সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজেরই এই দশা!
টেস্ট, ওয়ানডেতে যেমনই হোক, টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দুর্দান্তই। তবে গতকাল পাকিস্তানের বোলাররা রীতিমতো ছেলেখেলা করেছে ক্যারিবিয় ব্যাটসম্যানদের নিয়ে। দুবাইয়ে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের ৯ উইকেটে হারিয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল পাকিস্তান। ১৪ রানে ৫ উইকেট নিয়ে প্রতিপক্ষকে একাই ধসিয়ে দিয়েছেন ইমাদ ওয়াসিম, ম্যান অফ দা ম্যাচের পুরস্কারটাও গেছে এই বাঁহাতি স্পিনারের ঝুলিতেই। উমর গুলের পর পাকিস্তানের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে ৫ উইকেট নেয়া দ্বিতীয় বোলার তিনি।
শিশিরের কথা মাথায় রেখে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পাকিস্তানের অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। মোহাম্মদ আমিরের অনুপস্থিতিতে নতুন বলটা স্পিনার ইমাদ ওয়াসিমের হাতে তুলে দিয়ে সবাইকে হয়ত একটু অবাকই করেছিলেন অধিনায়ক। তবে সরফরাজকে হতাশ করেননি ইমাদ, প্রথম ওভারের পঞ্চম বলেই এভিন লুইসকে ফিরিয়ে দেন তিনি। নিজের দ্বিতীয় ওভারে তুলে নেন আরও দুই উইকেট। অপর প্রান্ত থেকে মোহাম্মদ নাওয়াজ এবং হাসান আলী আরও দুই ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরালে ২২ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ব্রাভো আর পোলার্ড একটু প্রতিরোধ গড়তে চেয়েছিলেন, কিন্তু ইমাদ সেটাকে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে দেননি। নিজের শেষ ওভারে আরও দুই ব্যাটসম্যানকে আউট করে প্রথম পাকিস্তানি স্পিনার হিসাবে টি-টোয়েন্টিতে ৫ উইকেট তুলে নেন। ওয়াহাব রিয়াজ যখন সুনিল নারাইনকে সাজঘরে ফেরান তখন ক্যারিবিয়দের স্কোর ৮ উইকেটে ৪৮ রান। নিজেদের সর্বনিম্ন টি-টোয়েন্টি রানের (৭৯ রান) লজ্জার রেকর্ডটি যখন সম্ভাব্য পরিণতি মনে হচ্ছিল, সেই সময় দলের হাল ধরেন ডোয়াইন ব্রাভো ও জেরম টেইলর। তাদের ৬৬ রানের জুটি দলকে ১০০ রানের মুখ দেখায়, এটি টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের নবম উইকেটের সর্বোচ্চ রানের জুটি। ১১৫ রানে থামে ব্রাভোদের ইনিংস।
এই অল্প রান তাড়া করতে নেমে ভালো শুরু করেন সারজিল-লতিফ উদ্বোধনী জুটি। চতুর্থ ওভারে ২৮ রানের মাথায় স্যামুয়েল বাদ্রির বলে আউট হন সারজিল। তবে এরপর আর কোন উইকেট হারায়নি পাকিস্তান। ৩৪ বল হাতে রেখেই জয়ের লক্ষে পৌঁছে যায় তারা, বাবর আজম ৫৫ ও খালিদ লতিফ ৩৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। এটি পাকিস্তানের টানা দ্বিতীয় ৯ উইকেটের জয়।