তীরে এসে তরী ডুবল ভারতের
শেষ ওভারে দরকার মাত্র ৮ রান। ২৪৫ রানের পাহাড়টা প্রায় টপকানো হয়ে গেছে। কিন্তু কে জানত, চূড়ায় পৌঁছানোর ঠিক আগেই দম ফুরিয়ে যাবে ভারতের? ডোয়াইন ব্রাভোর প্রথম ৪ বলে উঠল ৪ রান, শেষ দুই বলে দরকার আরও ৪। পঞ্চম বলে মহেন্দ্র সিং ধোনি নিলেন ২ রান। শেষ বলে দরকার ২। ভারতকে আগেও এমন অনেক স্নায়ুক্ষয়ী মুহূর্তে জয় এনে দিয়েছেন। ধোনির জন্য তো ব্যাপারটা জলবৎ তলরং হওয়ার কথা।
কিন্তু ব্রাভোর শেষ বলটা মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিলেন ধোনি। ম্যাচটা জিতলে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড হয়ে যেত, একটুর জন্য সেটি হলো না। মাত্র ১ রানে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হেরে গেল ভারত। টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রানপ্রসবা ম্যাচে জয় পেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যে ম্যাচে নায়ক হতে পারতেন লোকেশ রাহুল, সেই ম্যাচে নায়ক হয়ে গেলেন এউইন লুইস।
ম্যাচের প্রথমার্ধে তো চার্লস আর লুইস মিলেই প্রায় ম্যাচটা বের করে নিয়েছিলেন। লডারডেলের ছোট্ট মাঠে দুজন মিলে শুরু থেকেই তোপ চালিয়েছেন। চার্লস সেঞ্চুরিটা পেয়ে যাবেন বলেই মনে হচ্ছিল, শেষ পর্যন্ত ৩৩ বলে ৭৯ রান করে আউট হয়ে গেছেন। কিন্ত লুইস শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরিটা ঠিকই পেয়েছেন। টি-টোয়েন্টির প্রথম ম্যাচে শূন্য করেছিলেন, পরের ম্যাচে করলেন ৪৯ বলে ঠিক ১০০। ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান একটা সময় ৩০০-র কাছাকাছি চলে যাবে বলে মনে হচ্ছিল, সেটি শেষ পর্যন্ত হলো ২৪৫।
কিন্তু সেই রানও ভারত টপকে যাবে বলেই মনে হচ্ছিল। রোহিত শর্মার সঙ্গে লোকেশ রাহুল মিলে অসাধ্য সাধন করেই ফেলেছিলেন। রোহিত ৬২ রান করে আউট হলেও রাহুল শেষ পর্যন্ত ৫১ বলে ১১০ রান করে অপরাজিত ছিলেন। কিন্তু যে ইনিংসটা সবচেয়ে স্মরণীয় হতে পারত, সেটাই হয়ে গেল ভুলে যাওয়ার মতো।