আমিরাতে খেলেই পাকিস্তানের বিপত্তি !
লাহোর, ২০০৯। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের বাসে বোমা হামলা। এরপর থেকে পাকিস্তানের মাটিতে ক্রিকেট একরকম নির্বাসনে; মাঝে কেবল জিম্বাবুয়েই গিয়েছে সেখানে খেলতে। ফলে ঘরের মাঠে কোন দেশই খেলতে না চাওয়ায় আবুধাবি, শারজা ও দুবাই ক্রিকেট মাঠই এখন পাকিস্তানের ‘হোম গ্রাউন্ড’! তবে সাবেক ক্রিকেটার মোহাম্মদ ইউসুফের অভিমত, আরব আমিরাতেই খেলাই সবচেয়ে বড় বিপদ ডেকে আনছে পাকিস্তানের ক্রিকেটে।
ইউসুফের মতে আরব আমিরাতে খেলার কারনেই পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং টেকনিকে সমস্যা দেখা দিচ্ছে, “ওইসব মাঠের বল নিচু হয়ে আসা পাটা পিচগুলোতে খেলা-ই আমাদের ক্রিকেট ও খেলোয়াড়দের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। আমরা যদি সেখানে খেলা আয়োজন করা বন্ধ না করি তবে এটা একসময় আমাদের ক্রিকেটকেই ধ্বংস করে ফেলবে।” তিনি আরো যোগ করেন, “যদি রেকর্ড গড়াই লক্ষ্য হয়, তবে ভাল। কিন্তু, এটা আমাদের ক্রিকেটকে কোনভাবেই উপকার করছে না। এখানে হোম সিরিজের খেলা চালিয়ে গেলে কয়েক বছরের মধ্যেই যেকোন পিচে খেলার মত ক্রিকেটার বের করতে ব্যর্থ হবে।”
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে পাকিস্তানের ব্যর্থতা ছিল চোখে পড়ার মত। আর তাই ইউসুফ আমিরাতের পাটা পিচে সিরিজ আয়োজন বন্ধ করতে পরামর্শ দিচ্ছেন, “সত্যি বলতে, আমরা চলমান সিরিজে এখনো আসল ইংলিশ পিচে খেলি নি। পরিস্থিতি বিবেচনায় আরব আমিরাতের চেয়ে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ বিকল্প হিসেবে আরো ভালো হবে।”
এদিকে পিসিবি’র টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্তেও খুশি নন মোহাম্মদ ইউসুফ, “টি-২০ ক্রিকেট অনিয়ন্ত্রিতভাবে আয়োজন করা হলে আমরাও অচিরে দীর্ঘ ফরম্যাটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মত ধুঁকতে থাকবো। টি-২০ তে ভালো টেকনিকের খেলোয়াড় বের করা যায় না।বর্তমানে টি-২০ এমনভাবে সব জায়গায় ছড়িয়ে গেছে যে ক্লাব ও স্কুল পর্যায়েও এটার উপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। আমাদের নিম্ন পর্যায় থেকেই ৪০ ও ৫০ ওভারের খেলা বেশি আয়োজন করতে হবে। তবেই ভালো মানের ক্রিকেটার পাওয়া যাবে। যদি প্রথম শ্রেনী বা ৫০ ওভারের ম্যাচে দক্ষ খেলোয়াড় পাওয়া গেলে টি-২০ খেলার মত ক্রিকেটারও খুঁজে বের করা যাবে।”