নাটকীয় ম্যাচের পর ফাইনালে বার্সেলোনা
কার্ডের ছড়াছড়ি, পেনাল্টি মিস, অফসাইডে গোল বাতিল; কী হয়নি এই ম্যাচে! উত্তেজনায় ঠাসা এক সেমিফাইনালে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের সাথে ১-১ গোলে ড্র করেছে বার্সেলোনা। দুই লেগ মিলে ৩-২ গোলে এগিয়ে থেকে টানা চতুর্থবারের মতো কোপা ডেল রের ফাইনালে উঠে গিয়েছে লুইস এনরিকের দল।
রেফারির পকেট থেকে একের পর এক কার্ডই বের হয়েছে এই ম্যাচে। এদিন মোট ৭ জন ফুটবলার হলুদ কার্ড দেখেছেন। ১৯ মিনিটে সার্জিও রবার্তো থেকে শুরু, ম্যাচের শেষ মুহূর্তে গিয়েও হলুদ কার্ড দেখেছেন বুসকেটস। দুই পক্ষের ফুটবলারই লাল কার্ড দেখে মাঠ ছেড়েছেন। বার্সার সুয়ারেজ, রবার্তো ও অ্যাটলেটিকোর কারাস্কোকে মাঠের বাইরের পথ দেখিয়েছেন রেফারি।
তবে মাঠ ছাড়ার আগে বার্সাকে স্বস্তির গোল এনে দিয়েছেন সুয়ারেজ। ৪৩ মিনিটে তাঁর দারুণ এক গোলেই এগিয়ে যায় কাতালানরা। তবে দ্বিতীয়ার্ধের ১০ মিনিটের মাথায়ই ১০ জনের দলে পরিণত হয় বার্সা। এই সুযোগে আক্রমণের ধারও বাড়াতে থাকে গ্রিজমানরা। ৬৯ মিনিটে কারাস্কো দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে ১০ জনের দলে পরিণত হয় দুই পক্ষই।
এরপরেই গ্রিজমানের গোল, তবে সাথে সাথেই অফসাইডের অভিযোগে সেটা বাতিল করেন রেফারি। কিছুক্ষণ পর মেসির ফ্রি কিক অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট না হলে ব্যবধানটা বাড়াতে পারতো বার্সা। মনে হচ্ছিল সুয়ারেজের ওই গোলে নির্বিঘ্নেই ফাইনালে পৌঁছে যাবে মেসিরা।
তবে নাটকের তখনো বাকি ছিল। ৭৯ মিনিটে পেনাল্টি পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি কেভিন গ্যামেইরো। তাঁর শট পোস্টের অনেক ওপর দিয়ে চলে যায়। ৮৩ মিনিটে অবশ্য তাঁর গোলেই ম্যাচে সমতা আনে সিমিওনের দল। আর এক গোল পেলেই ম্যাচ চলে যাবে অতিরিক্ত সময়ে, এরকম সমীকরণে আক্রমণের ধার আরও বাড়িয়ে দেয় গ্রিজমানরা। তবে শেষ পর্যন্ত আর গোলের দেখা পায়নি কেউই।
যার গোলে ফাইনালে উঠলো দল, সেই সুয়ারেজকেই ফাইনালে পাচ্ছে না বার্সা। ৯০ মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছেড়েছেন এই উরুগুয়ে ফরোয়ার্ড। ফাইনালে আলাভেস অথবা সেল্টা ভিগোর মুখোমুখি হবে বার্সেলোনা।