জিততে না চাওয়ার ম্যাচে জিতল পাকিস্তানই
সংক্ষিপ্ত স্কোর
শ্রীলঙ্কা ২৩৬/১০ , ৪৯.২ ওভারে (ডিকভেলা ৭৩, ম্যাথিউস ৩৭, গুনারত্নে, লাকমল ২৬; জুনাইদ ৩/৪০, হাসান ৩/৪৩
পাকিস্তান ২৩৭/৭, ৪৪.৫ ওভার (সরফরাজ ৬১*, ফাখার ৫০, আজহার ৩৪, আমির ২৮*; প্রদীপ ৩/৬০)
ফলঃ পাকিস্তান ৩ উইকেটে জয়ী
শেষ চারটা মেরে ভোঁ দৌড় শুরু করলেন সরফরাজ। একটু বাদেই বাঁধা পড়লেন আমিরের আলিঙ্গনে, পাকিস্তানকে দুজন মিলে যে পৌঁছিয়ে দিয়েছেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে! চারটা মারলেন মালিঙ্গাকে, আজকের ম্যাচের সবচেয়ে অভাগা বোলার! যার বোলিং গড়ে দিতে পারতো পার্থক্য, তার বোলিংয়েই পড়েছে সহজ সব ক্যাচ! যখন ৭ম উইকেট গেল, জয় থেকে তখনও ৭৫ রান দূরে পাকিস্তান। যে চাপটা এনেছিল শ্রীলঙ্কা, সেই চাপটা আলগা করে দিল তাদেরই অবিশ্বাস্য সব বাজে ফিল্ডিং! আর পাকিস্তানের ওই ৮ম উইকেট জুটিই নিয়ে গেল দলকে জয়ের বন্দরে। যে জুটিতে সরফরাজের সঙ্গে অনেক বড় অবদান ব্যাটসম্যান আমিরেরও। সরফরাজ সুযোগ দিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কাকে, আমির দেননি তাও! চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এটি রেকর্ড ৮ম উইকেটের জুটি।
প্রথম সেমিফাইনালে এই কার্ডিফেই ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান।
সরফরাজের ফিফটি
পাকিস্তান ২১৭/৭, ৪২ ওভার
শ্রীলঙ্কানরা সুযোগ দিয়েছে। তবে পাহাড়সম চাপে সরফরাজের এই ইনিংসটার প্রশংসা করতেই হবে! অসাধারণ ড্রাইভ করেছেন সব। আমিরের সঙ্গে মহাগুরুত্বপূর্ণ ফিফটি জুটিটাও হয়ে গেছে পাকিস্তান অধিনায়কের। ৪৮ বলে পাকিস্তানের প্রয়োজন ২০ রান।
শ্রীলঙ্কার অবিশ্বাস্য বাজে ফিল্ডিং!
পাকিস্তান ২০৬/৭, ৪১ ওভার
‘যদি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে খেলতে হয়, এসব ক্যাচ ধরতে হবে!’ ধারাভাষ্যে সৌরভ গাঙ্গুলি যেন বললেন সহজ করে সত্য কথাটাই! আবার সরফরাজ, আবার মালিঙ্গা। শর্ট বলে পুল করতে গিয়েছিলেন, ডিপ থেকে দৌড়ে এসে নাগালও পেলেন বদলি ফিল্ডার সেকুগু প্রসন্নে। তার হাত থেকে বেরিয়ে গেল এটাও, আরেকবার বাঁচলেন সরফরাজ। এই ওভারেই মিস-কিপিংয়ে বাই চার দিলেন উইকেটকিপার ডিকভেলা। ওহ, শ্রীলঙ্কা! বেচারা মালিঙ্গা!
ম্যাচটা ফেলে দিলেন পেরেরা?
