'শুধু শুধু অপ্রয়োজনীয় চাপ সৃষ্টি করার মানে নেই'
টুর্নামেন্ট শুরুর আগে এমন একটা সমীকরণের কথা নিশ্চয়ই ভাবেনি বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত একটা ম্যাচই জেতেনি, অথচ সেমিফাইনাল জয়ের আশা বেঁচে আছে ভালোমতোই। শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে গেলে অবশ্য সেই আশাও শেষ হয়ে যাবে। মাশরাফি বিন মুর্তজা জয়ের কথাই বলছেন, তবে হেরে গেলেই সব শেষ এমন ভাবতে রাজি নন। তবে এই টুর্নামেন্টটা বাংলাদেশ দলের জন্য শেখার একটা প্রক্রিয়া হিসেবেই দেখছেন।
ইংল্যান্ডের সঙ্গে প্রথম ম্যাচে ৩০৫ রান করেও খুব একটা প্রতিরোধ গড়তে পারেনি বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে অলআউট হয়ে গিয়েছিল ১৮২ রানেই। তবে মাশরাফি শুধু এই দুই পারফরম্যান্স থেকে কোনো উপসংহারে আসতে চাইছেন না, ‘আমার কাছে মনে হয় সবাই যদি চিন্তা করেন ইংল্যান্ডের সাথে আমরা জিতে যাব তাহলে আমাদের পারফরম্যান্স অবশ্যই খারাপ। আমি আগেই বলেছি, এখানে কাজ সহজ হবে না। এই কন্ডিশনে এসে বাংলাদেশ সব ম্যাচ জিতবে এরকম ভাবা কঠিন। এখানে অপ্রয়োজনীয় চাপ সৃষ্টি করার কোনো মানে নেই। না আমি না বাইরে থেকে। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আমরা ২৫০ করতে পারতাম। সাকিব যেটা আউট হয়েছে ওটা যে কোনো ভাবেই দিতে পারেন না। ওখানে আমাদের ২৫০ হওয়ার সুযোগ ছিল। টিম খারাপ খেলছে সেভাবে বিচার করার সুযোগ নেই। আমরা একটা ম্যাচও জিততে পারিনি সেটা মাথায় রাখলে চলবে না।’
তার মানে কি শেষ ম্যাচের আগে বাংলাদেশ দল খুব একটা চাপ নিচ্ছে না? মাশরাফি জানালেন, দলের সবাই বরং ম্যাচ নিয়ে বেশ রোমাঞ্চিত। হারানোর নয়, পাওয়ার হিসেবেই দেখছে এই ম্যাচকে, ‘যেটা হচ্ছে সবাই খুবই রোমাঞ্চকর। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে জানতাম, বলতে গেলে আমাদের তিন ম্যাচে হারার সুযোগ বেশি ছিল। সবকিছু আমাদের বিপক্ষে ছিল। আর কিছু জায়গায় ওদের সুযোগ বেশি ছিল। অবশ্যই সাত আটে এমন কিছু প্লেয়ার আছে, যে কেউ ব্যবধান গড়ে দিতে পারে। এটা অনেকে বুঝবে না, বা বুঝতে চাবে না এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু গ্রুপ হিসেবে আমরা আমাদের সীমাবদ্ধতা জানি।’
চাপ কমানোর জন্যই হয়তো, মাশরাফি শেষ ম্যাচটা শেখার ধাপ হিসেবেই দেখছেন, ‘আমরা অস্ট্রেলিয়ার সাথে হারতাম, সত্যি কথা। ওই জায়গা থেকে আমরা জানি, খেলা হয়নি বলে এক পয়েন্ট পেয়ে গেছি। ইংল্যান্ডের সাথে একটা বোলার বেশি থাকলে হয়তো অন্য কিছু যেতে পারত। আমি মনে করি আমাদের রোমাঞ্চটাই বেশি কাজ করছে। আমাদের জন্য বরং এই ম্যাচে অনেক কিছু শেখার আছে।’