• চ্যাম্পিয়নস ট্রফি
  • " />

     

    'জিম্বাবুয়ের সঙ্গে খেলা হলেও বলব না আমরা জিতবই'

    'জিম্বাবুয়ের সঙ্গে খেলা হলেও বলব না আমরা জিতবই'    

    অঙ্কের হিসেবে বাংলাদেশের ট্রফি জয়ের সম্ভাবনা বাকি সাতটা দলের মতোই। ২২ গজের সেরা আট দলকে নিয়ে যখন টুর্নামেন্ট, তখন শিরোপার আশাবাদ সবারই কমবেশি করা উচিত। সেই হিসেবে বাংলাদেশের প্রথম পরীক্ষাটাই সবচেয়ে কঠিন। স্বাগতিক ইংল্যান্ডকেই যে টুর্নামেন্টের ফেবারিট হিসেবে ধরা হচ্ছে। তবে মাশরাফি বিন মুর্তজা ইংল্যান্ডকে হারানোর কথাটাও খুব জোর দিয়ে বললেন না। বরং জিতবোই, কথাটা সরাসরি না বলেও আশাবাদ জানিয়ে গেলেন।

    পরিসংখ্যান বলছে, ইংল্যান্ডের সঙ্গে বরং বাংলাদেশই কিছুটা এগিয়ে। মুখোমুখি সর্বশেষ সাত ম্যাচের চারটিতেই জিতেছে বাংলাদেশ, অথচ হেরেছিল এর আগের ১২ ম্যাচেই। তবে বাস্তবতা বলছে, ইংল্যান্ডের মাটিতে এই ইংল্যান্ডকে হারানোটা বাঘের ডেরায় ঢুকে মেরে আসার মতোই কঠিন। মাশরাফি অবশ্য সরাসরি হারানোর কথাটা এড়িয়ে গেলেন, ‘আমরা যে কাউকেই হারাতে পারি। সেই সামর্থ্য আমাদের আছে। আর ইংল্যান্ডের ওপর আমাদের চেয়ে চাপও বেশি থাকবে। ওরাই তো ফেবারিট।’

    কিন্তু মাশরাফি সরাসরি হারানোর কথাটা বলছেন না কেন? এবার বাংলাদেশ অধিনায়কের ইয়র্কার, ‘আমি আসলে এই ধরনে কথা বলারই লোক না। জিম্বাবুয়ের সঙ্গে খেলা হলেও বলব না আমরা জিতবই।’

    মাশরাফি অবশ্য জানেন, বাংলাদেশ ফেবারিট না হলেও একটা হার তুলে দিতে পারে অনেক প্রশ্ন। সেটা মাথায় রেখেই হয়তো মনে করিয়ে দিলেন, ‘আসলে চাপ আমাদের ওপরও আছে, এটা মানতেই হবে। সেরাটা খেলতে পারলেই আমরা ভালো কিছু করতে পারব।’

    কিন্তু বাস্তবতা বলছে, বাংলাদেশের জন্য সেই কাজ হবে কঠিন। বিশেষ করে পাকিস্তানের সঙ্গে জেতা ম্যাচ হাতছাড়া হওয়ার পর ভারতের সঙ্গে ২৪০ রানের বড় পরাজয় আশার ফানুস ফোলাতে দিচ্ছে না। মাশরাফি স্বীকার করলেন, প্রস্তুতি ম্যাচ হলেও ভারতের সঙ্গে এমন হার অপ্রত্যাশিত, ‘অবশ্যই আমরা কেউ ৮৪ রানে অল আউট হয়ে যেতে চাইনি। অনেক কিছুই ঠিকঠাক হয়নি।’ তবে একই সঙ্গে মনে করিয়ে দিলেন, ‘দেখুন, আমরা অনেক দিন ধরেই এখানে আছি। আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে আমরা খারাপ করিনি। পাকিস্তানের শক্তিশালী বোলিংয়ের সঙ্গেও আমরা ভালো খেলেছি। একটা ম্যাচ খারাপ ব্যাটিং করার জন্য বড় কিছু হয়ে যায়নি। আশা করি পরের ম্যাচে এসব ভুল আর হবে না।’

    কিন্তু এক মাসের এই প্রস্তুতি দলের জন্য বুমেরাং হয়ে গেল? ভাওরতের সঙ্গে ম্যাচে ক্লান্তি কি জেঁকে ধরেছিল খেলোয়াড়দের? মাশরাফি প্রশ্নটা সোজা ব্যাটেই খেললেন, ‘এটা বললে আসলে অজুহাত হবে। আমরা প্রস্তুতি হিসেবে দশদিন আগে এসেছি। আয়ারল্যান্ডের সিরিজে এমনিতেও যেতে হতো। প্রস্তুতি সব মিলিয়ে খারাপ হয় নি। কালকের ম্যাচ বা পাকিস্তানের সঙ্গে জেতা ম্যাচ হেরেছি। তবে আমি চাইবো না, প্লেয়াররা এটা ভাবুক।’

    তবে মাশরাফি আবারও মনে করিয়ে দিলেন, ইংল্যান্ডের সঙ্গে ভালো কিছু করতে হলে নিজেদের সেরাটাই দিতে হবে। সেজন্য শুরুটা ভালো করার দিকেই মনযোগ দিচ্ছেন, আমরা যে কয়টা বড় টিমের বিপক্ষে ম্যাচ জিতেছি, শুরুটা আমাদের ভালো হয়েছে। শুরুটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তবে সেটা শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে হবে। ইংল্যান্ডের অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে। শুরুতে রয়, হেলস এরপর রুট, মরগান, স্টোকস, বাটলার... সবাই ব্যবধান গড়ে দিতে পারে। তবে আমাদের এটা নিজেদের দেখানোর সুযোগ, আমরা কতটা উন্নতি করেছি।’

    আগামী ম্যাচে মাশরাফির এই কথার ওপরেই ভরসা রাখবে বাংলাদেশ।