'ভারতের কাছে এরকম শোচনীয় পরাজয় দেখাটা কষ্টের'
আইসিসি ইভেন্টে ভারতের বিপক্ষে রেকর্ডটা একেবারেই সাদামাটা। বিশ্বকাপে কখনোই ভারতকে হারাতে পারেনি পাকিস্তান। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অবশ্য দুবার জয়ের দেখা পেয়েছে তারা। এবারের আসরের প্রথম ম্যাচে ১২৪ রানের বড় ব্যবধানে হেরে যাওয়ায় সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হতে হচ্ছে সরফরাজ আহমেদের দলকে। পাকিস্তান ও ভারতের সাবেক ক্রিকেটাররা বলছেন, দুই দেশের লড়াইটা এখন একদমই ‘জমছে না’।
বিশ্বকাপ ও চ্যাম্পিয়নস ট্রফি মিলিয়ে ভারতের বিপক্ষে ১৫ ম্যাচের ১৩ টি হেরেছে পাকিস্তান। গতদিনের পরাজয়ের ব্যবধানটা ছিল ওই ১৩ পরাজয়ের মাঝে সবচেয়ে বড়। সাবেক পাকিস্তান অধিনায়ক ইমরান খান পাকিস্তানের এরকম পরাজয়ে ব্যথিত, “একজন খেলোয়াড় হিসেবে আমি জানি জয়-পরাজয় খেলার অংশ। কিন্তু ভারতের কাছে এরকম শোচনীয় পরাজয় দেখাটা কষ্টের। পাকিস্তান ক্রিকেটের আমুল পরিবর্তন না ঘটালে দুই দেশের মাঝে এই ব্যবধানটা বাড়তেই থাকবে। পিসিবির চেয়ারম্যান যতদিন এই ব্যাপারে শক্ত পদক্ষেপ না নেবেন ততক্ষণ এই সমস্যার সমাধান হবে না।”
শেষবার ২০০৯ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ম্যাচে ভারতকে হারিয়েছিল পাকিস্তান। সেই ম্যাচের অধিনায়ক ইউনুস খান বলছেন, এজবাস্টনের ম্যাচে পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা কোনো প্রতিরোধই গড়তে পারেননি, “সেদিন পাকিস্তান কোনো প্রতিরোধ ছাড়াই ভারতের কাছে পরাজয় মেনে নিয়েছে। এরকম বড় ম্যাচে তাদের থেকে আরও অনেক লড়াই আশা করছিলাম। জুনাইদ খানকে দলে নেওয়া উচিত ছিল। ওয়াহাব রিয়াজ ভালো বোলার, কিন্তু ওদিন তার বোলিং একেবারেই ভাল হয়নি। খারাপ করলে সমালোচনা শুনতেই হবে।”
ইমরান, ইউনুসের মতো পাকিস্তানের পরাজয়ে ক্ষুদ্ধ জাভেদ মিয়াঁদাদ, আমির সোহেল, শোয়েব আখতারও। এদিকে সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটাররাও পাকিস্তানের এরকম পারফরম্যান্সে হতাশা প্রকাশ করেছেন। সঞ্জয় মাঞ্জরেকার বলছেন, ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ তার রঙ হারিয়েছে, “ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে আমাদের সময় যেমন মজা ছিল এখন আর তেমনটা নেই। দুই দলের ব্যবধান বর্তমানে খুব বেশি।” মাঞ্জরেকারের সাথেই সুর মিলিয়েছেন হার্শা ভোগলে, মোহাম্মদ কাইফ। কাইফ বলছেন, পাকিস্তানের পারফরম্যান্স একেবারেই সাদামাটা ছিল, " ভারত খুব সহজেই জয় পেয়েছে। পাকিস্তান র্যাঙ্কিংয়ের ৮ নম্বর দলের মতই খেলেছে!"