ব্যবধান হয়ে ছিলেন সরফরাজ। আর শ্রীলঙ্কার আশা মালিঙ্গা। তুরুপের তাসকে আনলেন ম্যাথিউস, দ্বিতীয় বলটা দিলেন স্কোয়ার। মিড অনে সহজ ক্যাচ তুলে দিলেন সরফরাজ, থিসারা পেরেরা সেটি ফেলে দিলেন হাত থেকে। ম্যাচটাই কি ফেলে দিলেন পেরেরা? পাকিস্তানের দরকার আর ৪১ রান।
ফাহিমের রান-আউট, উদ্ভাসিত শ্রীলঙ্কা
পাকিস্তান ১৬৩/৭, ৩০.৩ ওভার
গুনাতিলাকার সরাসরি থ্রোগুলো লাগলে আরও অন্তত দুইটি উইকেট যেতে পারতো পাকিস্তানের। সেগুলো হয়নি, তবে রান-আউট ঠিকই হলেন ফাহিম আশরাফ। সরফরাজের বোলারস ব্যাকড্রাইভ থিসারার আঙ্গুলে লেগে ভেঙ্গে দিল নন-স্ট্রাইকিং প্রান্তের স্টাম্প। ফাহিমের ব্যাট তখনও শুন্যে, পাকিস্তানের সাত উইকেট নিয়ে উড়ছে শ্রীলঙ্কাও। এখনও ৭৪ রান প্রয়োজন পাকিস্তানের।
প্রদীপের তিন, পাকিস্তানের ছয়
পাকিস্তান ১৩৭/৬, ২৬ ওভার
উইকেট নাম্বার ছয়! প্রদীপের লেংথ বল, সিমে পড়ে মুভমেন্ট। ইমাদ ব্যাট লাগালেন, আরেকটা ক্যাচ ডিকভেলার। ওয়েলশে জন্ম নেয়া ইমাদ ব্যর্থ হলেন ‘ঘরের মাঠে’, ছয় রানের মাঝে আরও একটি উইকেট নেই পাকিস্তানের। প্রদীপ নিলেন তৃতীয় উইকেট, মিকি আর্থারের মাথায় হাত। চাপ বাড়লো আরও, শ্রীলঙ্কার অসাধারণ ফিরে আসা!
অবশেষে সফল মালিঙ্গা, আরও চাপে পাকিস্তান
পাকিস্তান ১৩৩/৫, ২৫.২ ওভার
মালিঙ্গার বেরিয়ে যাওয়া শরীরঘেঁষা শর্ট বল। পুল করতে গেলেন শোয়েব মালিক, এজ হয়ে ক্যাচ গেল উইকেটকিপার ডিকভেলার কাছে। তার মিস করার কারণ নেই, এর আগে সুযোগ সৃষ্টি করেও উইকেট না পাওয়া মালিঙ্গা সফল হলেন এবার। ডানহাতিদের বিপক্ষে এই ইনিংসে এই একটিই শর্ট বল করলেন মালিঙ্গা। আউট হওয়ার আগে মালিক করেছেন ১১। জিততে হলে এখনও প্রয়োজন ১০৪ রান।
এবার গেলেন আজহার
পাকিস্তান ১১১/৪, ২০ ওভার
বিস্মিত আজহার, বিস্মিত স্লিপ ফিল্ডার মেন্ডিসও। লাকমালের বলের হঠাৎ বাউন্সে থতমত খেলেন, শেষ মুহুর্তে বন্ধ করলেন ব্যাটের মুখ। শেষ রক্ষা হলো না, আজহারের ব্যাটে হলো এজ, থতমত খেয়ে যেন ক্যাচ নিলেন মেন্ডিস। নিয়ন্ত্রণ রাখলেন শেষ পর্যন্ত, নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেলো শ্রীলঙ্কাও। ১৮ রানের মাঝেই তৃতীয় উইকেট হারিয়ে চাপে পাকিস্তান।
হাফিজকে থাকতে দিলেন না থিসারা
