অ্যাডিলেডে ওয়ার্নারের রেকর্ডের দিন
সেঞ্চুরি করাটা এখন একরকম অভ্যাসই বানিয়ে ফেলেছেন। সিডনিতে ঠিক আগের ম্যাচেই করেছিলেন ১৩০ রান। তবে আজ অ্যাডিলেডের ১৭৯ রানের ইনিংসটা অনেক দিক দিয়েই নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়া। নিজের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস তো হয়ে গেছেই, অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ওয়ানডেতে যে কোনো উইকেটে সবচেয়ে বেশি রানের অংশীদারও হয়েছেন ওয়ার্নার।
ব্যাট হাতে স্বপ্নের মতো একটা সময়ই কাটাচ্ছেন। আজও পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৭৯ রানের ইনিংসটা গত ১১ ম্যাচে ওয়ার্নারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি। এই মৌসুমে ওয়ানডেতে এর মধ্যেই ছয়টি সেঞ্চুরি হয়ে গেছে, এক মৌসুমে ছয়টি সেঞ্চুরির রেকর্ড আছে শুধু কুমার সাঙ্গাকারার। ওয়ানডেতে দেড়শ ছাড়ানো ইনিংসেও এখন সবার ওপরে ওয়ার্নার। পাঁচবার দেড়শ ছাড়ানো ইনিংস খেলেছেন, যে কীর্তি আর আছে শুধু শচীন টেন্ডুলকারের। ২১ রানের জন্য ডাবল সেঞ্চুরি না পাওয়ায় অবশ্য খানিকটা আফসোস থাকতেই পারে।
তবে ওয়ার্নারের সঙ্গে ট্রাভিস হেডকে ভুলে যাওয়া অন্যায় হবে। দুজনের প্রথম উইকেট জুটিটা যখন ভেঙেছে, স্কোরকার্ডে রান হয়ে গেছে ২৮৪। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে যে কোনো উইকেটে এটাই সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড, প্রথম উইকেটে বিশ্বরেকর্ডের চেয়ে দুই রান কম। ১১ বছর আগে জয়াসুরিয়া-থারাঙ্গার ২৮৬ রানের জুটিটাই এখনো উদ্বোধনী জুটিতে বিশ্বরেকর্ড হয়ে আছে। এর মধ্যে ট্রাভিস হেড ওয়ানডেতে নিজের প্রথম সেঞ্চুরিও পেয়ে গেছেন। পাকিস্তানের বিপক্ষেও এটা যে কোনো উইকেটে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড। আর অ্যাডিলেড ওভালে এই প্রথম ৩৫০র বেশি রান করল কোনো দল। শেষদিকে দ্রুত কিছু উইকেট না হারালে সেই রান ৪০০ও এমনকি হতে পারত।
তবে এত কিছুর মধ্যে পাকিস্তানের হাসান আলী এমন একটা কীর্তি গড়েছেন, নিজের নামের পাশে যেটা কখনোই দেখতে চাননি। পাকিস্তানের হয়ে ওয়ানডেতে মাত্র দ্বিতীয় বোলার হিসেবে এক ম্যাচে ১০০ রান দিয়েছেন। পাকিস্তানের হয়ে ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ডটা এখনো ওয়াহাব রিয়াজেরই, গত বছর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১১০ রান দিয়েছিলেন এই পেসার।