ইংল্যান্ডকে মাটিতে নামিয়ে আনল দক্ষিণ আফ্রিকা
স্কোর
ইংল্যান্ড ৩১.১ ওভারে ১৫৩ (বেয়ারস্টো ৫১, রোল্যান্ড জোন্স ৩৭*; রাবাদা , মহারাজ ৩/২৫, পারনেল ৩/৪৩)
দক্ষিণ আফ্রিকা ২৮.৫ ওভারে ১৫৬/৩ (আমলা ৫৫, ডি কক ৩৪; বল ২/৪৩)
ফলঃ দক্ষিণ আফ্রিকা ৭ উইকেটে জয়ী
গত দশটি ম্যাচের নয়টিতেই রান ছাড়িয়েছে তিনশ। সেই তিনশ আজ একশতে নেমে আসবে কি না, এমন একটা সম্ভাবনা ছিল। তবে টেনেটুনে দেড়শ পেরুলেও পরাজয়টা আটকাতে পারেনি ইংল্যান্ড। প্রথম দুই ম্যাচ হেরে অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকার সিরিজ হার আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। এই ম্যাচে ৭ উইকেটের জয়টা চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আত্মবিশ্বাসের ট্যাঙ্কে জ্বালানি হিসেবেই দেখতে পারে।
ওয়ানডে ইতিহাসে ছয়বার একশর কমে অলআউট হয়েছে ইংল্যান্ড। তবে সর্বনিম্ন স্কোর ৮৬, অস্ট্রেলিয়ার সাথে সেই লজ্জাও ১৬ বছর আগের। আজ একটা সময় মনে হচ্ছিল, লর্ডসে নতুন করে রেকর্ড গড়বে ইংল্যান্ড। প্রথম ওভারেই যখন জেসন রয় আউট হয়ে গেলেন, তখনও এমন কিছু মনে হয়নি। দ্বিতীয় ওভারে জো রুট যখন পারনেলের বলে এলবিডব্লু হলেন, মনে হয়নি তখনও। কিন্তু সেটা ছিল মড়কের শুরু। চতুর্থ ওভারে আউট মরগান, রয়ের মতো তিনিও ক্যাচ দিলেন উইকেটের পেছনে। তবে ধ্বংসের যে সুর একটু একটু শোনা যাচ্ছিল, পরের ওভারে সেই প্রলয়বাজন বাজল রাবাদার হাতে। হেলসকে ফিরিয়ে দিলেন প্রথম ওভারে, যথারীতি ড্রাইভ করতে গিয়েই খোঁচা উইকেটের পেছনে। ওই ওভারের শেষ দুই বলে আউট বাটলার ও রশিদ। চিত্রনাট্য একই, ক ডু প্লেসি ব রাবাদা। ২০ রানে ৬ উইকেট নেই ইংল্যান্ড, নিজেদের ইতিহাসে এত কম রানে ৬ উইকেট হারানোর কীর্তি নেই।
সেখান থেকে হাল ধরলেন জনি বেয়ারস্টো ও ডেভিড উইলি। বেয়ারস্টো ব্যাটিং ভালোই পারেন, উইলিও দেখালেন লিস্ট এ তে সেঞ্চুরিটা ফ্লুক ছিল না। দুজন পাল্টা আক্রমণে দ্রুত কিছু রান তুলে ফেললেন। শেষ পর্যন্ত ৬২ রান ওঠার পর ভাঙল দুজনের সপ্তম উইকেট জুটি। অভিষিক্ত রোল্যান্ড জোন্স এরপর দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন বেয়ারস্টোকে। দুজন মিলে তুলেছেন আরও ৫২ রান। বেয়ারস্টো ৫১ রান করে আউট হয়ে গেলেও রোল্যান্ড শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৩৭ রান করে। শেষ দিকে ফিন, বলরা বেশি প্রতিরোধ করতে পারেননি, ইংল্যান্ড অলআউট হয়ে গেছে ৩১.১ ওভারেই।
এই রান তাড়া করে আমলা-ডি ককের ৯৫ রানের উদ্বোধনী জুটিই জয় নিশ্চিত করে দিয়েছে। এর মধ্যে আমলা ভেঙে দিয়েছেন কোহলির রেকর্ড, ছয় রানের মধ্যে আমলা, ডি কক, ডু প্লেসিকে ফিরিয়ে একটু আশা দেখছিল ইংল্যান্ড। তবে ডুমিনি ও ডি ভিলিয়ার্স বাকি কাজটা সেরেছেন সহজেই। ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা কাগিসো রাবাদা।