শেষ ম্যাচেও পাকিস্তানের আত্মসমর্পণ
অনেক রেকর্ডের ম্যাচটিতে জিততে হলে পাকিস্তানকেও গড়তে হত আরেক রেকর্ডই। অ্যাডিলেড ওভালে তিন শতাধিক রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড আছে কেবল একটি। সেটাও ১৭ বছর আগে ইংল্যান্ডের ৩০২ রানের জবাবে, ১ উইকেট আর ২ বল হাতে রেখে। অস্ট্রেলিয়ার ৩৬৯ রান তাড়া করে জেতাটা তাই পাকিস্তানের জন্য একরকম দুঃসাধ্যই ছিল। শেষতক ম্যাচটা ৫৭ রানে হেরে ৫ ম্যাচের সিরিজে ৪-১ ব্যবধানে হার মানলো সফরকারীরা।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ডেভিড ওয়ার্নার আর ট্রাভিস হেডের রেকর্ড ২৮৪ রানের উদ্বোধনী জুটিতে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩৬৯ রান করে অস্ট্রেলিয়া। ওয়ার্নারের ক্যারিয়ারসেরা ১৬৯ রানের ইনিংসটি অনেক রেকর্ডই লিখেছে নতুন করে। ১৯ চার আর ৫ ছয়ে ওয়ার্নার ইনিংসটি সাজান ১২৮ বল খেলে। ক্যারিয়ার প্রথম শতক পেয়ে ট্রাভিস হেড করেন ১২৮, ১৩৭ বল থেকে ৯ চার আর ৩ ছয়ে। পাকিস্তানের পক্ষে জুনাইদ খান ও হাসান আলী ২টি করে উইকেট নেন। তবে হাসান আলী নাম লিখিয়েছেন অনাকাঙ্খিত এক রেকর্ডেও, একদিনের ক্রিকেটে দ্বিতীয় পাকিস্তানী হিসেবে দিয়েছেন দিয়েছেন ৩ অংকের রান।
জবাবে শুরুতেই অধিনায়ক আজহার আলীর উইকেটটি হারালেও শার্জিল খান ও বাবর আজমের ১৩০ রানের জুটি আশা জিইয়ে রাখে পাকিস্তানের জন্য। শার্জিল ৭৯ রানে ফিরে গেলে খেই হারায় পাকিস্তান। হাফিজ ৩ রানে ক্যাচ তুলে ফেরার পর হাতে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন শোয়েব মালিক। এরপর আর ব্যাটই করতে নামেন নি। বাবর আজমের ১০০ রানের পর কেবল উমর আকমলই রান পেয়েছেন, তবে বাকিদের ব্যর্থতায় তাঁর ৪০ বলের ৪৬ শেষ পর্যন্ত কেবল পরাজয়ের ব্যবধানটাই কমিয়েছে। ৫ বল বাকি থাকতে অল-আউট হওয়ার আগে পাকিস্তানের সংগ্রহ ছিল ৩১২। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে মিচেল স্টার্ক ৪২ রানের বিনিময়ে নেন ৪ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ অস্ট্রেলিয়া ৩৬৯/৭, ৫০ ওভার (ওয়ার্নার ১৭৯, হেড ১২৮; জুনাইদ ২/৬১, হাসান ২/১০০); পাকিস্তান ৩১২, ৪৯.১ ওভার (বাবর ১০০, শার্জিল ৭৯; স্টার্ক ৪/৪২, কামিন্স ২/৬০)
ফলঃ অস্ট্রেলিয়া ৫৭ রানে জয়ী।
সিরিজঃ অস্ট্রেলিয়া ৪ - ১ পাকিস্তান
ম্যাচ সেরাঃ ডেভিড ওয়ার্নার (অস্ট্রেলিয়া)
সিরিজ সেরাঃ ডেভিড ওয়ার্নার (অস্ট্রেলিয়া)