পাকিস্তান ৯৯/৩, ১৭.১ ওভার
ক্যাচ অনুশীলন! থিসারার ব্যাক-অফ-আ লেংথের বল, হাফিজ না করলেন ডিফেন্স, না করলেন ফ্লিক। তুলে দিলেন শুধু আকাশে। মিড-অন থেকে একটু সামনে এসে লোপ্পা ক্যাচটা নিলেন প্রদীপ। দ্রুতই নিজেদের তৃতীয় উইকেট হারিয়ে ফেললো পাকিস্তান, রান তাড়ায় তাদের লাগামটা ভালভাবেই টেনে ধরলো শ্রীলঙ্কা।
প্রদীপের দ্বিতীয় ‘আলো’
পাকিস্তান ৯৪/২, ১৬ ওভার
প্রদীপের দ্বিতীয় সাফল্য। ব্যাক-অফ-আ লেংথের বল, বাবর ফ্লিক করতে গিয়ে লেংথেই কাবু হয়ে গেলেন। শর্ট মিড-উইকেটে ক্যাচ, সফট ডিসমিসাল। প্রদীপের সঙ্গে দ্বিতীয় সাফল্য শ্রীলঙ্কারও।
ফিফটির পরই আউট ফাখার
পাকিস্তান ৭৮/১, ১২ ওভার
৩৪ বলের ঝড়ো ফিফটি, ৮টি চার, ১টি ছয়। এক বল বাদেই আউট ফাখার জামান। নুয়ান প্রদীপের শর্ট বলে হুক করতে গিয়েছিলেন, ডিপ ফাইন লেগে ভাল ক্যাচ নিয়েছেন গুনারত্নে। অবশেষে ব্রেকথ্রু শ্রীলঙ্কার, পাকিস্তানের শুরুটা ভাল হয়েছে এর আগেই।
দুই ওভারে দুই সুযোগ হাতছাড়া
পাকিস্তান ২/০, ২ ওভার
মালিঙ্গার মুখটাই বলে দিচ্ছিল সব। প্রথম ওভারেই ব্রেকথ্রু পেতে পারতেন, পয়েন্টে গুনাতিলাকা ফেললেন আজহারের সহজ ক্যাচ। মোটামুটি গুডলেংথের বল, কাট করতে গিয়ে সরাসরি গেল ক্যাচ। একটু নীচু, ফেলে ফিলেন সেটাই। পরের ওভারে একটা রান-আউটের সুযোগও মিস করলেন ওই গুনাতিলাকাই। আলতো করে খেলেই সিঙ্গেল নিতে চেয়েছিলেন ফাখার, গুনাতিলাকা ধরে সরাসরি স্টাম্প ভেঙ্গে দিতে পারলেন আজহারকে ধরতে হতো ড্রেসিংরুমের পথ!
শ্রীলঙ্কা ২৩৬/১০ , ৪৯.২ ওভারে
ডিকভেলা ৭৩, ম্যাথিউস ৩৭, গুনারত্নে, লাকমল ২৬; জুনাইদ ৩/৪০, হাসান ৩/৪৩
প্রথম ৫০ ওভার শেষে কি পাকিস্তানই এগিয়ে আছে? অথচ একটা সময় শ্রীলঙ্কার জন্য ৩০০ রানও খুবই সম্ভব মনে হচ্ছি; ডিকভেলা ও ম্যাথিউস সেই আশাই দেখাচ্ছিলেন। কিন্তু ১৬১ রানে ৩ উইকেট থেকে হুড়মুড় করে ধসে পড়ে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং। সাত রানের মধ্যেই পড়ে যায় চার উইকেট। জুনাইদ, আমির, হাসান আলীরা হয়ে উঠেছিলেন ভয়ঙ্কর। তখন মনে হচ্ছিল, শ্রীলঙ্কা ২০০র নিচেও অলআউট হয়ে যেতে পারে। শেষ পর্যন্ত লাকমল ও গুনারত্নের জন্য ২৩৬ পর্যন্ত যেতে পারে। কিন্তু রানটা কি লড়াই করার জন্য যথেষ্ট?
