• ইংল্যান্ড-পাকিস্তান
  • " />

     

    আগের টেস্টে জোড়া শূন্য, পরের টেস্টে সেঞ্চুরি!

    আগের টেস্টে জোড়া শূন্য, পরের টেস্টে সেঞ্চুরি!    

    ৯৯ থেকে ১০০। একটা রানেরই তো দূরত্ব। তবে দুইটা নয়কে দুইটা শূন্য বানিয়ে আগে এক যোগ করা, কাজটা স্নায়ুর ওপর কতখানি চাপ ফেলে, তা এমন পরিস্থিতিতে থাকা ব্যাটসম্যানই জানেন। আসাদ শফিক ওভাল টেস্টের দ্বিতীয় দিনে টের পেয়েছেন আরেকবার। শূন্যতেই দাঁড়িয়ে ছিলেন ১৬ বল ধরে। মিড-অনের ফিল্ডারের হাত বাঁচিয়ে রানটা পেলেন, কাঁটা হয়ে বিঁধতে থাকা দুইটা ‘নয়’ পরিণত হলো ‘শূন্য’তে, দুই শূন্যর আগে এক যোগ হয়ে শফিককে দিল নিশ্চয়ই একরাশ স্বস্তি!

     

    জ্যাকি ম্যাকগ্লিউ

     

    তবে এ ইনিংসের আগে শফিককে কিছু খোঁচা দিয়ে থাকলে, তা দিয়েছে ওই শূন্য বেচারাই! আগের টেস্টেই যে পেয়েছিলেন ‘পেয়ার’। এজবাস্টন টেস্ট শফিককে উপহার দিয়েছিল দুইটা শূন্য! ওভাল শফিকের শূন্য ব্যাট ভরিয়ে দিল, দিল সেঞ্চুরি। আগের টেস্টে ‘পেয়ার’ পেয়ে পরের টেস্টে সেঞ্চুরি, শেষ কোনো পাকিস্তানী ব্যাটসম্যানের এমন ‘কীর্তি’ ছিল সেই ১৯৫৮ সালে। করেছিলেন সদ্য জীবনকে বিদায় জানানো ‘লিটল মাস্টার’ হানিফ মোহাম্মদের ভাই, ওয়াজির মোহাম্মদ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে পোর্ট অব স্পেনে দ্বিতীয় টেস্টে ‘পেয়ার’ পেয়েছিলেন ওয়াজির, কিংস্টনে পরের টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে করেছিলেন ১০৬ রান। সে সিরিজ বিখ্যাত আবার হানিফের কারণেই, সেবারই যে সময়কে থামিয়ে দেয়া সেই ৯৭০ মিনিটের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি!

     

    ওয়াজির মোহাম্মদ

     

    শফিকের আগে ইংল্যান্ডের মাটিতে সফরকারী কোনো ব্যাটসম্যানের এমন ‘পেয়ার-সেঞ্চুরি’র ‘পেয়ার’ ছিল মাত্র একজনের। ১৯৫৫ সালে লর্ডসে ‘পেয়ার’ পেয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার জ্যাকি ম্যাকগ্লিউ। পরবর্তীতে ম্যাচ রেফারি বনে যাওয়া এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান সে ‘পেয়ার’ এর দুঃখ ভুলেছিলেন পরের ম্যাচেই, ওল্ড ট্রাফোর্ডের প্রথম ইনিংসেই করেছিলেন অপরাজিত ১০৪ রান।