সেমিফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত
সংক্ষিপ্ত স্কোর
দক্ষিণ আফ্রিকা ১৯১ অল-আউট, ৪৪.৩ ওভার (ডি কক ৫৩, ডু প্লেসি ৩৬, ভুবনেশ্বর ২/২৩, বুমরাহ ২/২৮)
ভারত ১৯৩/২, ৩৮ ওভার (ধাওয়ান ৭৮, কোহলি ৭৬*, মরকেল ১/৩৮)
ফলঃ ভারত ৮ উইকেটে জয়ী
যুবরাজ ছয় মারলেন। ভারত উঠে গেল সেমিফাইনালে। গ্রুপ-পর্বের ম্যাচ, তবে আদতে তা ছিল কোয়ার্টার ফাইনালের মতোই। আরেকবার তাই বিদায় দক্ষিণ আফ্রিকার, আইসিসির বৈশ্বিক ট্রফি থেকে, ‘নক-আউট’ কোনো ম্যাচ থেকে। দারুণ বোলিংয়ের জন্য ম্যাচসেরা হয়েছেন জাসপ্রিত বুমরাহ।
১৫ তারিখ এজবাস্টনে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ তাই ভারত। ২০১৫ সালে বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালেও মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল।
অবশেষে ফিরলেন ধাওয়ান
ভারত ১৫৪/২, ৩১.৩ ওভার
স্পিনের ওপরই খেলতে চেয়েছিলেন। শেষ মুহুর্তে বুঝলেন ‘রং-আন’, ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে এসে পড়েছিলেন বলে খেলেই দিলেন। লং-অফে ক্যাচ নিলেন ডু প্লেসি। ধাওয়ান ফিরলেন ৭৮ রান করে, তবে দেরিই হয়ে গেল আফ্রিকার, ব্রেকথ্রুটা শেষ পর্যন্ত বৃথাই যাবে তাহিরের।
কোহলির ফিফটি, ১০০ রানের জুটি
ভারত ১৩২/১, ২৭.১ ওভার
পাকিস্তানের সঙ্গে অপরাজিত ৮১ এর পর গত ম্যাচে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ডাক। আবার স্বরুপে ফিরলেন বিরাট কোহলি, ক্যারিয়ারের ৪১তম ফিফটি হয়ে গেল ভারত অধিনায়কের। ধাওয়ানের সঙ্গে তার জুটিও হয়ে গেছে ১০০। প্রয়োজনীয় রানরেট কমছেই। ভারতকে সেমিফাইনাল থেকে আটকাতে এখন ঘটতে হবে অলৌকিক কিছুই!
ফিফটিতে ধাওয়ান, শীর্ষে ধাওয়ান
ভারত ১১৫/১, ২৪ ওভার
টানা তৃতীয় ফিফটি, ক্যারিয়ারের ১৯তম। ক্রিস মরিসকে চার মেরেই ফিফটি করলেন শিখর ধাওয়ান, ভারত ১০০ পেরিয়েছে আরও আগেই। এই রানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির এবারের আসরের কেন উইলিয়ামসনের ২৪৪ রানকে টপকে গেলেন ধাওয়ান। আফ্রিকাকে এই ম্যাচে ভারতের টপকে যাওয়াও এখন সময়ের ব্যাপার শুধু বলেই মনে হচ্ছে!
ধাওয়ান-কোহলির ফিফটি জুটি
ভারত ৭৫/১, ১৭ ওভার
ইমরান তাহিরকে এনেছেন ডি ভিলিয়ার্স। তাকে চার মেরেই কোহলির সঙ্গে ফিফটি জুটি করে ফেললেন শিখর ধাওয়ান। শুরুর ব্রেকথ্রুর পর চাপটা কাজে লাগাতে পারেনি আফ্রিকা, কোহলির দেয়া একটা কঠিন সুযোগ ছেড়েছেন আমলা।
মরকেলে ব্রেকথ্রু, ফিরলেন রোহিত
ভারত ২৪/১, ৬ ওভার
অপ্রয়োজনীয় শট। অপ্রয়োজনীয় উইকেট ভারতের। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ব্রেকথ্রু। প্রথমে খোলসবন্দী হয়ে ছিলেন, চার-ছয় মেরে আলগা করছিলেন চাপ। তারপরই মরকেলের বলে রোহিত শর্মার এই শট। ব্যাক-অব-আ লেংথের বল, জায়গা বানিয়ে খেলতে গেলেন বড় শট। মরকেল অনুসরণ করলেন তাকে, নিয়ন্ত্রণ ছিল না কোনো শর্মার, এজ হয়ে উইকেটের পেছনে ডি ককের কাছে দিলেন ক্যাচ।
দক্ষিণ আফ্রিকা ১৯১ অল-আউট, ৪৪.৩ ওভার (ডি কক ৫৩, ডু প্লেসি ৩৬, ভুবনেশ্বর ২/২৩, বুমরাহ ২/২৮)
১৪০ রান, ২ উইকেট। ১৯১, অল-আউট। ম্যাচটা কোয়ার্টার ফাইনালে রুপ নিয়েছিল আগেই, সেই ম্যাচেই হুড়মুড় করে ভেঙ্গে পড়লো প্রোটিয়াদের ব্যাটিং। ভুবনেশ্বর-আশ্বিন-বুমরাহর বোলিং, কোহলির অধিনায়কত্বের সঙ্গে এতে বড় অবদান আছে আফ্রিকানদের ‘ব্রেন-ফেড’-এরও। তিনজন হয়েছেন রান-আউট, এর মধ্যে ২টি রীতিমতো হাস্যকর। রান-আউট হওয়ার সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন আরও!
