ম্যানেজারের সঙ্গে দ্বন্দ্বেই শ্রীলঙ্কা কোচের পদত্যাগ?
দ্বিতীয় দফায় শ্রীলঙ্কার দায়িত্ব নেওয়ার পর শর্ত দিয়েছিলেন, দীর্ঘ সময়ের জন্য দায়িত্ব চান। সেজন্য ২০১৯ সাল পর্যন্ত গ্রাহাম ফোর্ড চুক্তি করেছিলেন শ্রীলঙ্কার বোর্ডের সাথে। কিন্তু এই দফায় ১৫ মাসও টিকতে পারলেন না, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে শ্রীলঙ্কার বিদায়ের পরেই পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন।
কিন্তু হুট করে ফোর্ড পদত্যাগ করতে গেলেন কেন? গত এক বছরে শ্রীলঙ্কার সময় খুব ভালো যায়নি বটে, বাংলাদেশের সঙ্গে নিজেদের মাটিতে টেস্ট হারার পর তো শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়াই করে ফেলেছিল সে দেশের একটি পত্রিকা। তার আগে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়েও ফিরতে হয়েছিল ধবলধোলাই হয়ে। তবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারতকে হারিয়ে চমকেই দিয়েছিল তরুণ শ্রীলঙ্কা। পাকিস্তানের সঙ্গে ক্যাচ মিস না হলে সেমিফাইনালে যেত নিশ্চিতভাবেই। তবে দেশে ফেরার পর সরাসরি শ্রীলঙ্কার ক্রীড়া মন্ত্রীর সমালোচনা করেন লাসিথ মালিঙ্গা। বোর্ড সেটার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুর ঘোষণা দেওয়ার পর পরেই পদত্যাগ করেছেন ফোর্ড।
জানা যাচ্ছে, ফলাফল নয়, ফোর্ড মূলত পদ ছেড়েছেন ক্ষমতা নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণেই। গত মার্চে শ্রীলঙ্কার ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন ১৯৯৬ বিশ্বকাপ বিজয়ী ব্যাটসম্যান আসাঙ্কা গুরুসিংহে। ফোর্ড সরাসরি কিছু না বললেও আভাস দিয়েছেন, ম্যানেজারের বাড়তি ক্ষমিতা তাঁর পছন্দ হয়নি।
২০১১ সালের পর থেকে শ্রীলঙ্কায় এ পর্যন্ত আটজন কোচ দায়িত্ব নিয়েছেন। ফোর্ড নিজেই ২০১২ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত দায়িত্বে ছিলেন। নতুন কোচ হিসেবে এখনও অবশ্য কারও নাম শোনা যায়নি।