কুকের পরে রুট
ওল্ড ট্রাফোর্ডে শেষ কোনো তিন নম্বর ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন ২০০৬ সালে, আজকের আগে। সেই অ্যালেস্টার কুকের পজিশনটা বদলে গেছে, তবে পাকিস্তানের সঙ্গে এবার ওপেনিংয়ে নেমেই সেঞ্চুরি পেয়েছেন ইংলিশ অধিনায়ক। কুকের এটি ২৯তম সেঞ্চুরি, অধিনায়ক হিসেবে ১১তম। ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হিসেবে গ্রাহাম গুচের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ডে ভাগ বসালেন 'শেফ'।
এ সিরিজে নিজের পজিশনটা পরিবর্তন করেছেন জো রুটও। তবে গত গ্রীষ্মটা অসাধারণ রুট যেন নিজেকে মেলে ধরতেই পারছিলেন না। ওল্ড ট্রাফোর্ডে মেলে ধরলেন ঠিকই, পেলেন এ গ্রীষ্মের প্রথম সেঞ্চুরি। কুক ১০৫ রান করে আউট হয়ে গেলেও আছেন রুট, ১৪১ রানে অপরাজিত।
সেঞ্চুরি নম্বর ২৯...
ওল্ড ট্রাফোর্ডে রুট মেলে ধরেছেন নিজেকে, ইংল্যান্ডও নিজেদের 'দুর্গ' অটুট রাখার অভিযানটা শুরু করেছে দুর্দান্তভাবেই। ম্যানচেস্টারের গত ১৫ বছরে কোনো টেস্ট হারেনি স্বাগতিকরা, জিতেছে ৯টির মধ্যে ৭টিতেই। শেষ ২০০১ সালে এ মাঠে ইংল্যান্ড হেরেছিল পাকিস্তানের কাছেই।
লর্ডসের প্রথম টেস্টে টসে জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন মিসবাহ, এবার তা করেছেন কুক। ২৫ রানেই অ্যালেক্স হেলসকে ভেতরের দিকে ঢোকা বলে বোল্ড করেছিলেন মোহাম্মদ আমির। এরপরই কুক-রুটের ১৮৫ রানের জুটি। সেঞ্চুরির পরপরই কুক বোল্ড হয়েছেন, আমিরের বলেই।
দুইটি উইকেট নিয়েছেন রাহাত আলীও। ইউনুস খানের কাছে 'জীবন' পাওয়া জেমস ভিনস সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি, এই সিরিজে সুযোগ পাওয়া গ্যারি ব্যালান্সও নির্বাচকদের আস্থার প্রতিদানটা দিতে পারেননি এখনও। আর ইয়াসির শাহকে নিস্প্রভই বানিয়ে রেখেছিলেন ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা, ১১১ রান দিয়ে এখনও উইকেটশুন্য পাকিস্তানের লর্ডস টেস্ট জয়ের নায়ক।
দ্বিতীয় দিনে রুট ছুটবেন ডাবল সেঞ্চুরির দিকে, ইংল্যান্ড 'দুর্গ' অটুট রাখার অভিযানে নেবে নতুন ধাপ। তাতে কি লাগাম টানতে পারবে পাকিস্তানের বোলিং?