• ইংল্যান্ড-পাকিস্তান
  • " />

     

    সবাইকে ছাপিয়ে ইয়াসির!

    সবাইকে ছাপিয়ে ইয়াসির!    

    পিচ যে সহায়তা করেছে খুব বেশী, তা নয়। তবুও ইয়াসির শাহের স্পিনের ভড়কে গেছে ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় দিনে ৫ উইকেট নিয়েছেন ইয়াসির, লর্ডসের অনার্স বোর্ডে নাম লিখিয়েছেন প্রথমবারের মতো খেলতে এসেই। ১৯৯৬ সালের পর প্রথম কোনো লেগস্পিনার হিসেবে এই কীর্তি গড়লেন ডোপ টেস্টে পজিটিভ হয়ে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরে আসা ইয়াসির। 

    শেষ এই কীর্তি গড়েছিলেন মুশতাক আহমেদ, পাকিস্তানও লর্ডসে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছিল সেবারই শেষবার। 

    মোহাম্মদ আমিরের শেষ উইকেটটা মনে আছে? ৫১তম উইকেটটা নিয়েছিলেন প্রায় ছয় বছর আগে, অ্যালেস্টার কুককে বোল্ড করে নিলেন ৫২ নম্বরটা। কুককে আগেই আউট করতে পারতেন আমির, হাফিজ ও সরফরাজ একবার করে ক্যাচ না ছাড়লে। আউট হওয়ার আগে ইংলিশ অধিনায়ক খেলেছেন ভাল একটা ইনিংস, সেঞ্চুরি থেকে ১৯ রান দূরে অবশ্য থামতে হয়েছে। তবে এর আগে তিনিও গড়েছেন একটা কীর্তি, ওপেনার হিসেবে সবচেয়ে বেশী রানের কীর্তিতে কুক ছাড়িয়ে গেছেন সুনীল গাভাস্কারকে। মানে ওপেনার হিসেবে রান বিবেচনায় কুকই এখন ইতিহাসসেরা! 

     

     

    কুকের সঙ্গে ভাল একটা জুটি গড়েছিলেন জো রুট, ইয়াসির ফিরিয়েছেন তাঁকেও। দিনের শেষে ৩ উইকেট হাতে নিয়ে পাকিস্তানের চেয়ে ৮৬ রানে পিছিয়ে আছে পাকিস্তান। 

    দিনের শুরুতে প্রথম দিনের স্কোরটাকে পাকিস্তান যে আর বড় করতে পারেনি, কৃতিত্বটা সেখানে ক্রিস ওকসের সাথে স্টুয়ার্ট ব্রডেরও। তবে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ৫ উইকেটই শুধু নেননি ওকস, গড়েছেন একটি কীর্তিও। টেস্ট ও ওয়ানডে, দুই ফরম্যাটেই ইনিংসে ৬ উইকেট নেয়া একমাত্র ইংলিশ বোলার তিনিই! 

    তবে দিনের শেষে ওকস বা কুক, সবাইকেই ছাপিয়ে গেছেন ইয়াসির শাহ, আর তাঁর ৫ উইকেট!