পাকিস্তানের শুরু আর শেষের আফসোস
দিনের শুরু আর শেষে উল্লাস। ওই দুই দৃশ্য একপাশে সরিয়ে রাখুন, পুরো দিনে ইংল্যান্ডের উদযাপন করার সুযোগ এসেছে মাত্র এক বার। এজবাস্টন টেস্টে যে এর মধ্যেই সুবিধাজনক অবস্থানে চলে গেছে পাকিস্তান, প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেট হারিয়ে তুলে ফেলেছে ২৫৭ রান। ইংল্যান্ডের চেয়ে প্রথম ইনিংসে এখন পিছিয়ে ৪০ রানে।
অথচ পাকিস্তান ২ উইকেট হারিয়েই প্রায় দিন শেষ করে ফেলেছিল। শেষ ওভারে ব্যাট করছিলেন আজহার আলী ও ইউনিস খান। আজহার তার আগে ক্যারিয়ারের দশম সেঞ্চুরি পেয়ে গেছেন, এশিয়ার বাইরে প্রথম। পুরো সিরিজে ফর্মের জন্য খাবি খাচ্ছিলেন। আজ সব অতৃপ্তি মেটালেন সেঞ্চুরি করে। ১৩৯ রান নিয়ে দিনটাও ভালোই ভালোই পার করে দিয়েছিলেন। কিন্তু দিনের শেষ বলে ক্রিস ওকস তাঁকে ক্যাচ দিতে বাধ্য করলেন উইকেটের পেছনে। অমন একটা দিনের শেষটা এর চেয়ে আর খারাপ হতে পারত না!
দিনের প্রথম ওভারটাও তো ইংল্যান্ডের জন্য কী দুর্দান্তই না হয়েছিল! সেটার জন্য যতটা কৃতিত্ব জেমস অ্যান্ডারসনের, তার চেয়ে বেশি বোধ হয় মোহাম্মদ হাফিজের। ইনিংসের চতুর্থ বলটাই ছিল স্টাম্পের বাইরে। হাফিজ সেটি তাড়া করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিলেন পয়েন্টে।
কিন্তু প্রভাত সবসময় দিনের সঠিক পূর্বাভাস দেয় না। এর পর ইংলিশ বোলারদের হতাশ করে গেছেন আজহার আলী ও সামি আসলাম। দুইজন মিলে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তুলে ফেলেছেন ১৮১ রান। আসলাম ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির সুবাসটাও প্রায় পেয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু ৮১ রানের মাথায় দুরুহ একটা সিঙ্গেল নিতে গিয়ে রান আউট হয়ে যান। ইংল্যান্ডের মাটিতে সবচেয়ে কম বয়সে সেঞ্চুরিটাও আপাতত পাওয়া হলো না ২০ বছর বয়সী এই বাঁহাতি ওপেনারের।
তার পর ইউনিস খানকে নিয়ে দিনটা প্রায় পার করে ফেলেছিলেন আজহার। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এজবাস্টনের দর্শকদের কোরাসেই হয়তো মনযোগটা নড়ে গেল। এমন একটা ইনিংসের পরও আজকের রাতটা নিশ্চয় বিনিদ্র কাটবে তাঁর!