• চ্যাম্পিয়নস ট্রফি
  • " />

     

    দেশই আগে ডি ভিলিয়ার্সের কাছে

    দেশই আগে ডি ভিলিয়ার্সের কাছে    

    ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে বুঁদ হয়ে জাতীয় দলে অনিয়মিত হয়ে পড়ছেন অনেক ক্রিকেটারই। দুনিয়াজোড়া টি-টোয়েন্টি লিগগুলোতে নির্বিঘ্নে খেলার সুযোগ পেতে কেউ কেউ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটটা পুরোপুরিই ছেড়ে দিচ্ছেন। এ নিয়ে সমালোচনাও কম হচ্ছে না। তাতে অবশ্য ক্রিকেটারদের এমন প্রবণতায় খুব একটা প্রভাব পড়ছে বলেও মনে হচ্ছে না। কিন্তু সময়ের অন্যতম সেরা মারকুটে ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্স বলছেন জাতীয় দলের হয়ে খেলাটাকেই তিনি এখনও বেশি প্রাধান্য দেন এবং আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে প্রোটিয়াদের হয়ে সবগুলো ম্যাচই খেলতে চান বলে জানিয়েছেন।

     

    চলতি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু দলে থাকা ডি ভিলিয়ার্স ইনজুরির কারণে কয়েকটি ম্যাচ খেলতে পারেন নি। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে একটা ম্যাচও তিনি মিস করতে চান না, “আইপিএলে কিছু ম্যাচ মিস করেছি, কিন্তু চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে প্রোটিয়াদের হয়ে একটা ম্যাচও মিস করার ইচ্ছা নেই আমার। ফর্ম নিয়ে আমার চিন্তা নেই, আশা করি আপনারাও চিন্তিত নন। এখানে শুরুটা ভালোই করেছিলাম, এরপর আরও কিছু ভালো ইনিংস খেলেছি। হয়তো কোনো সেঞ্চুরি পাই নি, কিন্তু হিটিং পাওয়ারটা আগে যেমন ছিল তেমনই আছে।”

     

    আইসিসির টুর্নামেন্টগুলোয় দক্ষিণ আফ্রিকার দুর্নাম আছে ‘চোকার’ হিসেবে। তবে ক্রিকেটের অন্যতম পরাশক্তি দেশটির জেতা একমাত্র বড় শিরোপাটা এই চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেই। আইসিসি নকআউট টুর্নামেন্ট নামে শুরু হওয়া টুর্নামেন্টটির প্রথম শিরোপাটাই জিতেছিল প্রোটিয়ারা, ১৯৯৮ সালে ঢাকায়। প্রায় দুই দশকের পুরনো সে সাফল্যের পুনরাবৃত্তি করতে চান এবি, “আমরা আত্মবিশ্বাস নিয়ে সেখানে যেতে চাই এবং শিরোপা জিততে চাই। আমরা চ্যাম্পিয়নস ট্রফি একবার জিতেছি, সেটাও বেশ আগের কথা। সুতরাং সেটার পুনরাবৃত্তি করতে মন্দ লাগবে না। গত কয়েক বছর ধরেই আমরা দারুণ ক্রিকেট খেলছি। বিশেষ করে গত ২০১৫ বিশ্বকাপের হতাশার পর আমরা আসলেই অনেক ভালো করছি।”