ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরাও কুড়ি বছরের এই তরুণ।