পেরেরাকেও ফেরালেন জুনাইদ
শ্রীলঙ্কা ১৭২/৭, ৩৫.২ ওভারে
পাকিস্তানি পেসাররা হঠাৎ করেই যেন দুর্বোধ্য ধাঁধা। আবারও জুনাইদ খানের আঘাত, এবার অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়েছেন থিসারা পেরেরা। বাবর আজম নিয়েছেন দারুণ ক্যাচ। পেরেরা ফিরলেন এক রান করেই।
রশিদ হলেন না সরফরাজ
আমিরের বলটা গুনারত্নের ব্যাটে লেগে চলে গেল উইকেটের পেছনে। ক্যাচটা ধরেও ফেলেছিলেন সরফরাজ, কিন্তু সঙ্গে সঙ্গেই আভাস দেন, সেটি গ্লাভসে জমাতে পারেননি। থার্ড আম্পায়ারও নিশ্চিত করেছেন, বলটা হাতে জমিয়েও শেষ মুহূর্তে সরফরাজের গ্লাভস থেকে বেরিয়ে যায়। ২০০৩ সালে রশিদ লতিফ মুলতানে এমন একটা ক্যাচ হাত থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরও ধরার দাবি করেছিলেন, পরে নিজেই স্বীকার করেছিলেন সেটি। সরফরজার এখানে পূর্বসূরির পুনরাবৃত্তি করলেন না।
ডি সিলভার পর আউট ডিকভেলাও
শ্রীলঙ্কা ১৬৫/৬, ৩৩.৩ ওভারে
আরেকটি উইকেট, এবার জুনাইদ খানের শিকার হলেন ধনঞ্জয় ডি সিল্ভা। লেগ স্টাম্পের বাইরে পিচ করে অফ স্টাম্পের বাইরে ছোবল কেটে বেরিয়ে যাচ্ছি বলটি। ডি সিলভার ব্যাট আলতো করে ছুঁয়ে জমা হয় সরফরাজের গ্লাভসে। এক রান করেই বিদায় ডি সিলভার। তবে শ্রীলঙ্কা সবচেয়ে বড় আঘাত পেল পরের ওভারে। এবার ঘাতক আমির, দারুণ খেলতে থাকা ডিকভেলা কী মনে করে অফ স্টাম্পের বাইরের বলটা ক্রিজ ছেড়ে খেলতে গেলেন লেগে। ব্যাটের কানায় ইনসাইড এজ হয়ে দারুণ এক ক্যাচ নিয়েছেন সরফরাজ। ডিকভেলা ফিরলেন ৭৩ রানে, পাওয়া হলো না ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। শ্রীলঙ্কা কাঁপছে, নিয়ন্ত্রণে পাকিস্তান।
ফিরে গেলেন ম্যাথিউস
শ্রীলঙ্কা ১৬১/৪, ৩১.২ ওভারে
ডিকভেলা-ম্যাথিউসের জুটিটা যখন জমে উঠেছে, তখনই আঘাত হানল পাকিস্তান। আরও নির্দিষ্ট করে বললে মোহাম্মদ আমির। স্টাম্পের ওপরের বলটা লেগে খেলতে গিয়েছিলেন ম্যাথিউস। কিন্তু ব্যাটে-প্যাডে লেগে ভেঙে দেয় স্টাম্প। শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক ফিরে গেছেন ৭৯ রানে, পাকিস্তান ফিরেছে ম্যাচে।
বেঁচে গেলেন ম্যাথিউস
শ্রীলঙ্কা ১৩৭/৩, ২৬.৩ ওভারে
আগের বলেই হাফিজকে আছড় ফেলেছিলেন লং অনের ওপর দিয়ে। পরের বলে বলটা ঠেলেই দৌড় দিলেন ম্যাথিউস। ওদিকে ইমাদ ওয়াসিমের থ্রোটা ভেঙে দিয়েছে স্টাম্প। তবে ডাইভ দিয়ে তার আগেই ডাইভ দিয়ে ক্রিজে ঢুকে গেছেন শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক, মুহূর্তের ব্যবধানের জন্য বেঁচে গেলেন।
ডিকভেলার ফিফটি
শ্রীলঙ্কা ১০০/৩, ২০.২ ওভারে
শুরু থেকেই ছিলেন দারুণ স্বচ্ছন্দ, ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি পেয়ে গেলেন ৫২ বলেই। শ্রীলঙ্কার ১০০ও হয়ে গেল তার একটু পরেই। ডিকভেলার সঙ্গে অধিনায়ক ম্যাথিউসই আশা দেখাচ্ছেন শ্রীলঙ্কাকে।
চান্ডিমালের ডাক
