'এটা একদিক দিয়ে আমাদের ক্রিকেটের জন্য ভালোই'
একটু আগেই সংবাদ সম্মেলনে এসে স্টিভ স্মিথ বলে গেছেন, ক্রিকেটের সঙ্গে নিরাপত্তার কথাও তাদের ভাবনায় আছে। লন্ডনে হামলার পর অনেকের মতো অস্ট্রেলিয়া দলও একটু ঘাবড়ে যাবে, তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। বরং বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকে বরং সংবাদ সম্মেলনে অনেকটা নির্ভার দেখাল। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ম্যাচের আগে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলে গেলেন, এই ব্যাপারটা বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য ভালো কিছুও হতে পারে।
১১ মাস আগে হলি আর্টিজানের জঙ্গি হামলার পর ইংল্যান্ডের বাংলাদেশ সফর পড়ে গিয়েছিল সংশয়ে। শেষ পর্যন্ত সেই সফর হয়েছে, মরগান-হেলসের মতো কয়েকজন ছাড়া ইংল্যান্ড দলও এসেছে। ওই ব্যাপারটাও মনে আছে মাশরাফির, 'আমরা যখন ইংল্যান্ড টিম গিয়েছিল, সবাই কৃতজ্ঞ ছিল। মরগান আর হেলস যায়নি, হয়তো ভীতি কাজ করেছে। এখন তারাও বুঝবে, কেউই আসলে নিরাপদ নয়।’
এই চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগেই ম্যানচেস্টারে হয়েছে ভয়াবহ আত্মঘাতী হামলা। কাল তো টুর্নামেন্টের মাঝেই হলো। মাশরাফি অবশ্য জানালেন, তাঁরা সবাই ঠিকঠাকই আছেন, 'এসব নিয়ে খুব একটা চিন্তার কিছু নাই। আমরা হোটেলেই ছিলাম, খুব একটা বের টের হইনি। আর সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও খুব ভালো ছিল।’
বরং বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই ঘটনার অন্য একটা দিক দেখতে পাচ্ছেন মাশরাফি, ‘আসলে এ ধরনের ঘটনা তো বিশ্বের সবখানেই হচ্ছে। কেউই এখন নিরাপদ নেই। তো আমি বলব, এটা একদিক দিয়ে আমাদের ক্রিকেটের জন্য ভালোই। আমাদের দেশেও এরকম কারণেই সফর হয়নি। আমাদের এখানে শেষ পর্যন্ত খেলা হয়েছে, এখানেও হচ্ছে। আর আমাদের খেলতে দেখে অনেকে সাহস পাবে। আর এই ব্যাপারটা অনেকটুকু নির্ভর করে আইসিসি ও স্বাগতিক দেশের ওপর। আর আইসিসি সব জায়গায় এরকম নিরাপত্তা রাখে, স্বাগতিকেরাও রাখে।’
নিরাপত্তার ধুয়া তুলে অস্ট্রেলিয়া দুই বছর আগে একবার আসেনি। এবারও সেই দোহাই দিয়ে আগস্টের সফর নিশ্চিত করেনি। সেই ব্যাপারটি মাশরাফিকে মনে করিয়ে দিলে তিনি যেন অনুচ্চারে অস্ট্রেলিয়া দলকে একটা বার্তাই দিলেন, ‘সব খানেই তো এসব হচ্ছে, এটা ঠেকানোর উপায় নেই। আর খেলা এমন একটা জিনিস, অনেক কিছু দেখে দূরে রাখে। আর আমাদের দেশে যেভাবে নিরাপত্তা দেওয়া হয়, বড় ধরনের অঘটন ঘটার সাহস নেই।‘
রক্ত লেগে থাকা লন্ডনে ‘আশ্বস্ত’ স্মিথরা এখন ‘শান্ত’ ঢাকায় আসার সিদ্ধান্ত নিলে হয়!