ইউনুস, শফিকের সেঞ্চুরিতে এগিয়ে পাকিস্তান
আগের ছয় ইনিংসে ২৩.৫ গড়ে ১২৩ রান, সর্বোচ্চ ৩৩। পাকিস্তানের ইতিহাসের সর্বোচ্চ রানের মালিকের ব্যাট হাসছিল কই! ওভালে এসে অবশেষে ‘ইউনুসীয়’ এক ইনিংস খেললেন ইউনুস খান। ৩২তম সেঞ্চুরির পর ১০১ রানে আছেন অপরাজিত, পাকিস্তান দ্বিতীয় দিনশেষে ৪ উইকেট হাতে নিয়ে এগিয়ে ১২ রানে। দিনের শেষে সঙ্গী সরফরাজ আহমেদের সঙ্গে যখন উঠে যাচ্ছেন, ইংলিশ খেলোয়াড় আর দর্শকদের অভিনন্দনের জবাব দিতে ব্যস্ত ইউনুসের মুখে হাসি, যেমন হেসেছে তাঁর ব্যাট!
ইউনুসের আগে হেসেছেন আসাদ শফিক। ২০০৩ সালের পর মাত্র দ্বিতীয়বার পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে এলেন ইউনুস, তাঁর নিয়মিত চার নম্বরে এসেছিলেন শফিকই। ৯৯ রানেই শফিক দাঁড়িয়ে ছিলেন ১৬ বল, সেঞ্চুরির দেখা পেয়ে উল্লাসের মাত্রাটাও তাই ছিল বেশিই। শর্ট মিডউইকেটে স্টুয়ার্ট ব্রডের অসাধারণ এক ক্যাচে শেষ হয়েছে শফিকের ফিরে আসার ইনিংস। আগের ইনিংসেই যে পেয়েছিলেন ‘পেয়ার’!
ব্রডের এই ক্যাচটা অবশ্য ইংল্যান্ডের ফিল্ডিং চিত্রটা তুলে ধরবে না। স্লিপে নাইটওয়াচম্যান হিসেবে ইংল্যান্ডকে ভোগানো ইয়াসির শাহ, কিংবা আসাদ শফিক, ক্যাচ পড়েছে দুজনেরই। জীবন পেয়েছেন শেষ পর্যন্ত ৪৯ রানে আউট হওয়া আজহার আলিও।
সেঞ্চুরি নাম্বার ৩২...
মোহাম্মদ হাফিজ বাদ পড়ায় ওপেনিংয়ে এসেছিলেন আজহার, হাফিজের বদলে দলে আসা ইফতিখার আহমেদ নেমেছিলেন সাতে। তবে অভিষেক ইনিংসটা নড়বড়েই হয়ে থাকলো, ক্রিস ওকসের বাইরের দিকের শর্ট বলকে পুল করতে গিয়ে দিয়েছেন ক্যাচ। অনেকখানি পেছন ফিরে তা নিয়েছেন মঈন। এ উইকেট দিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে কোনো সিরিজে ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট এখন ওকসের, ২৫টি। ওকসের হাতে অবশ্য এখনও আছে এক ইনিংস।
ওভাল টেস্টেও বাকি তিন দিন। তৃতীয় দিনে পাকিস্তানের লিডটা কতো বড় হবে, হলেও তা ইংল্যান্ডের জন্য যথেষ্ট হবে কিনা, এমন প্রশ্নই বলছে, ওভালের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটেই মিলছে রোমাঞ্চের আভাস। আগের টেস্টে ১০৩ রানের লিড নিয়েও যে ম্যাচ হেরেছিল পাকিস্তান!
তবে আপাতত স্বস্তিতে পাকিস্তান, দ্বিতীয় দিনশেষে এগিয়ে থাকতে পেরেই। যে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াতে অনেকখানি অবদান সিরিজজুড়ে নড়বড়ে থাকা পাকিস্তানের মিডল অর্ডারের দুই ব্যাটসম্যানের। দুই সেঞ্চুরিয়ান, শফিক ও ইউনুসের।