চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে থাকছে না ভারত?
‘তিন মোড়লের নীতি’ নিয়ে আইসিসির সাথে বিসিসিআইয়ের দ্বন্দ্বটা গত কয়েক মাস ধরেই চলছে। সেই দ্বন্দ্ব আজ চরমে রূপ নিয়েছে। আইসিসির লভ্যাংশ বণ্টনের নতুন নিয়ম মেনে নিয়ে অতিরিক্ত ১০০ মিলিয়ন ডলার প্রাপ্তির প্রস্তাব নাকচ করেছে বিসিসিআই। আর চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল ঘোষণার আজ শেষ দিন হলেও এখন পর্যন্ত সেটা করেনি ভারত। ফলে টুর্নামেন্টে তাঁদের অংশগ্রহণ নিয়েও দেখা দিয়েছে সংশয়।
২০১৪ সালে চালু হওয়া ওই নীতি অনুযায়ী বাৎসরিক লভ্যাংশের সিংহভাগ পায় ভারত। তবে এই বছরের ফেব্রুয়ারিতেই এই বিতর্কিত নীতি থেকে সরে আসার ঘোষণা দেয় আইসিসি। কিছুদিন আগেই বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, আইসিসির বৈঠকে ওই নীতি জুন পর্যন্ত বহাল রাখার প্রস্তাব তোলা হবে। কিন্তু ভারতের প্রস্তাব নাকচ করে অতিরিক্ত টাকার বিনিময়ে তাঁদের নতুন নীতি মেনে নেওয়ার আহবান জানান আইসিসি সভাপতি শশাঙ্ক মনোহর। বিসিসিআইয়ের এক কর্মকর্তা জানান, ভারত এই প্রস্তাব সাথে সাথেই প্রত্যাখ্যান করেছে, “শশাঙ্ক মনোহর আমাদের নতুন নিয়ম মেনে নিয়ে অতিরিক্ত ১০০ মিলিয়ন ডলার রেখে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। এমনকি আমাদের একটা সময়ও বেধে দিয়েছিলেন এটা মেনে নেওয়ার জন্য। তবে আমরা এটা প্রত্যাখ্যান করেছি। এটাকে তো আমরা প্রস্তাব হিসেবেই গণ্য করছি না!”
এই কর্মকর্তা বলছেন, নতুন নিয়মে ভারতের বড় আর্থিক ক্ষতি হবে, “আগের নিয়মে বিসিসিআই যদি ৫০০ রুপি পায় তাহলে অন্যরা ১০০ পায়। এখন সেটা হয়ে যাবে ৩০০ ও ২০০ রুপি। আমরা এটাও বলেছি, আগের নিয়মে থেকেই অন্যদের টাকার পরিমাণ বৃদ্ধি করার চেষ্টা করা হবে। মনোহর আজ আমাদের এরকম একটা প্রস্তাব দিয়েছেন যা মেনে নেওয়া যায় না। আর তিনি এই প্রস্তাব দেওয়ার কে? এটা তো সদস্য দেশগুলো বসে সিদ্ধান্ত নেবে।”
এদিকে আজ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল ঘোষণার শেষ দিন হলেও এখন পর্যন্ত সেটা করেনি বিসিসিআই। এর আগেও পাকিস্তান ইস্যু এবং লভ্যাংশের ব্যাপার নিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে সরে আসার ব্যাপারে কয়েকবার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল তাঁদের পক্ষ থেকে। যদি বিসিসিআইয়ের ওই কর্মকর্তা বলছেন, স্কোয়াড মোটামুটি নির্ধারিতই হয়ে আছে, “আমরা যদি ৫ মে দল ঘোষণা করি তাহলে কি আইসিসি আমাদের টুর্নামেন্ট থেকে নিষিদ্ধ করবে? আমাদের দল তো তৈরিই আছে, নাম ঘোষণা করাটা একটা আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।”