শ্রীলঙ্কা ৮৫/৩, ১৬ ওভারে
ভালো খেলতে খেলতে হঠাৎ করে যেন খেই হারিয়ে ফেলল শ্রীলঙ্কা। মেন্ডিসের পরের ওভারেই আউট চান্ডিমাল , অভিষিক্ত ফাহিম আশরাফের বলটা ছিল অফ স্টাম্পের বেশ বাইরে। চান্ডিমাল সেটা ড্রাইভ করতে গিয়ে টেনে নিয়ে এলেন স্টাম্পে, কোনো রান না করেই ফিরে গেলেন দ্বিতীয় বলে। আশরাফ পেলেন প্রথম উইকেট।
ফিরে গেলেন মেন্ডিস
আগের বলটা একটুর জন্য বেঁচে গিয়েছিলেন, তবে এবার মেন্ডিসের আর শেষ রক্ষা হলো না। মেন্ডিস খেলছিলেন অবশ্য দারুণ, হাসান আলীকে স্পেশাল কিছুই করতে হতো। সেটাই করলেন, বলটা সুইং করে মেন্ডিসকে পরাস্ত করল পেসেও, মিডল স্টাম্পের ঠিক ওপরে লাগল। ২৭ রানেই আউট মেন্ডিস।
৫০ হলো শ্রীলঙ্কার
শ্রীলঙ্কা ৫০/১, ১০ ওভার
ডিকভেলা-মেন্ডিস মিলে চেষ্টা করছেন শুরুর ধাক্কা সামাল দেয়ার। ৫০ পূর্ণ হয়ে গেছে শ্রীলঙ্কার। প্রথম পাওয়ারপ্লে শেষ, এর আগেই প্রথমবার স্পিনার এনেছেন সরফরাজ।
গুনাতিলাকাকে ফিরিয়ে দিলেন জুনাইদ
শ্রীলঙ্কা ২৬/১, ৬ ওভারে
যখনই মনে হচ্ছিল দুই ওপেনার গুনাতিলাকা ও ডিকভেলা বিপজ্জনক হতে যাচ্ছেন, তখনই পাকিস্তানের আঘাত। জুনাইদ খানের বলে মিড অফে সহজ ক্যাচ তুলে দিলেন গুনাতিলাকা, ব্যাটে-বলে টাইমিং হলো না একদমই। ১৩ রানে ফিরে গেলেন গুনাতিলাকা, পাকিস্তান পেল প্রথম ব্রেক থ্রু।
শ্রীলঙ্কা প্রথমে ব্যাট করায় ভারতকে রান রেটে টপকে যেতে তাদের সামনে সমীকরণ এরকম
-৩০০ রান করলে অন্তত ২৯৪ রানে জিততে হবে
-৩৫০ রান করলে অন্তত ২৯৩ রানে জিততে হবে
আর পাকিস্তানের রান তাড়া করে রান রেটে ভারতকে টপকে যাওয়ার সমীকরণ এরকম
- ৩৫০ রান তাড়া করতে হবে ১৫ ওভারে
-৩০০ রান তাড়া করতে হবে ১৩ ওভারে
-২৫০ রান তাড়া করতে হবে ১০.৪ ওভারে
-২০০ রান তাড়া করতে হবে ৮.১ ওভারে
গ্রুপ পর্বের ম্যাচ, কিন্তু আসলে অলিখিত কোয়ার্টার ফাইনাল। পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার যে জিতবে, সে যাবে শেষ চারে। সেখানে প্রতিপক্ষ হবে ইংল্যান্ড। মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের টসে জিতেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। কার্ডিফের আজকের পিচটা নতুন, কিছুটা ঘাসও আছে। টসে জিতে বোলিং নিয়েছেন সরফরাজ ।
উইকেটের কথা ভেবেই পাকিস্তান দলে আছে একটি পরিবর্তন। বাদ পড়েছেন লেগ স্পিনার শাদাব খান, পেস বোলিং অলরাউন্ডার শাদাব খান এসেছেন দলে। শ্রীলঙ্কা দলেও আছে একটি পরিবর্তন। সেটি অবশ্য চোটের কারণে। কুশল পেরেরা আগের ম্যাচেই হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়েছিলেন, তাঁর জায়গায় এসেছেন ধনঞ্জয় ডি সিলভা।
শ্রীলঙ্কা একাদশঃ ডিকভেলা, গুনাতিলাকা, কুশল মেন্ডিস, ম্যাথিউস, চান্ডিমাল, ধনঞ্জয় , গুনারত্নে, থিসারা পেরেরা, লাকমল, মালিঙ্গা, প্রদীপ
পাকিস্তান একাদশঃ ফখর, আজহার, বাবর, হাফিজ, মালিক, সরফরাজ, ফাহিম, ইমাদ, জুনাইদ, আমির, হাসান।