পাকিস্তানের উল্টো দিন, ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ইংল্যান্ড
শেষ ওভারে আরেকবার গার্ড নিলেন অ্যালেক্স হেলস। কে জানে, গতকালকের শেষ ওভারের ঘটনার কথা মনে করেই হয়তো সঙ্গী অধিনায়ক অ্যালেস্টার কুক মনে করিয়ে দিয়েছিলেন, শেষটায় যাতে গড়বড় না হয়! গড়বড় হলোও না। প্রস্তুত হয়ে থাকা নাইটওয়াচম্যান স্টিভেন ফিনকেও তাই নামতে হলো না।
আগের দিন আজহার আলী আউট হয়েছিলেন দিনের শেষ বলে, আজ যেন সেই সুখস্মৃতি নিয়েই নেমেছিলেন ইংলিশ বোলাররা। এজবাস্টনের ফ্ল্যাট হয়ে আসা উইকেটেও তাই পাকিস্তানের ইনিংস ৪০০ ছেড়ে যায়নি, অথচ আজহারের ওই উইকেটের আগে পাকিস্তানের স্কোর ছিল ২ উইকেটে ২৫৭ রান! লিডটাও তাই ১০৩ এর বেশী হয়নি!
ইংলিশ বোলাররা এদিন নিয়েছেন ৭ উইকেট, দুই ওপেনারও পরে হেঁটেছেন বোলারদের দেখানো পথেই। ৩৭তম বারের চেষ্টায় দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের ওপেনিং জুটিতে এসেছে শতরান, ২০০৬ সালের পর পাকিস্তানের সঙ্গে প্রথমবারের মতো ফিফটি পেয়েছেন দুই ওপেনারই। এজবাস্টনে তাই ‘উল্টো’ একটা দিন কাটালো ইংল্যান্ড, দিনশেষে যে তাঁরাই এগিয়ে ১৭ রানে, আছে দশটি উইকেটই!
আগের ইনিংসে পাকিস্তানের বোলিং নায়ক সোহেল খান এদিন ৮ ওভারে ৪০ রান দিয়ে আছেন উইকেটশুন্য। ইংল্যান্ড লিডটা কতদূর নিয়ে যাবে, তা বলবে সময়। পাকিস্তান আবার ঘুরে দাঁড়াবে কিনা, সেটাও সময়ের হাতেই। তবে চতুর্থ দিনের সকালে পাকিস্তানী বোলাররা অন্তত তৃতীয় দিনে ইংলিশ বোলারদের মতো সেই ‘উৎসাহ’টা আগে থেকেই পাবেন না! আগের দিন শেষ বলে উইকেট পেলে মানসিকভাবে তো একটু এগিয়ে থাকাই যায়।
পাঁচ দিন আর পনের সেশনের টেস্ট ম্যাচেও যে ব্যবধান গড়ে দেয় এমন ক্ষুদ্র সব বিষয়ই! আর এসবেই ভরে ওঠে রোমাঞ্চের ডালা।
এজবাস্টনের চতুর্থ দিনের সেই রোমাঞ্চে কার ভাগ বেশী থাকবে, সেটাই দেখার বিষয়!