শ্রীলঙ্কার সঙ্গে হেরে চাপে পড়া ভারতের জন্য লক্ষ্যটা দক্ষিণ আফ্রিকা দিল চাপমুক্ত হওয়ার মতোই!
ভুবনেশ্বরের দুইয়ে দুই
দক্ষিণ আফ্রিকা ১৮৯/৯, ৪৩ ওভার
বোলিং করতে এসেছিলেন বুমরাহ। শেষ মুহুর্তে তাকে সরিয়ে নিলেন কোহলি, দৌড়াতে দৌড়াতে এলেন ভুবনেশ্বর। দ্বিতীয় বলেই পেয়ে গেলেন প্রথম উইকেট। সিম-আপ ডেলিভারি, এরপর একটু মুভমেন্ট। ভুবনেশ্বর সফল তাতেই, রাবাদার ক্যাচটা ধোনি ঝাঁপিয়ে পড়ে নিলেন বামদিকে। পরের বলে ক্যাচ নিলেন কোহলি, প্রথম স্লিপে। মরকেলকে করা বলটা ছিল অফস্টাম্পের বাইরে, এজ-এর ফাঁদে ধরা দিয়েছেন সহজেই। ইমরান তাহিরকে করা হ্যাটট্রিক বলটা অবশ্য যুতসই হয়নি ভুবনেশ্বরের, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দ্বিতীয় হ্যাটট্রিকটাও হয়নি তাই।
বুমরাহর দ্বিতীয়, আফ্রিকার সপ্তম
দক্ষিণ আফ্রিকা ১৮২/৭, ৪১ ওভার
পেহলুকায়ো, এলবিডাব্লিউ। বুমরাহর একেবারে ফুললেংথের বল, সরাসরি লাগলো পেহলুকায়োর পায়ে, বুটের খানিকটা ওপরে। আম্পায়ার পল রাইফেল আউট দিলেন না। কোহলি ধোনি, বুমরাহর সঙ্গে আলোচনা করে শেষ মুহুর্তে নিলেন রিভিউ। কাজে লাগলো সেটাই। শেষ পাওয়ারপ্লের শুরুতেই ৭ম উইকেট নেই প্রোটিয়াদের।
বুমরাহতে ফিরলেন মরিস
দক্ষিণ আফ্রিকা ১৬৭/৬, ৩৭ ওভার
গেলেন মরিসও। পুল করার মতো লেংথ পাননি কোনোমতেই, লিডিং-এজ হয়ে উঠে গেল ক্যাচ। শর্ট মিড-উইকেটে ভুল করেননি ভুবনেশ্বর, বুমরাহ পেলেন প্রথম উইকেট! রীতিমতো দূর্যোগের ঘনঘটা আফ্রিকান ইনিংসে। আরেকটা ‘নক-আউট’ ম্যাচ, আফ্রিকা কি ভেঙ্গে পড়ছে আরেকবার?
সেই ডু প্লেসিই বোল্ড!
দক্ষিণ আফ্রিকা ১৫৯/৫, ৩৪ ওভার
ওহ ডু প্লেসি! বোল্ড। পান্ডিয়ার অফকাটার, চড়ে খেলতে গেলেন। ব্যাটের কিনার বল ডেকে আনলো স্টাম্পে, পান্ডিয়া নেচে নেচে উদযাপন করছেন, হতাশ ডু প্লেসি! হবেনই বা কেন, আগের দুই সঙ্গীর রান-আউটে অংশ ছিলেন, দায়িত্ব যেন বেড়ে গিয়েছিল আরও। বসেই রইলেন কিছুক্ষণ, তবে উইকেটে সময় তো শেষ ডু প্লেসি!
