আবাহনীর রানের এভারেস্টে চাপা পড়লো মোহামেডান
একটা ঝড়ই যেন বয়ে গেল বিকেএসপিতে। না, সেই ঝড়ে খেলা পণ্ড হয়নি, বরং দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন মোহামেডান বোলাররা। ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৭১ রান করেছে আবাহনী, লিস্ট এ ক্রিকেটে বাংলাদেশের মাটিতেই এটা সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড।
অথচ আবাহনীর এই পাহাড়সম রানে তাদের অধিনায়ক ও মূল অস্ত্র তামিম ইকবালেরই অবদান তেমন ছিল না। ২২ রান করেই আউট হয়ে গেছেন বাঁহাতি ওপেনার। তবে সবচেয়ে বেশি আলো ছড়িয়েছেন তামিমের ওপেনিং সঙ্গী লিটন দাশ। এবারের লিগে নিজেকে একটু হারিয়ে খুঁজছিলেন, বড় ইনিংসের দেখাও সেভাবে পাচ্ছিলেন না। আজ তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে আবাহনীর ২২৬ রানের সময় যখন আউট হয়েছেন, তার আগে ১২৫ বলে করে ফেলেছেন ১৩৯ রান। এবারের লিগে এটাই সবচেয়ে বড় ব্যক্তিগত ইনিংস। চার ও ছক্কা থেকে এসেছেই ৭৮ রান। চার মেরেছেন ১৮টি, ছয় একটি।
তবে লিটনকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন ভারতের দীনেশ কার্তিক। ৬৪ রানে নাজমুল হাসান শান্ত আউট হয়ে যাওয়ার পর মাঠে নেমেছিলেন। এরপর দুজন তৃতীয় উইকেটে যোগ করেছেন ১৬০ রান। লিটনের পর সেঞ্চুরি পেয়েছেন কার্তিকও, ৯৭ বলে করেছেন ১০৯ রান।
তবে আবাহনীর রান ৩৭১ পর্যন্ত যাওয়ার মূল কৃতিত্ব সাকিব আল হাসানের। শেষ দিকে নেমে রীতিমতো ঝড় বইয়ে দিয়েছেন, ২২ বলে পূর্ণ করেছেন ফিফটি। শেষ পর্যন্ত ২৪ বলে ৫৭ রান করে নাঈম ইসলামের বলে আউট হয়েছেন। এর মধ্যে মেরেছেন পাঁচটি ছক্কা ও দুইটি চার।
মোহামেডানের সবাই কমবেশি পিটুনি খেয়েছেন, তবে সবচেয়ে বেশি ঝড় বয়ে গেছে এনামুল হক জুনিয়রের ওপর। ১০ ওভারে দিয়েছেন ৮৪ রান, আরিফুল হকও ৫ ওভার বল করে দিয়েছেন ৫৫ রান।
এই রান তাড়া করেই মুখ থুবড়ে পড়েছে মোহামেডান। ২৪.৩ ওভারে ১১১ রান করতেই অল-আউট হয়ে গেছে সাদা-কালোরা। আকাশী-হলুদের জয়ের ব্যবধানটা তাই ২৬০ রানের।