• ইংল্যান্ড-পাকিস্তান
  • " />

     

    ট্রেন্টব্রিজে শেষ ব্যাটসম্যান মানেই রেকর্ড!

    ট্রেন্টব্রিজে শেষ ব্যাটসম্যান মানেই রেকর্ড!    

    দলের এগারো নম্বর ব্যাটসম্যান যখন ব্যাট হাতে নামেন, কেউ খুব বেশিকিছু আশা করেন না তাঁর থেকে। বেশির ভাগ সময় পরাজয়ের ব্যবধান কমানোটাই তো তাঁর “অবদান”।  কিন্তু ট্রেন্টব্রিজের মাঠ এই যুক্তিকে ভুল প্রমাণ করতে আটঘাট বেঁধেই নেমেছে মনে হয়। এখানে গত ৩ বছরে শেষ ব্যাটসম্যান হিসাবে খেলতে নেমে অনেকেই করেছেন নতুন  রেকর্ড।

    মোহাম্মদ আমির যেমন কাল আরেকবার সেটি মনে করিয়ে দিলেন। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে কাল ২২ বলে ফিফটি করেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান, ওয়ানডে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো  ১১ নম্বর ব্যাটসম্যান হিসাবে নেমে ফিফটি করেছেন। এছাড়া পাকিস্তানের হয়ে পঞ্চম দ্রুততম ফিফটির রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন শহীদ আফ্রিদি এবং আব্দুল রাজ্জাকের সাথে।১১ নম্বরে নেমে সবচেয়ে বেশি চারটি ছয়ও মেরেছেন।

    ট্রেন্টব্রিজে শেষ ব্যাটসম্যানের এই কীর্তির শুরু ২০১৩ সালের অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম ম্যাচে। সেটি ছিল কোচ হিসেবে ড্যারেন লেম্যানের অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ম্যাচ। সবাইকে অনেকটা অবাক করেই দলে ডাক পেলেন বাঁহাতি স্পিনার অ্যাশটন অ্যাগার। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১১৭ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া তখন দিশেহারা। সেই অবস্থায় অভিষিক্ত অ্যাগার শেষ ব্যাটসম্যান হিসাবে ক্রিজে নেমে খেললেন ৯৮ রানের অসাধারন এক ইনিংস। মাত্র ২ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করলেও  প্রয়াত ফিলিপ হিউজকে নিয়ে ১০ম উইকেটে ১৬৩ রানের জুটি গড়েন, যা শেষ উইকেটে রেকর্ড রানের জুটি ভেগে ফেলে। ১০১ বলে ৯৮ রান করা অ্যাগারের ইনিংসটি ১১ নাম্বার ব্যাটসম্যানদের করা সর্বোচ্চ রান হিসাবে এখনো টিকে আছে।

    ঠিক তার পরের বছরই ঘটে আরেকটি ঘটনা। ভারতের বিপক্ষে একই মাঠে খেলতে নামে ইংল্যান্ড। নিজেদের প্রথম ইনিংসের শেষ উইকেটে ইংলিশ ফাস্ট বোলার জিমি অ্যান্ডারসন ১৩০ বলে ৮১ রান করেন, যা ইংল্যান্ডের হয়ে ১১ নাম্বারে নামা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ। জো রুটকে সাথে নিয়ে করেন ১৯৮ রানের জুটি, যা  আগের বছরের হিউজ-অ্যাগারের ১৬৩ রানের রেকর্ডকে ভেঙে দেয়। একই ম্যাচে ভারতের মোহাম্মদ শামি শেষ উইকেটে ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন, হয়ে যান ভারতের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান যিনি এগারো নাম্বারে খেলতে নেমে ফিফটি করেছেন। ভুবনেশ্বর কুমারকে সাথে নিয়ে করেন ১১১ রানের জুটি, যা শেষ উইকেটে ভারতের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

    ২০১৫ সালের অ্যাশেজ সিরিজের ট্রেন্টব্রিজ টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে বিপর্যয়ে পড়তে হয়েছিল। প্রথম ইনিংসে মাত্র ৬০ রানে গুটিয়ে যায় দল, কিন্তু তার আগে শেষ উইকেটে নাথান লায়ন এবং জস হ্যাজেলউড ৩৩ বলে ১৩ রানের জুটি গড়েছিলেন। পুরো দলের কোনো ব্যাটসম্যানই যেখানে ২০ বলের বেশি ক্রিজে টিকতে পারেননি, সেখানে এই জুটি এত দীর্ঘ(!) সময় টিকে গিয়ে অবাকই করেছে সবাইকে।