দুই রান আউটে ধাক্কা আফ্রিকার
দক্ষিণ আফ্রিকা ১৪৫/৪, ৩০ ওভারে
দারুণ খেলছিলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স, আগের দুই ম্যাচের রানখরা ঘোঁচানোরও আভাস দিচ্ছিলেন। কিন্তু রান নিতেই গিয়েই করলেন ভুল। জাদেজার বলে ডু প্লেসি যখন সিঙ্গেলের ডাক দিয়েছেন, ডি ভিলিয়ার্স অন্য প্রান্তে পৌঁছানোর আগেই পান্ডিয়ার থ্রোতে স্টাম্প ভেঙে দিয়েছেন ধোনি। উড়ে গিয়েও বাঁচতে পারেননি ডি ভিলিয়ার্স। এক ওভার আরও বিপর্যয়, এবার অশ্বিনের বলে ভুল বোঝাবুঝিতে এক প্রান্তে চলে এসেছেন মিলার -ডু প্লেসি। আউট হয়েছেন ফর্মে থাকা মিলারই, দক্ষিণ আফ্রিকা পেয়েছে বড় ধাক্কা।
ডি ককের ফিফটি এবং আউট
দক্ষিণ আফ্রিকা ১১৯/২, ২৫ ওভারে
ভারত সব সময়ই তাঁর প্রিয় প্রতিপক্ষ। এবার শুরুটা একটু স্লথ ছিল, তবে আভাস দিচ্ছিলেন বড় কিছুর। ভারতের বিপক্ষে এর আগে পাঁচটি ফিফটি ছিল ডি ককের, সবগুলোই পরিণত করেছেন সেঞ্চুরিতে। কিন্তু এবার আর সেটি হলো না। ফিফটির পরেই জাদেজাকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে লাইন মিস করলেন, বলটা ভেঙে দিল স্টাম্প।
অশ্বিনই ফেরালেন আমলাকে
দক্ষিণ আফ্রিকা ৭৭/১, ১৭.৪ ওভারে
যাদবকে বসিয়ে তাঁকে দলে ফেরানোর সিদ্ধান্তে প্রশ্ন উঠেছিল। উত্তরটা মাঠেই দিলেন অশ্বিন, আমলাকে ফিরিয়ে ভারতকে দিলেন প্রথম উদযাপনের উপলক্ষ। এক বল আগেই আমলা চার মেরেছিলেন, এবার অফ স্টাম্পের বাইরের বলটা কাট করতে গিয়ে হলো না। দারুণ ক্ষিপ্রতায় উইকেটের পেছনে দুর্দান্ত ক্যাচ নিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। দক্ষিণ আফ্রিকা হারাল প্রথম উইকেট। আমলা ফিরে গেলেন ৩৫ রানে।
সতর্ক শুরু আমলা-ডি ককের
দক্ষিণ আফ্রিকা ৭২, ১৭ ওভারে
শুরু থেকেই আঁটাসাঁটো বল করেছেন বুমরা-ভুবনেশ্বর। আমলা- ডি ককরা তাই হাত খুলে খেলতে পারেননি খুব একটা। প্রথম ১০ ওভারে রান এসেছে মাত্র ৩৫। ভারত অবশ্য দুবার রান আউটের সুযোগ পেয়েছিল, কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি। তবে সেরা সুযোগ পেয়েছিলেন পান্ডিয়া, আমলার ফিরতি ক্যাচটা হাতে জমাতে গিয়েও পারেননি। এক ওভার পরেই আমলা ছয় মেরে জানিয়ে দিয়েছেন, পান্ডিয়াকে ওই মিসের মুল্য দিতে হতে পারে।
ম্যাচটা গ্রুপ পর্বের, কিন্তু কার্যত সেটি হয়ে গেছে কোয়ার্টার ফাইনাল। ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা, দুই দলই প্রথম ম্যাচ জয়ের পর হেরেছে দ্বিতীয় ম্যাচটি। আজকের ম্যাচে যারা জিতবে, তারা খুব সম্ভবত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই চলে যাবে কোয়ার্টার ফাইনালে। বাংলাদেশ হতে পারে তাদের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ।
ওভালে মহাগুরুত্বপূর্ণ টস জিতেছেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি, সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বোলিং করার। আগের ম্যাচের একাদশ থেকে বাদ পড়েছেন উমেশ যাদব, দলে এসেছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। দক্ষিণ আফ্রিকা দলেও এসেছে একটি পরিবর্তন, ওয়েইন পারনেলের জায়গায় দলে এসেছেন অ্যান্ডাইল ফেলুকোয়াও।
ভারত দলঃ ধাওয়ান, রোহিত, কোহলি, যুবরাজ, ধোনি, কেদার যাদব,পান্ডিয়া, জাদেজা, অশ্বিন, ভুবনেশ্বর, বুমরা।
দক্ষিণ আফ্রিকাঃ ডি কক, আমলা, ডি ভিলিয়ার্স, ডু প্লেসি, ডুমিনি, মিলার, মরিস, ফেলুকোয়াও, রাবাদা, মরকেল, তাহির।