• বাংলাদেশ বনাম শ্রীলংকা
  • " />

     

    সেই নো বলেরই মূল্য দিল বাংলাদেশ

    সেই নো বলেরই মূল্য দিল বাংলাদেশ    

    শ্রীলঙ্কা ৮৮ ওভারে ৩২১/৪ (মেন্ডিস ১৬৬*, গুনারত্নে ৮৫; তাসকিন ১/৪৮, মুস্তাফিজ ১/৫০, শুভাশীষ ১/৫৮, মিরাজ ১/৬৬)


    দিন শেষে মুশফিকুর রহিম আফসোস করতেই পারেন। শ্রীলঙ্কাকে বাগে পেয়েও যে ধরতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে তার চেয়েও বেশি আফসোস করবেন শুভাশীষ রায়। কুশল মেন্ডিস আউট হয়ে যেতে পারতেন প্রথম বলেই। অথচ শুভাশীষের নো বলে পার পাওয়ার পর সেই মেন্ডিসই দিন শেষ করেছেন ১৬৬ রানে অপরাজিত থেকে।

    দিনের শুরুটা দেখে সবসময় বোঝা যায় না, বাকি দিন কেমন যাবে। সকালে শ্রীলঙ্কাকে যেভাবে চেপে ধরেছিল বাংলাদেশ, দিনের শেষে সেই শ্রীলঙ্কার রানেই পিষ্ট হয়েছেন মুস্তাফিজরা। যতই দিন গড়িয়েছে, শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানরা ততই ক্রিজে আরও বেশি স্বচ্ছন্দ হয়েছেন। প্রথম সেশনে যখন ওভারপ্রতি মাত্র দুই রান উঠছিল, পরের দুই সেশনে সেটা হয়ে গেছে প্রায় দ্বিগুণের কাছাকাছি। গলের নিষ্প্রাণ উইকেট বলছে, কালও লম্বা দিন অপেক্ষা করছে তাসকিনদের জন্য।

    দিনের শুরুতেই থারাঙ্গাকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন শুভাশীষ। পরে মিরাজকে কাট করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান করুনারত্নে। প্রথম সেশনে বাংলাদেশের সাফল্য এই দুবারই। দীনেশ চান্ডিমাল শুরু থেকেই ছিলেন অতি সতর্ক। শেষ পর্যন্ত ফাঁস খুলতে গিয়েই মুস্তাফিজের বলে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন। গালিতে দারুণ ক্যাচের জন্য মিরাজও কিছুটা কৃতিত্ব দাবি করতে পারেন।

    তখনও শ্রীলঙ্কার রান ৩ উইকেটে ৯২। বাংলাদেশের সুযোগ ছিল শ্রীলঙ্কার ওপর চড়ে বসার। কিন্তু দারুণ বল করতে থাকা বোলাররা এরপর হঠাৎ করেই খেই হারিয়ে ফেলেছেন। সুযোগটা ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছেন মেন্ডিস ও গুনারত্নে। দুজনেই উইকেটে বেশ দ্রুত রান তুলছিলেন। সৌম্যকে চার মেরে সেঞ্চুরিও পেয়ে যান মেন্ডিস। বাংলাদেশও ফিল্ডিংয়ে কিছুটা দিকবগ্রান্ত হয়ে পড়ে। কিপারের হেলমেটে লেগে, ওভারথ্রো থেকে আসে বেশ কিছু অতিরিক্ত রান। শরীরের ভাষা বলছিল, ফিল্ডাররা বেশ হতোদ্যম হয়ে পড়েছেন। মেন্ডিস-গুনারত্নের ব্যাটিংয়েও আউট হওয়ার কোনো লক্ষণ নেই। দুজনের জুটিতে ১৬৯ রানও হয়ে গিয়েছিল। যখনই মনে হচ্ছিল, দিনটা বাংলাদেশের জন্য একদম ভুলে যাওয়ার মতো হবে তখনই এলো মুহূর্তটা।

    একটু মনযোগে ঢিলে দিয়েছিলেন সম্ভবত, তাসকিনের বলে পুল খেলতে গিয়ে তাই বল স্টাম্পের ওপর টেনে আনেন গুনারত্নে। সেঞ্চুরি থেকে ১৫ রান দূরেই আউট হয়ে যান। তবে মেন্ডিস অন্য প্রান্তে খেলছিলেন দারুণ সব স্ট্রোক। অন্য প্রান্তে ডিকভেলাকে নিয়ে বাকি দিনে আর কোনো বিপদ হতে দেননি।