বার্সেলোনাকে রুখে দিল পুঁচকে হারকিউলিস
২০১০-১১ মৌসুমে গার্দিওলার বার্সাকে ক্যাম্প ন্যুতেই হারিয়ে ফুটবলবিশ্বকে চমকে দিয়েছিল হারকিউলিস। মাঝে কেটে গেছে বছর ছয়েক। বার্সা এখনো বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্লাব। আর ওদিকে হারকিউলিস খেলছে ডিভিশন বি-তে। কিন্তু বার্সাকে আবারো রুখে দিল হারকিউলিস। 'লা মাসিয়া'র এক ঝাঁক তরুণ নিয়ে সাজানো বার্সার বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করেছে আলিকান্তের ক্লাবটি।
এল ক্লাসিকোর কথা মাথায় রেখে জিদানের মতই দলের প্রায় সব তারকাকেই বিশ্রাম দিয়েছিলেন লুইস এনরিকে। দলে বলার মত ছিলেন কেবল উমতিতি, দেনিস সুয়ারেজ, রাফিনহা, তুরান, আলকাসের। দীর্ঘদিন পর দলে ফিরেছিলেন অ্যালেক্স ভিদাল। মাঠে মেসি, নেইমারদের অভাবটা আরো বোঝা গেছে একাডেমী খেলোয়াড়দের অপরিপক্বতায়। তুরান, সুয়ারেজদের সাথে বোঝাপড়ার অভাবে গোলের সুযোগই তৈরি করতে পারছিলেন না বার্সার তরুণরা।
প্রথমার্ধে বলার মত সুযোগ এসেছিল ১১ মিনিটে। আলকাসেরের গতিপথ বদলে যাওয়া ফ্রিকিক দক্ষ হাতে রুখে দেন হারকিউলিস কিপার বিগেস। এই ম্যাচেও গোল পাননি আলকাসের। মৌসুমের এক-চতুর্থাংশ শেষেও বার্সার হয়ে গোলের খাতাই খুলতে পারলেন না স্প্যানিশ স্ট্রাইকার।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫০ মিনিটেই সিলিসেনকে প্রায় পরাস্তই করে ফেলেছিলেন গ্যাসপার। এর মিনিট দুয়েক পর লিড নিয়ে নেয় হারকিউলিস। বাঁ প্রান্ত থেকে সালিনাসের ক্রস বুক দিয়ে জালে জড়ান মাইঞ্জ।
কিন্তু লিডটা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। মাত্র ৫ মিনিট পরই বার্সার মূল দলের হয়ে নিজের প্রথম গোলের দেখা পান বিস্ময়বালক কার্লেস আলেনা। ডিবক্সের বাইরে থেকে চমৎকার এক শটে পরাস্ত করেন বিগেসকে। ৭৮ মিনিটে আরেক অভিষিক্ত কার্দোনার শট দুর্দান্তভাবে না বাঁচালে জয় নিয়েই বাড়ি ফিরতো বার্সা। ৯৫ মিনিটে আক্ষরিক অর্থেই ম্যাচের শেষ মুহূর্তে মাত্র ৪ গজ থেকে বল গোলের ওপর দিয়ে মারেন কার্দোনা। ফলশ্রুতিতে ১-১ গোলের ড্র নিয়েই খুশি থাকতে হয় এনরিকের শিষ্যদের।
সেগুন্দা বি-এর দলের বিপক্ষে জয় না পেলেও সম্ভবত খুব একটা চিন্তিত হবেন না লুইস এনরিকে। কারণ দ্বিতীয় লেগ ২২শে ডিসেম্বর, ক্যাম্প ন্যুতে। এল ক্লাসিকোর প্রস্তুতিটা অবশ্য বেশ জোরেশোরেই নিতে হবে বার্সাকে। বেশ কিছুদিন ধরেই ফর্মে নেই ব্লগরানারা। ওদিকে ৩২ ম্যাচ ধরে অপরাজিত আছে জিদানের রিয়াল। এই ম্যাচ দিয়েই ইঞ্জুরি কাটিয়ে দীর্ঘদিন পর দলে ফিরবেন আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। ইঞ্জুরি জর্জরিত রিয়ালের বিপক্ষে পূর্ণ শক্তির দল পাওয়ায় তাই কিছুটা হলেও যে সন্তুষ্ট থাকবেন এনরিকে- তা অবশ্য বলাই যায়।