ফলাফল: আপনার চোখে বাংলাদেশের ওরা ১১ জন
শততম টেস্টের ঠিক আগে প্যাভিলিয়নের পাঠকদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা একাদশে কাদের রাখবেন? পাঠকেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবেই সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে বেছে নিয়েছেন তাঁদের প্রিয় ১১ জন। চলুন, এক নজরে দেখে নেওয়া যাক তাঁদের পছন্দের একাদশ।
ওপেনার :
তামিম ইকবালের নামটা অটোমেটিক চয়েসই ছিল, প্রায় ৯৯ শতাংশ ভোট পেয়ে সেটাই প্রমাণ করেছেন। আরেকজন ওপেনারের বেলায় ইমরুল কায়েসের সঙ্গে প্রায় সমানে টক্কর দিয়েছেন শাহরিয়ার নাফিস। এর পরেই ছিলেন জাভেদ ওমর এবং জুনাইদ সিদ্দিকী।
মিডল অর্ডার
এখানেও কয়েকটা নাম অনুমিতই ছিল। ফলাফলেও দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি পাঠক ভরসা রেখেছেন সাকিব আল হাসানের ওপর। হাবিবুল বাশারও কাছাকাছিই ছিলেন। তবে কলম্বো টেস্টের দল থেকে বাদ পড়েও একাদশে ঠাঁই করে নিয়েছেন মুমিনুল হক। মোহাম্মদ আশরাফুল ৬৬ শতাংশ ভোট পেয়ে জায়গা পেয়েছেন, পিছিয়ে গেছেন বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
উইকেটরক্ষক
মুশফিকুর রহিমের নামটাও এখানে অটোমেটিক চয়েসই ছিল। খালেদ মাসুদ পাইলট এখানে পিছিয়ে আছেন বড় ব্যবধানেই। অবশ্য খালেদ মাসুদকে উইকেটরক্ষক রেখে অনেকে মুশফিককে মিডল অর্ডারেও খেলাতে চেয়েছিলেন, সেই হিসেবে খালেদ মাসুদ আরও বেশি ভোট পেতেই পারতেন।
বোলার
এখানেও প্রথম দুইটি নাম মোটামুটি অনুমিতই ছিল। মোহাম্মদ রফিক ও মাশরাফি বিন মুর্তজা এগিয়ে আছেন অনেকটাই। অন্তত দশ টেস্টের সীমারেখা দেওয়ায় মুস্তাফিজুর রহমান ও মেহেদী হাসান মিরাজকে বিবেচনায় রাখা হয়নি। তবে টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে চতুর্থ সর্বোচ্চ উইকেটের (৭২) পরও জায়গা পাননি শাহাদাত হোসেন। বরং ২৪ টেস্ট খেলে প্রায় ৭৭ গড়ে ৩২ উইকেট নিয়েও জায়গা পেয়েছেন রুবেল হোসেন। স্পিনারদের ক্ষেত্রেও তাইজুল ইসলাম, এনামুল হক জুনিয়র, সোহাগ গাজীদের চেয়েও কম উইকেট পেয়েও সুযোগ পেয়েছেন আবদুর রাজ্জাক।
অধিনায়ক
অধিনায়ক নির্বাচনের ক্ষেত্রে পাঠকদের নিজস্ব মতামত চাওয়া হয়েছিল ভোটাভুটির বদলে। তাতে মাত্র ১ টেস্টে অধিনায়কত্ব করেও সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন মাশরাফিই। হাবিবুল বাশার একটুর জন্য তাঁর পেছনে পড়ে গেছেন। বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি টেস্ট নেতৃত্ব দেওয়া বর্তমান অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম আছেন অনেকটাই পিছিয়ে।
এক নজরে পুরো দল