• চ্যাম্পিয়নস ট্রফি
  • " />

     

    'ভাষার সমস্যাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ'

    'ভাষার সমস্যাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ'    

    বছরখানেক হয়েছে জাতীয় দলের বোলিংয়ের দায়িত্ব নিয়েছেন। কোর্টনি ওয়ালশ এরপর বাংলাদেশ দলকে দেখেছেন খুব কাছ থেকেই। উইজডেন ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে উঠে এলো বাংলাদেশ দলের অন্দর-বাহিরের অনেক কিছুই।

     

    ৯০ দশকে যারা জন্ম, তারা অনেকেই আপনাকে জানে শৈশবের নায়ক হিসেবে। দলে যোগ দেওয়ার পর তাদের প্রতিক্রিয়া কী হয়েছিল?

    ওয়ালশ: ওরা তো খুবই খুশি ছিল। আমাকে দুই হাত বাড়িয়েই সবাই বরণ করে নিয়েছে। সবাই খুব সাহায্য করার চেষ্টা করেছে, আমিও যদ্দুর জানি ওদেরকে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এই বাংলাদেশ দলটা খুবই প্রতিভাবান, আমি তাদের সবাইকে সব ভাবে সাহায্য করতে চাই। আমি চাই, বোলাররা আরও ভালো করুক। আমি এসবই উপভোগ করি, কারণ দিন শেষে আমি এটাই ভালোবাসি।

    আপনার যে কিংবদন্তি মর্যাদা, সেটা খেলোয়াড়েরা কীভাবে দেখেছে?

    ওয়ালশঃ আমি ঠিক অভিভূত হয়ে গেছে এ কথা বলব না। তবে আমাকে পেয়ে সবাই খুশি হয়েছে। অনেকেই আমার কাছ থেকে কিছু না কিছু শেখার চেষ্টা করেছে। আমি নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছি, আমরা দল হিসেবে ভালো করি। আশা করি, আমরা ভালো কিছু ফাস্ট বোলার বের করে আনার চেষ্টা করব।

     

    তরুণ এবং অভিজ্ঞদের ব্যবধান কীভাবে কমিয়েছেন? আপনি কি রসিকতা করেন নাকি খুব কড়াকড়ির মধ্যে রাখেন?

    ওয়ালশঃ নিয়মের ব্যাপারে আমি একটু কড়া, তবে আমি রসিকতাও করি। যত দূরে পারি ওদের নির্ভার রাখার চেষ্টা করি। ওরা যদি ভালো কিছু করে,, আমি প্রশংসা করি। আবার যেটা করার কথা সেটা যদি করতে না পারে সেটিও সাথে সাথে বলে দিই। আমি নিশ্চিত করার চেষ্টা করি, সবাই যেন নিজেদের কাজটা ঠিক মতো করে।

    আপনি তো হিথ স্ট্রিকের জায়গায় দায়িত্ব নিয়েছেন। এরপর আপনার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কী ছিল?

    ওয়ালশ: স্ট্রিক যতদিন ছিলেন, খুব ভালো কাজ করেছেন। আমি সেটা ধরে রাখার চেষ্টা করেছি। পুরো কোচিং স্টাফই দলের জন্য ভালো কিছু করার জন্য নিবেদিতপ্রাণ।

    তবে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক সমস্যা। আমি কী বোঝাতে চাইছি, সেটাই শুরুতে বোঝাতে সময় লেগেছে। ভাষার সমস্যাই আমার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এই ব্যাপারটাই কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেছি। আশার কথা, সেটা খুব দ্রুত সামলে ওঠার চেষ্টা করেছি। আর কয়েকজন আমার পক্ষ থেকে  কথা অন্যদের অনূদিত করে দিচ্ছে, এটাও একটু কাজে দিয়েছে।

    পেস বোলাররা তো জোড়ায় জোড়ায় চেষ্টা করছে, আপনি যেমন অ্যামব্রোসের সাথে করতেন?

    ওয়ালশ: হ্যাঁ, সব ভালো বোলাররাই তো জোড়ায় জোড়ায় শিকার করে। হোল্ডিং-রবার্টস, মার্শাল-গার্নার, লিলি-টমসন, ওয়ার্ন-ম্যাকগ্রা, আকরাম-ওয়াকার। এরকম আরও অনেক জন আছে। বাংলাদেশ দলেও আশা করি আমরা এরকম কাউকে পাব।

    এরকম কাউকে কি দেখেছি?

    ওয়ালশ: হ্যাঁ, আমাদের এখানে তো অনেক জনই আছে। তাসকিন, মেহেদী আছে। শফিউল, রুবেলও খেলছে। অধিনায়ক মাশরাফি অবসর নিয়েছে, কিন্তু সে এখনো খুব ভালো খেলছে। আর মুস্তাফিজ যদি তাসকিনের সঙ্গে দশ বছর জুটি গড়তে পারে, তাহলে সামনের দশ বছরে ভালো কিছু অপেক্ষা করছে। আর মেহেদী অদের সঙ্গে যোগ দিতে পারলে ভালো কিছুই হবে।

    বাংলাদেশে কি এক্সপ্রেস গতির বোলার খুঁজে পাওয়া কঠিন?

    ওয়ালশঃ হ্যাঁ, এটা কঠিন মানতেই হবে। তবে আমার মনে হয়, আমাদের সেই সামর্থ্য আছে। তাসকিনের যেমন সেই সামর্থ্য আছে, এখন ওকে নিয়ে কাজ করতে হবে। দেখা যাক, ও নিজেকে কোথায় নিয়ে যেতে পারে। .