• বিশ্বকাপ ২০১৪
  • " />

     

    চ্যাম্পিয়নস লিগের টুকিটাকি

    চ্যাম্পিয়নস লিগের টুকিটাকি    

    চ্যাম্পিয়ন্স লীগের গ্রুপ পর্বের ইতি ঘটেছে বেশ কিছুদিন আগেই। সদ্যই হয়ে যাওয়া ২য় রাউন্ডের ড্র এর সুবাদে সবাই ইতোমধ্যেই জানতে পেরে গেছি পরের রাউন্ডে কোন দলের দেখা হচ্ছে কাদের সাথে। চ্যাম্পিয়ন্স লীগের এই আমেজের মধ্যে চলুন জেনে আসা যাক এই টুর্নামেন্টের মজার কিছু তথ্য -



    v          ১৯৯২ সালে নাম আর টুর্নামেন্ট ফর্মেট পরিবর্তন হবার পর থেকে টানা দুইবার চ্যাম্পিয়ন্স লীগের শিরোপা জিততে পারেনি কোন দল। মিলান ১৯৮৯ আর ১৯৯০ সালে পর পর দুইবার জেতা শেষ দল।

     

    v         সেপ্টেম্বর ১৯,২০০৭ থেকে মে ২৭,২০০৯ সাল পর্যন্ত টানা ২৫ ম্যাচ না হেরে রেকর্ড গড়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। রেকর্ডটি হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স লীগে টানা সবচেয়ে বেশি ম্যাচ না হারার।

     

    v         ১৯৭৭,১৯৭৮,১৯৮১ সালে লিভারপুলকে তিনবার চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জেতানো বব পেইসলির পর ২য় ম্যানেজার হিসেবে তিনটি চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জেতার রেকর্ড করলেন কার্লো আঞ্চেলোত্তি। মিলানের হয়ে ২টি আর রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ১টি চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জিতেছেন তিনি।

     

    v         গত মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ফাইনালে দারুণ এক রেকর্ড করেন গ্যারেথ বেল। চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ফাইনালে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ৯০ মিনিটের পরে অতিরিক্ত সময়ে গোল করার কৃতিত্ব অর্জন করেন তিনি।

     

    v         একই দেশের দুটি ক্লাবের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ফাইনাল হবার নজির অনেক থাকলেও গত মৌসুমের ফাইনালে প্রথম বারের মত একই শহরের দুটি দল – রিয়াল মাদ্রিদ, অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ মুখোমুখি হয়।

     

    v        নিজের দেশের মাটিতে চ্যাম্পিয়ন্স লীগ শিরোপা জেতার নজির আছে মাত্র দুটি। ১৯৯৬ সালে জুভেন্টাস আর ১৯৯৭ সালে বুরুশিয়া ডর্টমুন্ড।

     

    v        লিভারপুলের বিপক্ষে মিলান ডিফেন্ডার পাওলো মালদিনির ৫১ সেকেন্ডে দেয়া গোল ছিলো চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ইতিহাসের সবচেয়ে দ্রুততম গোল। কিন্তু অ্যাপোয়েল নিকোশিয়ার বিপক্ষে পিসজি স্ট্রাইকার এডিনসন কাভানির ৩৮ সেকেন্ডে করা গোলটি বর্তমানে দ্রুততম।

     

     

    v         মে ২৯,১৯৮৫ সালে ঘটে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ইতিহাসের অন্যতম দুঃখজনক দুর্ঘটনা। লিভারপুল – জুভেন্টাসের খেলা চলাকালীন সমর্থকদের মধ্যে দাঙ্গা বেধে যায়। এতে নিহত হন ৩৯ জন। এটি ‘দ্যা হেইজেল স্টেডিয়াম ডিজাস্টার’ নামে পরিচিত। এর ফলে লিভারপুলকে ৬ বছরের জন্য আর বাকি সব ইংলিশ দলকে ৫ বছরের জন্য যেকোন ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ করা হয়।

     

    v        পুরো ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ইতিহাস বিবেচনায় ধরলে সবচেয়ে বেশিবার ফাইনাল খেলার রেকর্ড ইতালিয়ান ক্লাবগুলোর। মোট ২৬ বার ফাইনাল খেলে তারা শিরোপা জিতেছে ১২ বার। ইংলিশ দলগুলো মোট ১৯ বার ফাইনাল খেলে জিতেছে ১২ বার। স্প্যানিশ ক্লাবগুলো ২২ বারের মধ্য ১৩ বার, জার্মান ক্লাবগুলো ১৭ বারের মধ্যে ৭ বার, পর্তুগিজ ক্লাবগুলো ৯ বারের মধ্যে ৪ বার আর ডাচ ক্লাবগুলো ৮ বারের মধ্যে ৬ বার শিরোপা জয় করে।

     

    v         ১৯৯২ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লীগ শুরু হবার পরে সর্বাধিক বার(৬) ফাইনালে পৌছানোর কৃতিত্ব মিলানের।

     

    v        ১৯৯৪ সালের ফাইনালে বার্সেলোনার বিপক্ষে মিলানের ৪-০ গোলের জয় চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ফাইনালের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ব্যবধানের জয়।

     

    v     চ্যাম্পিয়ন্স লীগ শুরু হবার পরে কোনো খেলোয়াড় ফাইনালে হ্যাটট্রিক করার কৃতিত্ব অর্জন করতে পারেননি। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স লীগ নামকরণ হবার পূর্বে তৎকালীন ইউরোপিয়ান কাপের ফাইনালে ফেরেঙ্কে পুসকাস দুইবার আর আলফ্রেডো ডি স্টেফানো একবার হ্যাটট্রিক করেন।

     

    v     ইয়েন্স লেম্যান আর দিদিয়ের দ্রগবা হচ্ছেন ফাইনালে লাল কার্ড দেখা ২ জন খেলোয়াড়। তারা ব্যতিত আর কেউ ফাইনালে লাল কার্ড দেখেননি।

     

    v         ক্লেরেন্স সিডর্ফ হচ্ছেন একমাত্র খেলোয়াড় যিনি তিনটি ভিন্ন ক্লাবের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লীগ শিরোপা জেতার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন।