কায়েসকে তিনে আনার ব্যাখ্যা দিলেন মাশরাফি
জো রুট, বিরাট কোহলি, স্টিভ স্মিথ, কেন উইলিয়ামসন- এই সময়ের সেরা চার ব্যাটসম্যানই তিনে নিজেদের আসন পাকাপাকিভাবে গেড়ে ফেলেছেন। কিন্তু বাংলাদেশের তিন নম্বরে কে খেলবেন, সেটা এখন হয়ে গেছে মিলিয়ন ডলার প্রশ্ন। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে বেশ কিছু দিন ধরেই সাব্বির রহমানই খেলেছেন তিনে। কিন্তু প্রথম দুই ম্যাচে আবার ইমরুল কায়েসকে নিয়ে আসা হলো তিনে। কিন্তু দুই ম্যাচেই কায়েস আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি। মাশরাফি বিন মুর্তজা এবার ব্যাখ্যা করলেন, গত কিছুদিনের ফর্ম এবং শুরুতে উইকেট ধরে রাখার জন্যই কায়েসকে সেখানে খেলানো হয়েছে।
গত বছর ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন কায়েস। এরপর ভুলে যাওয়ার নিউজিল্যান্ড সফরেও নিজেকে প্রমাণ করেছেন ওয়ানডেতে। সেটা মনে করিয়ে দিয়েই মাশরাফির ব্যাখ্যা,’ সাব্বির সর্বশেষ আট নয়টা ইনিংস নাম্বার থ্রিতে খেলেছে। ইমরুলকে দেখেন, ওর গড় কিন্তু লাস্ট শেষ এক বছরে ৪০-৫০র কাছাকাছি। এই ধরনের উইকেটে নতুন বলে আমরা কেউ চাইনি, উইকেট পড়ুক। যাতে পরে উইকেট ধরে রাখতে পারি। আবার পাঁচ বোলার নিয়ে খেলতে হবে। রুম্মান সবাই জানি, সে শট খেলতে পছন্দ করে। আমরা যাতে উইকেট ধরে রাখতে পারি, সেই চেষ্টা করেছি। অবশ্যই ইমরুলকে নিয়ে আরেকটা বোলার খেলাতে চেয়েছি। লাস্টে রান করার জন্য রুম্মান আর রিয়াদ তো আছে।’ সাব্বির ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষদিকে নেমে অবশ্য কার্যকরী একটা ইনিংস খেলেছিলেন। তবে আজ পাঁচে নেমেও খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি, জাম্পার বলে ক্যাচ প্র্যাকটিস করিয়েছেন স্মিথকে।
আগের ম্যাচে যে মিরাজকে না নেওয়াটা কৌশলগত ভুল ছিল, সেটাও যেন পরোক্ষে স্বীকার করে নিলেন মাশরাফি, ‘আমার কাছে মনে হচ্ছে আজকের একাদশটা খুবই অনুমেয় ছিল। আজকে আমাদের মিরাজকে খেলাতে হতো। ওই দিনও ম্যাচের শেষে আমি বলেছি, মিরাজ থাকলে আমাদের জন্য সুবিধা হতো। আজকে ২৬০-২৭০ করতে পারলে মিরাজ হয়তো বেশ কাজে আসতে পারত। আর সাকিব যখন ব্যাট করছিল, ২৫০ও তখন বেশ অনায়াস মনে হচ্ছিল। তখন মিরাজকে আমরা কাজে লাগাতে পারতাম হয়তো।’