• বিশ্বকাপ ২০১৪
  • " />

     

    আবার সেই পুরনো দ্বৈরথ

    আবার সেই পুরনো দ্বৈরথ    

    যেখানেই বাঘের ভয়, সেখানেই সন্ধ্যা হয়। ডেভিড সিলভা কয়েকদিন আগে বলেছিলেন, যেভাবেই হোক শেষ ষোলোতে কোনো স্প্যানিশ দলকে চান না। কিন্তু ম্যানচেস্টার সিটি মিডফিল্ডারের আশঙ্কাটাই কাল সত্যি প্রমাণ হয়েছে, শেষ ষোলোতে সিটির প্রতিপক্ষ বার্সেলোনা। গতবারও এই পর্যায়ে এই দিও দল মুখোমুখি হয়েছিল, দুই লেগ মিলে তাতে ৪-১ গোলে জিতে শেষ হাসিটা হেসেছিল বার্সাই।



    অনেকগুলো পুরনো দ্বৈরথ ঘুরে ঘুরে এসেছে কালকের ড্রতে। চেলসি-পিএসজি ম্যাচটার কথাই ধরুন, গতবার দুই দল মুখোমুখি হয়েছিল কোয়ার্টার ফাইনালে। ডেম্বা বার মহামূল্যবান অ্যাওয়ে গোলের সুবাদে দুই লেগ মিলে জিতেছিল চেলসিই। সেই ম্যাচের আগে টুইটারে পিএসজি-চেলসির কথার লড়াইটা বেশ জমেছিল। কাল ড্রয়ের পরেই সেই যুদ্ধের দ্বিতীয় রাউন্ড শুরু হয়েছে। পিএসজির অফিসিয়াল টুইটার আর ফেসবুক পেজে লেখা, " ডিয়ার চেলসি ফ্যানস, উই টোল্ড ইউ, উই উইল বি ব্যাক" কথাটা এখনই ঘি ঢেলে দিচ্ছে আগুনে।



    গ্রুপ পর্বে আরেকটি জমজমাট লড়াই হতে পারে জুভেন্টাস-বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। সেই ১৯৯৭ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। এত বছর পর সেই স্মৃতি অনেকটাই ফিকে হয়ে গেছে, তারপরও জুভেন্টাস সেবারের পরাজয়ের প্রতিশোধ নেওয়ার উপলক্ষ কিন্তু পাচ্ছেই।


    রিয়াল মাদ্রিদ-শালকে ম্যাচটাও গতবারের পুনরাবৃত্তিই। সেবার গুণে গুনে জার্মান ক্লাবকে নয় গোল দিয়েছিল রিয়াল। এবার যে ফর্মে আছে, তাতে গতবারের মতো কিছু হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।



    আর্সেন ওয়েঙ্গারের ড্রয়ের আগে নিশ্চয় শঙ্কায় ছিলেন। কয়েক বছর ধরেই বায়ার্ন , মিলান বা বার্সার কারও সঙ্গে দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচ, এরপর অবধারিত বিদায়- এটাই হয়ে ছিল আর্সেনালের চ্যাম্পিয়নস লিগের পান্ডুলিপি। কাল ভাগ্য একটু হলেও সদয় হয়েছে, প্রতিপক্ষ হিসেবে আর্সেনাল পেয়েছে মোনাকোকে। আর্সেনালে আসার আগে ফ্রেঞ্চ এই ক্লাবের কোচ ছিলেন ওয়েঙ্গার, একটা পুনর্মিলনীও হয়ে যাচ্ছে পুরনো ক্লাবের সঙ্গে। বায়ার্ন-শাখতার বা পোর্তো-বাসেল অবশ্য কখনও মুখোমুখি হয়নি আগে।