বাংলাদেশের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার চিন্তা যখন নিজেদের নিয়েও
ফরম্যাটের নাম যখন টি-টোয়েন্টি, শ্রীলঙ্কার তখন যেন আপন ঘরেই পরবাস! দেশের মাটিতে ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টির একমাত্র ফাইনাল খেলা দলের নাম শ্রীলঙ্কা। একমাত্র ফাইনাল হারা দলের নামও শ্রীলঙ্কা! এমনিতে টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কার রেকর্ড ভালই। ৯৩ ম্যাচে ৫০ জয়, জয়ের হারে সব দেশ মিলিয়ে চতুর্থ। সবচেয়ে বেশী ম্যাচ জেতার তালিকাতেও তারা দ্বিতীয়। কিন্তু দেশের মাটিতে রেকর্ডটা বিপক্ষেই চলে যায় তাদের। ২৮ ম্যাচে জয় ১১টি।
এই বিরুদ্ধ-রেকর্ডের সবচেয়ে বড় দায়টা আবার আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামের! এ মাঠে ১১টি টি-টোয়েন্টি খেলে যে ১০টিতেই হারতে হয়েছে তাদের! দেশের মাটিতে শ্রীলঙ্কা টি-টোয়েন্টি খেলেছেই তিনটি ভেন্যুতে। তবে আর প্রেমাদাসার মতো করে আক্ষেপ জাগাতে পারেনি পাল্লেকেলে বা হাম্বানটোটা!
সেই আর প্রেমাদাসাতেই দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে লঙ্কানদের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি আবার বাংলাদেশের এক আক্ষেপের নাম! র্যাংকিংয়ে পিছিয়ে আফগানিস্তানের থেকেও, জয়ের রেকর্ডে পূর্ণ দলগুলোর মাঝে শুধু জিম্বাবুয়ের থেকেই এগিয়ে।
মুখোমুখি লড়াইয়েও পরিসংখ্যানে এগিয়ে শ্রীলঙ্কাই। পাঁচ ম্যাচের চারটিতেই জয় তাদের। তবে বাংলাদেশকে প্রেরণা জোগাতে পারে শেষ ম্যাচের স্মৃতিটাই। লঙ্কানদের সঙ্গে একমাত্র জয়টি তো ওই ম্যাচেই, গত বছর এশিয়া কাপে, ঢাকায়।
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সময়ের সুখস্মৃতিও ওই এশিয়া কাপই। ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টির ‘বাছাইপর্বে’ নেদারল্যান্ড ও ওমানের সঙ্গে জয় বাদ দিলে সব ম্যাচেই হার। হারতে হয়েছে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে শেষ তিন ম্যাচের সিরিজও। শেষ সিরিজের পারফরম্যান্স বিবেচনায় নিলে অবশ্য এগিয়ে শ্রীলঙ্কা। দেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে হারের পর সেই অস্ট্রেলিয়াকেই তাদের দেশে হারিয়েছে লঙ্কানরা। সিরিজ জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকাতে গিয়েও।
বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার র্যাঙ্কিংয়ের ব্যবধানটাও খুব বেশী না। আটে শ্রীলঙ্কা, দশে বাংলাদেশ। টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ ড্রয়ের পর তাই টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিততে মুখিয়েই আছে মাশরাফির দল। রেকর্ডের দিকে হয়তো নজর নেই সেভাবে।
তবে সেই রেকর্ডের দিকে তাকালে শ্রীলঙ্কার ‘দুশ্চিন্তা’ যতোটা না বাংলাদেশ হওয়ার কথা, তার চেয়েও বেশী চিন্তায় ফেলতে পারে তো দেশের মাটিতে তাদের পারফরম্যান্সই!
আরও নির্দিষ্ট করে বললে, আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়াম!