• আইসিসি বিশ্বকাপ ২০১৫
  • " />

     

    অতি 'আতিথেয়তাই' ছিল কিউইদের কৌশল!

    অতি 'আতিথেয়তাই' ছিল কিউইদের কৌশল!    

    দুই প্রতিবেশীর লড়াইয়ের ইতিহাসটা অনেক পুরনো। ‘ট্রান্স-তাসমানিয়ান’ লড়াইয়ের ঝাঁজটা গত কয়েক বছর ধরে একটু বেশিই তীব্র। গত বিশ্বকাপে অকল্যান্ডের সেই মহাকাব্যিক ম্যাচের কথা আজও ভোলেননি ক্রিকেট অনুরাগীরা। সাবেক অস্ট্রেলিয়া উইকেটকিপার ব্র্যাড হ্যাডিন জানালেন, ওই ম্যাচের আগে নাকি একটু বেশিই ‘খাতিরদারি’ করেছিলেন কিউই ক্রিকেটাররা! এটা নাকি অজিদের ঘায়েল করার সূক্ষ্ম কৌশলও ছিল!

     

    মাঠে বরাবরই কিউইদের চেয়ে বেশি আক্রমণাত্মক থাকেন অস্ট্রেলীয়রা।নিজের আত্মজীবনী ‘মাই ফ্যামিলি কিপার’ বইয়ে হ্যাডিন মনে করছেন, বেশি বন্ধুত্ব দেখিয়ে তাঁদের কিছুটা হলেও দুর্বল করে দিতে চেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। তাদের ওই ‘অদ্ভুত’ ব্যবহার অবাকই করে দিয়েছিল তাঁকে, “বিমানবন্দরে পা রাখার পর থেকে কিউই ক্রিকেটাররা আমাদের সাথে খুব বেশি ভালো ব্যবহার করছিল, একটু বেশিই ভালো! তাঁরা আমাদের জিজ্ঞাসা করছিল কিছু লাগবে কিনা। সংবাদমাধ্যমেও তাঁরা আমাদের ব্যাপারে ইতিবাচক কথাই বলছিল।”

     

    তবে খেলা শেষ হওয়ার পর হ্যাডিন বুঝতে পেরেছিলেন ওই ব্যবহার আসলে তাদের স্বাভাবিক আক্রমণাত্মক খেলাকে দমিয়ে দেয়ার কৌশল ছিল, “ খেলার দিন আমরা এমনভাবে চলাফেরা করছিলাম যেন বহুদিনের পুরনো বন্ধু!  যখন আমরা ব্যাট করতে নামই তখনও তাঁরা খুব ভালমতো কথা বলছিল। পরে আমি ভাবলাম, এটা আমাদের আক্রমণাত্মক মনোভাবকে দূরে রাখার জন্যই করেছে তাঁরা। আমরা নিজেদের খেলা থেকে সরে গিয়েছিলাম, এই সুযোগেই তাঁরা হারিয়েছে আমাদের। আমরা কেউই ওই ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাইনা।”

     

    অকল্যান্ডের ওই ম্যাচে এক উইকেটের দারুণ জয় পায় নিউজিল্যান্ড। পরে অবশ্য ফাইনালে তাদেরকেই হারিয়ে পঞ্চমবারের মতো বিশ্বকাপ ঘরে তোলে অস্ট্রেলিয়া। আগামী পরশু সিডনিতে ‘চ্যাপেল-হ্যাডলি ট্রফির’ তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ শুরু হবে।