বেইরস্টো-মঈনে এগিয়ে ইংল্যান্ডই
দিনের খেলা শেষের পথে তখন। ক্রিস ওকস দাঁড়িয়ে ড্রেসিংরুমে, স্টুয়ার্ট ব্রড পাশে বসা। দুজনেরই প্যাড পরা। পাশে একটা ফুটবল নিয়ে রীতিমত কসরৎ দেখাচ্ছেন জিমি অ্যান্ডারসন। এ তিনজন ছাড়া ব্যাট করতে বাকী আছেন আরও একজন, স্টিভেন ফিন। তবে কাল এ চারজনের কজনকে ব্যাট করতে হবে, অথবা আদৌ কাউকে করতে হবে কিনা, সেটা নির্ভর করছে অ্যালেস্টার কুকের ওপর। ৩১১ রানের লিড হয়ে গেছে, কতো হলে তা ‘যথেষ্ট’ মনে হবে, তা ইংলিশ অধিনায়কই জানেন। তবে এটা নিশ্চিত, লিড যতোই হোক, শুরুতে যে চারজনের কথা বলা হলো, কুক ব্যাটিং ছেড়ে দেয়ার পর নির্ভর করবেন তাঁদের বোলিংয়ের ওপরই! অ্যান্ডারসন-ব্রড-ওকস-ফিন।
চতুর্থ দিনের শুরুতে পাকিস্তানকে আশা দিয়েছিলেন দুইজন, সোহেল ও আমির। কুকের ক্যাচটা সোহেলের বলে অসাধারণভাবেই নিয়েছেন ইয়াসির শাহ, পয়েন্টে। খানিক বাদেই হেলসকে স্লিপে ইউনুসের ভাল ক্যাচে আউট করেছেন আমির। এরপর প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ জো রুট জুটি গড়েছেন জেমস ভিনসকে নিয়ে, ৯৫ রানের। রুট ফিরেছেন ৬২ রানে, আরও একবার ফিফটির কাছে গিয়েও প্রথম ফিফটিটা পাওয়া হয়নি ভিনসের। ৪২ রানে আমিরের বেরিয়ে যাওয়া বলে তাড়া করতে গিয়ে স্লিপে দিয়েছেন ক্যাচ।
ইয়াসিরদের উল্লাস মিলিয়ে গেছে দিনশেষে...
খানিক বাদে ব্যালান্সকে ম্যাচে দ্বিতীয়বারের মতো উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেছেন ইয়াসির। প্রথম ইনিংসে উইকেটকিপার সরফরাজকে ক্যাচ দিলেও এবার ফ্লিক করতে গিয়ে লেগ-স্লিপে নিজের ‘ভারসাম্য’ হারিয়েছেন ব্যালান্স। এজবাস্টনের ফ্ল্যাট হয়ে আসা উইকেটে এ পর্যন্ত পাকিস্তানের সব ঠিকঠাকই ছিল প্রায়। নিয়ন্ত্রন ছুটতে শুরু করেছে এরপরই, মঈন আলি ও জনি বেইরস্টোর ব্যাটিংয়ে, তাঁদের জুটিতে। ১৬৫ বলে ১৩২ রানের জুটি গড়েছেন দুজন, বেইরস্টো ৮২, আলি ৬০। জুটিটা ভাঙ্গতে পারেনি পাকিস্তান, যেমন এখনও ভাংগেনি এজবাস্টনের উইকেট। তবে কিছু অপ্রত্যাশিত বাউন্স আছে, মিলছে সুইংও।
অ্যান্ডারসন-ব্রড-ওকস-ফিনদের জন্য তাই কি যথেষ্ট হবে? সিরিজে ইংল্যান্ডকে এগিয়ে দেয়ার জন্য? নাকি পাকিস্তান ভাববে অন্যকিছু?
সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে অনেক রোমাঞ্চের স্মৃতিধারক এজবাস্টনেই।