মুশফিক-লিটনে বাংলাদেশের প্রতিরোধ
স্কোর
পঞ্চম দিন, লাঞ্চ
শ্রীলঙ্কা ৪৯৪ ও ২৭৪/৬
বাংলাদেশ ৩১২ ও ১৫৭/৫ (মুশফিক ৩৪*, লিটন ৩২*)
হঠাৎ করেই কি ব্যাটসম্যানদের জন্য দুর্বোধ্য হয়ে গেল গলের উইকেট? সকালে গলে যে দুঃস্বপ্নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে যেতে হলো, তাতে এই প্রশ্নটা উঠে আসবেই। আগের দিন ৬৭ রানে কোনো উইকেট না হারিয়ে দিন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। তারাই আজ সকালে আরও ৩৭ রান যোগ করতেই হারাল ৫ উইকেট। ষষ্ঠ উইকেটে লিটন দাশ ও মুশফিকুর রহিমের ৫৩ রানে এখনো আত্মসমর্পণ করেনি বাংলাদেশ। তার পরও গল টেস্টে বাংলাদেশের জন্য পরাজয় বাঁচানোটা এখনও প্রায় অসম্ভবই।
আজ সকালে প্রথম ওভারেই উদযাপনের সুযোগ পেয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। দিনের প্রথম বলেই ক্যাচ প্রায় তুলেই দিয়েছিলেন সৌম্য সরকার, গুনারত্নের দ্বিতীয় বলেই লাইন মিস করে বোল্ড হয়ে যান সৌম্য। নিজেও সেটি বুঝতে পারেননি, এমনকি রিভিউও নিতে গিয়েছিলেন।
মুমিনুল হকের আউটটা অবশ্য প্রথম ইনিংসের কার্বন কপি। দিলরুয়ান পেরেরার বলের টার্ন বুঝতে না পেরে এলবিডব্লু হয়েছিলেন প্রথম ইনিংসে, এবারও ফুটওয়ার্কের মাশুল দিলেন আরও একবার এলবিডব্লু হয়ে।
আশা হয়ে ছিলেন তামিম, তবে আবারও আঘাত হানলেন পেরেরা। উইকেট থেকে ফায়দা নিয়েছেন দারুণ, তামিমকে আউট করা বলটা টার্ন এবং বাউন্সের আদর্শ সমন্বয়। ডিফেন্স করতে গিয়েই স্লিপে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন তামিম।
তারপরও তামিম-সাকিব ছিলেন, দুজনের ২১ রানের জুটিতে বাংলাদেশ একটু হলেও আশা দেখছিল। এবার এক ওভারে হেরাথের জোড়া আঘাত। প্রথমে ডিফেন্স করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিলেন সাকিব, এক বল পরেই আর্মারে এলবিডব্লু হলেন মাহমুদউল্লাহ। মুশফিক-লিটন মিলে অবশ্য প্রতিরোধ গড়েছেন, কিন্তু দুজনকে অন্তত আরও লম্বা সময় ব্যাট করতে হবে। গলের আকাশও বলছে, শেষ বিকেলে হানা দিতে পারে বৃষ্টি। ম্যাচ বাঁচানোর জন্য সেই কৃপাও তো বাংলাদেশের দরকার।