প্রতিপক্ষ ভারত বলে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন না তামিম
কাগজে কলমে এই ম্যাচের মূল্য কিছুই নয়। অনুশীলন ম্যাচের কোনো রেকর্ডও থাকবে না, আক্ষরিক অর্থেই স্রেফ গা গরমের জন্য। কিন্তু গা গরম করতে গিয়েই পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের যেভাবে ঘাম ছুটে গিয়েছিল, তাতে কালকের ম্যাচটা বাড়তি একটা মাহাত্ম্য পেয়েই যাচ্ছে। তার ওপর ম্যাচটা ভারতের সঙ্গে। তবে প্রতিপক্ষ ভারত বলেই যে ম্যাচটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গেল, এমনটা মনে করেন না বাংলাদেশ দলের ওপেনার তামিম ইকবাল। বরং চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে শেষ ম্যাচ বলেই এটা একটু অন্যভাবে দেখছেন তামিম।
পাকিস্তানের সঙ্গে জেতা ম্যাচটা মুঠো গলে বেরিয়ে গেছে বাংলাদেশের। মাশরাফি বিন মুর্তজা নিজের হতাশার কথা জানিয়েছেন। প্রস্তুতি ম্যাচে হারটা খুব বড় করে দেখছেন না বাংলাদেশ কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। তবে তিনি নিজেও স্বীকার করেছেন, এভাবে হেরে যাওয়া তাঁর কাছেও নতুন একটা অভিজ্ঞতা। তবে ওভালে আজ অনুশীলনে তামিম আপাতত পেছনের দিকে তাকাতে চাইছেন না। বরং ভারতের সঙ্গে ভালো করেই মূল আসরের আগে ভরে নিতে চান আত্মবিশ্বাসের জ্বালানি, 'চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে এটা আমাদের জন্য শেষ ম্যাচ। জিতলে আমরা বাড়তি একটা আত্মবিশ্বাস পাব। ওরা জিততে চাইবে, আমরাও জিততে চাইব।'
কিন্তু ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের আগের ওয়ানডে-টি টোয়েন্টি বেশ কিছুটা উত্তেজনার আঁচ ছড়িয়েছে। সেই উত্তাপ কি কাল ম্যাচেও থাকবে? তামিম অবশ্য এমন কিছু মানতে চাইলেন না, 'আমি মনে করি না, এমন কিছু আছে। দ্বৈরথ বা যাই বলুন, এমন কিছু আমি দেখি না। আমরা ওদের সম্মান করি, আমার মনে হয় ওরাও আমরা করি। কালকের ম্যাচটা খেলা হবে স্পোর্টিংভাবেই, এখানে অন্য কিছুর সুযোগ নেই।'
কিন্তু চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে যে প্রস্তুতি বাংলাদেশের হয়েছে, সেটা কি যথেষ্ট? গত কিছুদিন ধরে তামিমের ব্যাটে যে আত্মবিশ্বাসের বিচ্ছুরণ, সেটা খুঁজে পাওয়া গেল এখানেও, 'সাসেক্সে আমরা দুইটি বড় ক্যাম্প করেছি। দুইটি প্র্যাকটিস ম্যাচে আমরা ভালো খেলেছি। এরপর আমরা ত্রিদেশীয় সিরিজেও খেলেছি ভালো খেলেছি। ওখানে আমাদের নতুন কন্ডিশনে খেলতে হয়েছে। প্রস্তুতি হিসেবে আমাদের অবস্থা বেশ ভালো। এখন আমাদের মাঠে গিয়ে কাজটা করে দেখাতে হবে। '
ইংল্যান্ডে আগে না খেলার অভিজ্ঞতার অভাবও দলের অনেকে কাটিয়ে উঠবেন বলে মনে করছেন, 'এই দলের অনেকেই এখানে আগে খেলিনি। আমিও সেই ২০১০ সালের পর বোধ হয় আর খেলিনি। সেই হিসেবে এখন অনেক কিছুই নতুন মনে হবে। আশা করি, এটা আমরা কাটিয়ে উঠতে পারব।'